আমার স্বরচিত কবিতা:"বন্যার্ত জীবন"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
কেমন আছেন বন্ধুরা?
আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।
আজ আমি প্রতি সপ্তাহের মতো এই সপ্তাহেও আবারো হাজির হলাম নতুন একটি কবিতা নিয়ে আপনাদের মাঝে।সেটি হলো-"বন্যার্ত জীবন"।
বন্ধুরা, প্রকৃতির নিয়মের উপর একমাত্র বিধাতা ছাড়া কারো হাত নেই বদলানোর।তেমনি ভারতের আসামে তিন হাজারেরও বেশি গ্রাম ও বাংলাদেশের সিলেটসহ বিভিন্ন অঞ্চল বন্যায় তলিয়ে গেছে আমরা প্রত্যেকেই জানি।এই অবস্থায় বন্যার্ত মানুষের জীবন খুবই দুর্দশাগ্রস্ত বা শোচনীয় পরিস্থিতি।বন্যার্তদের জীবন জলের উপর ভাসছে ক্ষুধা-তৃষ্ণার মধ্যে দিয়ে।তবে প্রকৃতির এই নিয়মে তাদের জন্য আমাদের প্রার্থনা করা ছাড়া কিছুই করার নেই।সত্যিই তাদের হাহাকারভরা আর্তনাদ শুনে চোখের জল ধরে রাখা যায় না।তো সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি তাদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের জন্য।🙏🙏সেই ভাবনা নিয়ে কয়েক লাইন লিখে ফেললাম।তো চলুন কবিতাটি শুরু করা যাক---
বন্যার্ত জীবন
মৃত্যুর পথ ! সেতো অতিক্রম করেছে সীমা,
আজ সব জীবন্ত মৃত্যুর স্তুপে প্রার্থনায় কণ্ঠভরা।
ঘরবাড়িগুলি গভীর রাতের মতোই অন্ধকারে,
তলিয়ে গেছে জলস্রোতের কুনজরে।
কাঁদেন মা,কাঁদে শিশু ক্ষুধার তাড়নায়,
পুরুষদের মনে বেদনা কথা কয় নীরবতায়।
ধরিত্রী মাতার হৃদয় জরাজীর্ণ,
তার সন্তানদের চোখে অশ্রুর চিহ্ন।
বাজছে বন্যার্তের ক্রন্দনধ্বনি বিশ্ব জুড়ে,
করছে মানুষ হাহাকারভরা আর্তনাদ সর্বহারা হয়ে।
জলে তারা ভেসে ভেসে বাসস্থানের আশায়,
কাঁদেন বন্যার্তরা ফের সবকিছুর আশায়।
হে বিধাতা ! করো লাঘব বন্যার্ত জীবনের দুঃখ-কষ্ট খানি,
বাসস্থানের ব্যবস্থা করো,ফিরিয়ে দাও হৃদয়ে নতুনের আলোকধ্বনি।।
আশা করি আমার আজকের লেখা কবিতাটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।অনেক অনেক শুভকামনা রইলো বন্যার্তবাসীদের জন্য।🙏
টুইটার লিংক
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 2/7) Get profit votes with @tipU :)
Thank you.💝
বন্যার্ত মানুষদের নিয়ে আপনি খুবই চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন। আসলে তাদের ব্যথা ভারাক্রান্ত পুরো দেশ। তাদের কষ্ট যেন আকাশচুম্বী। আমাদের সবারই উচিত তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসা। আপনার কবিতার মাধ্যমে তাদের দুঃখ ভারাক্রান্ত জীবন সম্পর্কে তুলে ধরেছেন ভালই লাগলো।
সত্যিই আপু ,খুবই খারাপ লাগে ওইসব মানুষের জন্য।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি বন্যার্তদের নিয়ে খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। আপনি ঠিকই বলেছেন আপু বন্যার্তদের জন্য সবাই খুবই ব্যথিত। তারা সবাই এই বন্যায় খুব কষ্ট করছে । আসাম সহ বাংলাদেশ সিলেটের অনেক মানুষ কষ্টে জর্জরিত। আপনাকে ধন্যবাদ আপু বন্যার্তদের নিয়ে এত সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
কবিতার এই অংশটুকু আসলে অনেক কষ্টের ছিল। কবিতা থেকে অনেক কিছু উপলব্ধি করতে পেরেছে দিদি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন কবিতাটি আপনার জন্য বিশেষ শ্রদ্ধা রইল।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটা ঠিক প্রকৃতির উপর আমাদের কোনো হাত নেই।কিন্তু বিশ্বাস করুন এই প্রকৃতির ভয়ংকর করে তুলতে আমরাই দায়ী।এই জে বন্যা শুরু হয়েছে এই বন্যার জন্য দায়ী ফারাক্কা বাধ।এই ফারাক্কার কারণে শুধু বাংলাদেশে নয় ভারতের উত্তর প্রদেশ ও তলিয়ে যায় বার বার।তাই আদের উচিত প্রকৃতিকে তার মতই চলতে দেওয়া।
আর কবিতার কথা ছিল একদম বাস্তব।
আপনি যথার্থ বলেছেন ভাইয়া।আবার মানুষ ইচ্ছে মতো বৃক্ষ কেটে পরিবেশকে উত্তপ্ত হতে সাহায্য করছে।ফলে বরফ গলে গিয়ে বৃষ্টি হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুবই ভালো লেগেছে আপনার এই কবিতাটি পড়ে। তবে কি বলবো বর্তমানে যে অবস্থা! যাই হোক সে প্রসঙ্গ বাদ দিলাম। আশা করি আরও সুন্দর সুন্দর কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন এভাবে। আর বিভিন্ন বিষয়ের উপর কবিতা লিখলে সেগুলো পড়তে খুবই ভালো লাগে।
সত্যিই ভাইয়া,খুবই খারাপ লাগে ওইসব মানুষের জন্য।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
বন্যা আসলে খুবই দুর্ভোগ নেমে আসে জন জীবনে। সেই সাথে পশু পাখিদেরও অনেক কষ্ট হয়। আমাদের দেশে সিলেটে ইতিমধ্যে খুব বাজে অবস্থার সৃস্টি হয়েছ। আপনি চমতকার কিছু লাইন লিখেছন বন্যা নিয়ে। ভাল লাগল পড়ে। দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাদের উপর সহায় হোন। আমিন
সত্যিই তাই ,ঈশ্বর তাদের সহায় হোন এই প্রে করি।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
বন্যা এমন একটি জিনিস যা কখনো বলে কয়ে আসে না। এই দুর্যোগটি আসলেই প্রতিবছর আমাদের সকলকে ভোগায়। আপনার কবিতার লাইনগুলো পড়ে খুবই মর্মাহত হলাম ।আমাদের দেশে বর্তমানে খুবই খারাপ অবস্থা ।দোয়া করবেন আপু
অবশ্যই অনেক অনেক শুভকামনা থাকবে বন্যার্তবাসীদের জন্য ভাইয়া।🙏ধন্যবাদ আপনাকে।
বন্যার্তদের জীবন নিয়ে খুবই সুন্দর একটা কবিতা রচনা করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দিদি। আসলে বন্যার্তদের জীবন এতটাই অসহায় এবং সর্বহারা হয়ে ওঠে যা তাদের বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত কষ্টকর। একই সাথে তারা বাসস্থান এবং খাবারের সকল উপকরণ হারিয়ে ফেলে। সকল বিষয়গুলো আপনি খুবই সুন্দরভাবে আপনার কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।