একটি কচুগাছের আর্ট (গল্পকথায়)
নমস্কার
একটি কচুগাছের আর্ট (গল্পকথায়):
প্রত্যেকটি আর্টের আলাদা আলাদা বিষয়বস্তু থাকে।তাই যেকোনো আর্ট করতে আমার বরাবরই খুব ভালো লাগে।তেমনি আজ একটি আর্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম আপনাদের মাঝে।আর এই আর্টটি করার পিছনে একটি গল্প রয়েছে,সেটা হলো এমন---
আমাদের বাড়িতে আড়তের বাজার থেকে নয় কিলো কচুরমুখী কিনে আনা হয়েছে।অর্থাৎ যাকে অনেকেই কচুর ছড়ি বা কচুর গাঁটও বলে থাকেন।এটা দীর্ঘদিন ধরে রেখে খাওয়া যায়, যদিও আমাদের বাড়িতে লাগানো হয়েছিল।কিন্তু অতিরিক্ত রোদের কারনে যেমন কচুগাছ মারা গিয়েছিল তেমনি বন্যার জলে ডুবে গিয়েও নষ্ট হয়ে গিয়েছে তার মধ্যে দিয়ে লড়াই করে কিছু কচুরমুখী গাছ এখনো বেঁচে রয়েছে।
ছোটবেলায় একজন আমাদেরকে ধাঁধার মতো প্রশ্ন করেছিলো,বলো তো--- কি এমন সবজি যার সাতটি অংশ খাওয়া যায়?
মজার বিষয় হচ্ছে আমি কিন্তু এই উত্তরটিই দিয়েছিলাম,কি আবার হবে কচুগাছ---।
সত্যিই তাই,আপনারা খেয়াল করে দেখবেন কচুগাছের সমস্ত অংশই খাওয়া যায় যার কিছুই ফেলনা নয়।যেমন---পাতা,ফুল,ডাটা,কচুর মূল,কচুর গাঁট, কচুর লতি আর কচুর শিকড়।যাইহোক তো কিনে আনা কচুরমুখিগুলি রোদে দেওয়া হয়েছিল ,সেটাই আমি বিকেলে তুলছিলাম পাত্রে।তখন ইচ্ছা করলো একটি কচুগাছের ছবি আঁকার।তাই আজ আঁকলাম একটি কচুগাছের আর্ট।যেটা কম সময় লাগলেও অঙ্কনের পর বেশ সুন্দর দেখতে লাগছিলো।আশা করি আর্টটি ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।যাইহোক তো চলুন শুরু করা যাক--
উপকরণ:
2.মার্কার পেন
3.জেলপেন ও
4.কালো বলপেন
অঙ্কনের পদ্ধতিসমূহ:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি কালো রঙের বলপেন দিয়ে একটি কচুগাছের পাতা একে নিলাম।
ধাপঃ 2
এরপর সম্পূর্ণ কচুগাছের ছবিটি একে নিলাম।এরপর কচুপাতার মধ্যে কালো রঙের বলপেন দিয়ে শিরা একে নিলাম।
ধাপঃ 3
এখন কালো রঙের বলপেন দিয়ে অঙ্কনটি গাড় করে একে নিলাম এবং আমার হাতের ছবি তুলে নিলাম ফোনের মাধ্যমে।
ধাপঃ 4
এরপর সবুজ রঙের মার্কার পেন দিয়ে কচুগাছ কালার করে নিলাম।
ধাপঃ 5
এখন দুটি মার্কার পেন দিয়ে কচুগাছের পাতাগুলো একে নিলাম।
ধাপঃ 6
এবারে কচুগাছের গোড়ায় কমলা রঙের জেল কালার দিয়ে একে নিলাম।সবশেষে অঙ্কনের নীচে আমার নাম লিখে নিলাম কালো রঙের বলপেন দিয়ে।
ছবি উপস্থাপন:
তো আমার অঙ্কন করা হয়ে গেল "একটি কচুগাছের আর্ট "।এটি অঙ্কনের পর দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | আর্ট |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thanks.
একদম ঠিকি বলেছেন দিদি কচুর গাছ হয়তো একমাত্র সবজি যেটার সব অংশ রান্নায় ব্যবহার করা হয়।আমার কাছে কচুর শাক ঘন্ট টা বেশি ভালো লাগে।
অনেক সুন্দর একটা অংকন শেয়ার করেছেন সেই সাথে দারুন কথা।ধন্যবাদ আপনাকে।
কচুশাকের ঘন্ট চিংড়ি দিয়ে খেতে আমার কাছেও ভালো লাগে, ধন্যবাদ ভাইয়া।
কচুগাছের আর্ট অসাধারণ হয়েছে দেখে মুগ্ধ হলাম। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে তৈরি করেছেন গুলো দেখে ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
চমৎকার বলেছেন আপু আসলেই কচুর সাতটি জিনিসই খাওয়া যায়। যার মধ্যে কোনটাই ফেলে দেওয়া লাগেনা। অদ্ভুত একটি সবজি। সেই কচু গাছের মনোমুগ্ধকর একটি আর্ট করেছেন।আর্টটি কিন্তু ভীষণ সুন্দর হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ কালারফুল একটি কচু গাছের আর্ট করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন দিদি, কচু গাছের সাতটি অংশই খাওয়া যায়। অদ্ভুত একটা সবজি কোন কিছুই একেবারে ফেলে দেওয়ার মতো না। আপনি কচু গাছের দারুন একটি আর্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ভীষণ সুন্দর লাগছে দেখতে। ছবির সাথে সাথে আপনার কথাগুলো দারুন লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদেরও দেখে খুবই ভালো লাগছে বোন। কচু গাছের পাতার একটা কাব্যক বৈশিষ্ট্য আছে৷ কারণ পাতার ওপর জলকণা কেমন মুক্তোর মতো টলমল করে । তাতে রোদের আলো পড়লে আরই চমৎকার দেখতে লাগে৷
গল্পটি পড়লাম। কচুর সমস্ত কিছু তুমি খেয়েছ? আমি খাইনি। আগে তো কচুই খেতে পারতাম না। এখন অল্প অল্প খাই৷
আগে এতো ভেবে দেখিনি আপু যে কসুর সাতটা জিনিস খাওয়া যায়। কিন্তু সম্পূর্ণ জিনিসই আমরা খেয়ে থাকি ।আপনার পোস্টের মাধ্যমে আজকে জানতে পারলাম কচুর সাতটি অংশই খাওয়া যায় ।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে কচুর গাছ অংকন করেছেন যা দেখতে অসাধারণ লাগছে।
হ্যাঁ আপু কচু গাছের সবকিছু খাওয়া যায়। তবে আজকে আপনি খুব সুন্দর করে কচু গাছের আর্ট করেছেন। আমি তো মনে করছি বাস্তবে কচু গাছের ফটোগ্রাফি হবে। চমৎকার কচু গাছ আট করে চমৎকার রংও করেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কচু গাছ আর্ট করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।