"কামরাঙ্গার পকোড়া রেসিপি"
নমস্কার
কামরাঙ্গার পকোড়া রেসিপি:
কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে।অনেকদিন পর আজ একটু রোদের দেখা পেলাম।তাছাড়া বৃষ্টির দিনে মন যেন শুধু খাই খাই করে আর বড্ড বেশি খিদে পায় ভাজাপোড়া খেতে।যেন আলাদা একটা তৃপ্তি অনুভূত হয়।যে তৃপ্তি মনে প্রশান্তি এনে দেয় বৃষ্টির ফোটার রিমঝিম শব্দের মতোই।আসলে এই কামরাঙ্গা ফলের পকোড়া আগে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। এই প্রথমবারের মতো পকোড়া রেসিপি তৈরি করলাম অনেকটা সাহস নিয়েই।এটা ইউনিক ধরনের একটি রেসিপি তাই এখানে শেয়ার করলাম।আজ তৈরি করেছি আমাদের গাছের কামরাঙ্গা ফলের পকোড়া রেসিপি।এই রেসিপিটি গরমের দিনে খুবই ভালো লাগে খেতে।এটি তৈরির পর দেখতে যেমন অনেক সুন্দর ও লোভনীয় লাগছিলো তেমনি খেতেও দারুণ মজার হয়েছিল।যদিও এর স্বাদ অনেকটাই টক জাতীয়।আশা করি এই রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের কাছেও।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপিটি শুরু করা যাক----
উপকরণসমূহ:
2.চিনি- 1টেবিল চামচ
3.বেসন - 1/2 কাপ
4.লবণ- 1/2 টেবিল চামচ
5.হলুদ-1/3 টেবিল চামচ
6.শুকনো মরিচ গুঁড়া-1 টেবিল চামচ
7.জিরা গুঁড়া- 1 টেবিল চামচ
8.পাঁচফোড়ন-1/3 টেবিল চামচ
9.পেঁয়াজ কুচি-2 টি
10.কাঁচা মরিচ কুচি-2 টি
11.সাদা তেল-1/2 বাটি
প্রস্তুত-প্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি গাছ থেকে দুটি কামরাঙ্গা পেড়ে নিলাম। এরপর ধুয়ে নিলাম জল দিয়ে।
ধাপঃ 2
এখন একটি গ্রেটারের সাহায্যে কামরাঙ্গা দুটি গ্রেট করে নিলাম।
ধাপঃ 3
তো এভাবে আমি গ্রেট করে নিলাম ,যদিও একেবারে মিহি হবে না।
ধাপঃ 4
তো আমার কামরাঙ্গা দুটি গ্রেট করে নেওয়া হয়ে গেল।এতে যেহেতু প্রচুর পরিমাণ জল বের হয় তাই আলাদাভাবে জল দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
ধাপঃ 5
এরপর এর মধ্যে সমস্ত রকম গুঁড়া মসলা এবং পরিমাণ মতো বেসন দিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 6
এখন ভালোভাবে হাত দিয়ে মিশিয়ে নিলাম সমস্ত উপকরণ।
ধাপঃ 7
এবারে চুলায় মিডিয়াম আঁচে পরিষ্কার কড়াই বসিয়ে তার মধ্যে সাদা তেল দিয়ে নেব পরিমাণ মতো।
ধাপঃ 8
এখন তেল হালকা গরম হয়ে গেলে তার মধ্যে কামরাঙ্গার মিশ্রণ অল্প অল্প করে দিয়ে দেব পকোড়া সেপ দিয়ে।
ধাপঃ 9
এরপর পকোড়াগুলো উল্টেপাল্টে ভেজে নেব বাদামি রঙের করে।
শেষ ধাপঃ
এখন মুচমুচে পকোড়াগুলি একটি পাত্রে তুলে নিলাম।
পরিবেশন:
এখন গরম গরম পরিবেশন করতে হবে সস দিয়ে পকোড়া গুলি।এটি খেতে হালকা টক জাতীয়,তবে দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও মজাদার।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
আসলে কামরাঙ্গার পাকোড়া আমি এই সর্বপ্রথম আপনার পোস্টে দেখতে পেলাম। এর আগে যেহেতু অনেকবার কামরাঙ্গা খেয়েছি তাই এই কামরাঙ্গা নিয়ে যে পকোড়া আপনি তৈরি করেছেন তা খাবার খুব ইচ্ছা হচ্ছে। আপনার এই পোস্টটি আপনি খুব সুন্দর ভাবে কামরাঙ্গার রেসিপিটা শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বৃষ্টি দিনে ভাজাপুড়া খেতে সবার মন চায় আপু। আসলে বসে থাকলে মানুষের মনে হয় বেশি ক্ষুধা লাগে।যাইহোক আপু আপনার রেসিপিটি কিন্তু অসাধারণ ছিল। পাকোড়া অনেক খেয়েছি কিন্তু কামরাঙ্গার পাকোড়া কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম একদিন তৈরি করব। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু প্রথমেই যখন আপনার পোস্টটি চোখে পড়ল তখন কামরাঙ্গা বলতে না বলতেই জিভে জল চলে এসেছে। তাছাড়া কামরাঙ্গা দিয়ে আপনি খুবই দারুণ একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপিটি আমার আগে খাওয়া হয়নি। তাই দেখে খাওয়ার ইচ্ছা বেড়ে গেল। অসংখ্য ধন্যবাদ ইউনিক রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটা জিনিস তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। কামরাঙ্গা ব্যবহার করে যে এত সুন্দর পকোড়া তৈরি করা যায় সেটা আমি ভাবতে পেরেছিলাম না। বিভিন্ন ধরনের একটা জিনিস আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বোন, তোমার শেয়ার করা এই কামরাঙ্গার পকোড়া রেসিপিটি পুরোপুরি ইউনিক লাগলো আমার কাছে। এইভাবে আগে কখনো কামরাঙ্গার পকোড়া তৈরি করে আমি খাইনি। যাইহোক, এত সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে যেমন লোভনীয় লাগছে খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল দিদি।নতুন একটি রেসিপি আপনার মাধ্যমে শিখে নিলাম । অনেক ধন্যবাদ মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই আপু বৃষ্টির দিনে ভাজাপোড়া খেতে দারুণ লাগে। আপনি বেশ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। কামরাঙ্গার পকোড়া রেসিপি দেখে তো লোভ সামলাতে পারছি না। কারণ মাঝেমধ্যে ভাজাপোড়া খেতে আমার খুব ভালো লাগে। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বৃষ্টির দিনে এইরকম ভাজাপোড়া খাওয়ার একটা ইচ্ছা জাগ্রত হয়ে থাকে একটু বেশি। তবে কামরাঙ্গার পকোড়া এটা এই প্রথম দেখলাম। বেশ ইউনিক ছিল আপনার পকোড়া টা। এবং বেশ চমৎকার উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
প্রথমে গাছের কামরাঙ্গা টি দেখেই জিভে জল চলে এসেছে সত্যি। এই রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি তবে আপনার রেসিপিটি দেখে ভীষণ লোভ লেগে গেলো।টক,ঝাল,মুচমুচে স্বাদের কামরাঙ্গার পাকোড়া ভীষণ লোভনীয় হয়েছে। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।