"মুচমুচে সরিষা শাকের পকোড়া রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
সরিষা শাকের ক্ষেত দেখতে যেমন ভালো লাগে তেমনি সরিষা ফুল বা পাতার রেসিপি খেতেও বেশ মজার।আজ আমি তৈরি করেছি সরিষা শাকের পকোড়া রেসিপি।যেটা বেশ মুচমুচে ও সুস্বাদু খেতে হয়েছিল।এছাড়া সরিষা শাক ভাজি করে ও খাওয়া যায়।সরিষা শাক শরীরের জন্য বেশ উপকারী।এছাড়া এই শাকে রয়েছে ভিটামিন এ, সি ও কে। যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।এই শাক খাওয়ার ফলে দৃষ্টিশক্তি ,হাড়ের সুরক্ষা এবং মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক---- আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের পকোড়া রেসিপিটা অনেক ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
উপকরণ পরিমাণ সরিষা শাক 1 মুঠি বেসন 5 টেবিল চামচ কাঁচা মরিচ 4 টি পেঁয়াজ কুচি 3 টি রসুন কুচি 5 কোয়া লবণ 1/2 টেবিল চামচ হলুদ 1/3 টেবিল চামচ জিরা গুঁড়া 1/3 টেবিল চামচ লাল মরিচ গুঁড়া 1/2 টেবিল চামচ গোটা জিরা 1/3 টেবিল চামচ সাদা তেল 100 গ্রাম জল ধাপঃ 1
প্রথমে আমি সরিষা শাক নিয়ে নিলাম ।তারপর শাকের পাতাগুলি বেছে নিলাম ভালোভাবে।ধাপঃ 2
এরপর আমি শাকের পাতাগুলো কুচি কুচি করে কেটে নিলাম বটির সাহায্যে।একইসঙ্গে পেঁয়াজ,কাঁচা মরিচ ও রসুন কুচি করে কেটে ধুয়ে নিলাম।ধাপঃ 3
এবারে শাকগুলি ধুয়ে নিয়ে পেঁয়াজ কুচি যোগ করলাম তার সঙ্গে।ধাপঃ 4
এরপর সব গুঁড়া মসলার উপকরণ বেসনের সঙ্গে মিশিয়ে সরিষা শাকের সঙ্গে যোগ করলাম।ধাপঃ 5
এরপর সামান্য জল দিয়ে ভালোভাবে হাত দিয়ে মিশিয়ে নিলাম।ধাপঃ 6
তো আমার পকোড়ার মিশ্রণটি তৈরি করা হয়ে গেছে।ধাপঃ 7
এখন আমি ছোট ছোট কয়েকটি ভাগ করে নিলাম পকোড়ার মিশ্রণটিকে।ধাপঃ 8
এরপর চুলায় মিডিয়াম আঁচে একটি পরিষ্কার কড়াই বসিয়ে তাতে বেশি পরিমাণে সাদা তেল দিয়ে গরম করে নিলাম।ধাপঃ 9
তেল গরম হয়ে গেলে পকোড়ার মিশ্রনের একটি করে ভাগ দিয়ে দিলাম।ধাপঃ 10
এবারে পকোড়াগুলি উল্টেপাল্টে লাল রঙের করে ভেঁজে
তুলে নিলাম পাত্রে।শেষ ধাপঃ
তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার " মুচমুচে সরিষা শাকের পকোড়া রেসিপি"।
এবারে এটি গরম গরম পরিবেশন করতে হবে এমনি কিংবা টমেটোর সস দিয়ে। এটি খুবই মুচমুচে ও মজার খেতে।আপনারা চাইলে এভাবে এটি ট্রাই করে দেখতে পারেন।
🌸🌸🌸ধন্যবাদ সকলকে🌸🌸🌸
ক্যামেরা: poco m2
অভিবাদন্তে: @green015
টুইটার লিংক
সরিষা শাকের পাকোড়া আগে কখনো খাইনি। তাই এই রেসিপিটি আমার কাছে অনেক ইউনিক একটি রেসিপি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আমি অবশ্যই বাসায় একদিন এইভাবে ট্রাই করে দেখব। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সত্যিই খুব সুস্বাদু আপু,অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
সরিষার শাক দিয়ে কখনো পকোড়া তৈরি করে খাওয়া হয়নি। সত্যি বলতে সরিষার শাক আমি কখনো খাইনি এটা আমার দেখা একটা ইউনিক শাকের রেসিপি। তবে তেলে ভাজি করা মচমচে পকোড়া দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। অনেক লোভনীয় ছিল দিদি।
শুধু লোভনীয় নয় ভাইয়া, খেতেও অনেক সুস্বাদু।খেয়ে দেখবেন একদিন, ধন্যবাদ আপনাকে।
সরিষার শাক ভাজি খেয়েছি কিন্তু কখনো সরিষার শাক দিয়ে পকোড়া খাওয়া হয়নি। শীতের ভিতর গরম গরম যে কোন খাবার খেতে দারুন লাগে।রেসিপি প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে লোভনীয় হয়েছে খেতেও নিশ্চয়ই মজা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে
