"বাজেপ্রতাপপুরের আরো দুটি ছোট পূজা-প্যান্ডেল"
নমস্কার
বাজেপ্রতাপপুরের আরো দুটি ছোট পূজা-প্যান্ডেল:
বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপূজা।যেখানে জাতি-বর্ন নির্বিশেষে সবাই আনন্দ উপভোগ করে থাকেন।যদিও বর্তমানে এগুলো ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যাচ্ছে।যাইহোক এই বছর পূজা প্যান্ডেলের সেই গমগম,রমরমা বা জমজমাট ভাব না থাকলেও একদিন চেষ্টা করেছিলাম বের হওয়ার।আমি এ বছর কোনো গলি কিংবা পাড়ার পূজা দেখিনি তাই নবমীর দিন বর্ধমান শহরে বেরিয়ে ছিলাম।যেটা আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় 17 কিলোমিটার দূরে ছিল।
বর্ধমান স্টেশনের ঠিক পাশেই রয়েছে বাজেপ্রতাপপুর।সেখানের পূজা প্যান্ডেলের আলাদা একটা নাম রয়েছে,কারন ভারতবর্ষের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেল ওভারব্রিজের পাশেই রয়েছে প্যান্ডেলটি।এই বাজেপ্রতাপপুরের মেয়েই টলিউড অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।এইজন্য এখানে দুর্গাপূজা সংক্রান্ত অনুষ্ঠানেও তিনি প্রতিবছর অংশ নেন।যাইহোক প্রথমেই বড় প্যান্ডেল দেখে আমরা চলে গেলাম বাস ধরবো বলে।কিন্তু যাওয়ার পথেই চোখে পড়লো আরো দুটি ছোট্ট প্যান্ডেল, যেগুলো কোনো ছোট্ট ক্লাব থেকে আয়োজন করা হয়েছিলো।সেসব প্যান্ডেলের তেমন নাম বা জমজমাট ভাব না থাকলেও প্রতিমাগুলি কিন্তু এককথায় অসাধারণ ও অপূর্ব।
এটি হচ্ছে বাজেপ্রতাপপুরের শিবতলা বারোয়ারি দুর্গাপূজা কমিটির পূজা।প্রায় ৪৬ বছর ধরে এই পূজা চলে আসছে।রাস্তার অপর প্রান্ত থেকে এই বড় শিবের মূর্তিটি আমি তুলেছিলাম।কারন কাটোয়া রোডের ঠিক পাশেই এই মন্দিরটি অবস্থিত।এখানে শিব-পার্বতীর উপর থিম তৈরি করা হয়েছিলো।পুরো প্যান্ডেলের গায়ে শিব ও পার্বতীর নানা দৃশ্য পেইন্টিং এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিলো।মন্দিরের ভিতরে অনেক মানুষ জড়ো হয়ে বসে গান-বাজনায় মত্ত ছিল।আর মায়ের মূর্তিগুলো ছিল সাদা ,যেটা আমার কাছে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে।এই বড় শিবের আরেক নাম ছিল বাবা বাজেপ্রেতপেশ্বর।
এরপর আমরা আরো একটি ছোট্ট পূজাপ্যান্ডেলে গিয়েছিলাম।যেটাতে খুব কম মানুষ ছিল তখন মন্দিরে পূজা চলছিলো।আর পুরোহিত পুরুষদের কপালে সিঁদুরের ফোঁটা দিয়ে দিচ্ছিলেন।এই মায়ের মূর্তিটিও অপূর্ব সুন্দর ছিল।আর মন্দিরে প্রবেশ করার দ্বারটি ফুল দিয়ে সজ্জিত ছিল, যেটা আমি উল্টো দিক থেকে ক্যাপচার করেছিলাম।তো আজ এই পর্যন্তই বন্ধুরা।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান,বাজেপ্রতাপপুর |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thanks.
শুভশ্রী বর্ধমানের মেয়ে জানতাম কিন্তু এক্সাক্ট কোন লোকেশনে তার বাড়ি সেটা জানতাম না। বেশ ছোটর ওপরে সুন্দর প্যান্ডেলটি দেখতে। মূর্তিটিও খুব সুন্দর। দুটো ঠাকুরের দেখতে ভালো লাগছে। যাইহোক তোমার দৌলতে বর্ধমানের ঠাকুর এবার দেখা হয়ে গেল।
হুম দিদি,বড় প্যান্ডেলগুলো তো এখনো বাকি রয়েছে।সেগুলো পরবর্তীতে শেয়ার করবো তুমি দেখে নিও যদিও খুব একটা জমজমাটভাবে তৈরি করিনি এই বছর তারপরও।অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে💝।