খেতে অনেক মজার ছিল ভাইয়া, অবশ্যই শীতের সময় খেয়ে দেখবেন রেসিপিটা।ধন্যবাদ আপনাকে।
সরিষা শাকের পকোড়া আমি খেয়েছি দিদি ৷ আসলে এটা খেতে খুবই মজার ৷ আপনি আজ সুন্দর ভাবে সরিষা শাকের পকোড়া রান্না করেছেন ৷ আপনার রেসিপি দেখে তো লোভ লেগে যাচ্ছে আমার ৷ ধন্যবাদ দিদি আপনাকে মজাদার একটি রেসিপি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
ভাইয়া, পাকোড়া রেসিপি একবার খেলেও বারবার খাওয়ার প্রতি আগ্রহ জাগে।লোভনীয় খাবার বলে কথা,অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি আপনার সরিষা শাকের পাকোড়া দেখে জিভে জল চলে আসলো। আমার তো এখনি খেতে ইচ্ছে করছে। আমি সরিষা ফুলের পাকোড়া খেয়েছি কিন্তু কখনো শাকের পাকোড়া খাওয়া হয়নি। তবে সরিষা শাক খেতে অনেক ভালো লাগে। আমার কাছে আপনার এই রেসিপি অনেক ইউনিক লেগেছে। ধন্যবাদ দিদি মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু, আমি কখনো সরিষা ফুলের বড়া তৈরি করে খায়নি তবে শুনেছি অনেক মজার খেতে।এটাও অনেক মজার খেয়ে দেখবেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
সরিষা শাক ভাজি করে খেয়েছি অনেক কিন্তু কখনো সরিষা শাকের পাকোড়া তৈরি করে খাওয়া হয়নি। অনেকে দেখি ফুলের বড়া তৈরি করে খায়। যেকোনো ধরনের পাকোড়া তৈরি করলেই খেতে ভালো লাগে। আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লাগে। শীতের সময় গরম গরম সরিষা শাকের পকোড়া খাওয়ার মজাই আলাদা। আপু আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরির পদ্ধতি তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপু আমি কখনো সরিষা ফুলের বড়া তৈরি করে খায়নি তবে শুনেছি অনেক মজার খেতে।ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতের সময় বিকেলবেলা এরকম গরম গরম পাকোড়া গুলো খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। সরিষার শাক ভাজি খেয়েছি। তবে এভাবে পাকোড়া করে কখনো খাওয়া হয়নি। এভাবে আমি একদিন তৈরি করে দেখব। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে মজার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই বেশ মজার খেতে আপু, খেয়ে দেখবেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন সরিষা ক্ষেত দেখতে খুব সুন্দর লাগে। আপনি আজ সরিষা পাতা দিয়ে খুব সুস্বাদু একটি পাকোড়া বানিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার রান্নার প্রণালী আমার ভাল লেগেছে। কালার এত সুন্দর এসেছে দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। ধন্যবাদ আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া, আপনার প্রশংসামূলক মন্তব্যের জন্য।
কনকনে শীতে বিকেলে বা, সন্ধ্যায় গরম গরম পকোড়া খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে মুচমুচে সরিষা শাকের পকোড়া রেসিপি ঐ করেছেন। দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। পকোড়ার মধ্যে সরিষা পাতা দেওয়াতে খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। এত চমৎকার রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনি ও তৈরি করে ফেলুন এভাবে ,দারুন মজার খাবার এটি।ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।