"ডাটা শাক দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।আজ আমি একটি ভিন্নধর্মী রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।আশা করি রেসিপিটা ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।
ডাটা শাক দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি:
শীতকাল মানে নানান সবজির সঙ্গে সঙ্গে নানান শাকের প্রাচুর্য।তাই আজ আমি রান্না করেছি সাদা শাকের ডাটা দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি।যদিও আমি এর সঙ্গে কয়েকটি আলু যুক্ত করেছি ।কারন শুধু ডাটা খেতে কেমন পানসে লাগে ।তাছাড়া এই শাকের ডাটাগুলি আমাদের বাড়িতে লাগানো।লাল শাকের ডাটা ও ছিল কিন্তু আমার তেমন পছন্দ নয়।তাই সাদা শাকের ডাটা দিয়েই রেসিপি তৈরি করলাম।শাকের ডাটায় প্রচুর পরিমানে ভিটামিন রয়েছে এবং চিবাতে ও মজা লাগে।রেসিপিটা খুবই সুস্বাদু হয়েছিল খেতে।তো চলুন শুরু করা যাক রেসিপিটা---
উপকরণসমূহ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
রুই মাছ | ৮ পিচ |
সাদা ডাটা শাক | |
আলু | ২ টি |
পেঁয়াজ কুচি | ২ টি |
রসুন কুচি | ১ টি |
কাঁচা মরিচ | ৬ টা |
লবন | ১.৫ টেবিল চামচ |
হলুদ | ১ টেবিল চামচ |
জিরে,আদা ও শুকনো মরিচ একত্রে বাটা | ৫ টেবিল চামচ |
পাঁচফোড়ন | ১/২ টেবিল চামচ |
গোটা শুকনা মরিচ | ২ টি |
সরিষার তেল | ৬০ গ্রাম |
জল পরিমাণ মতো |
প্রস্তুতপ্রণালি:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি সাদা ডাটা শাক ও আলু কেটে নিলাম পরিস্কার করে বটির সাহায্যে।
ধাপঃ 2
এরপর কেটে নেওয়া সবজি ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম জল দিয়ে।
ধাপঃ 3
এবারে একটি পরিষ্কার কড়াই নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিলাম মিডিয়াম আঁচে।কড়াইতে সামান্য তেল দিয়ে সবজি দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 4
এরপর সবজির মধ্যে হলুদ দিয়ে নেড়েচেড়ে ভেঁজে নিয়ে জল দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো।
ধাপঃ 5
এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দিলাম তরকারীটি সেদ্ধ হওয়ার জন্য।
ধাপঃ 6
কিছু সেদ্ধ আলু তুলে নিয়ে গ্লাসের সাহায্যে চেপে ম্যাশ করে নিলাম এবং তরকারীতে পুনরায় যুক্ত করে দিলাম।
ধাপঃ 7
এবারে আগে থেকে ভেঁজে রাখা কিছু রুই মাছের পিচ নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 8
এরপর তরকারির মধ্যে মাছগুলি দিয়ে ফুটিয়ে নেব কিছুক্ষণ।কিছুক্ষণ পর তরকারীটি একটি পাত্রে নামিয়ে নেব।
ধাপঃ 9
এবারে কড়াইতে তেল দিয়ে তার মধ্যে পাঁচফোড়ন ,পেঁয়াজ কুচি ,রসুন কুচি ও শুকনো মরিচ দিয়ে নেড়েচেড়ে ভেঁজে নেব।
ধাপঃ 10
এরপর বেঁটে রাখা মসলা দিয়ে কষিয়ে নেব।
ধাপঃ 11
এবারে তরকারীটি পুনরায় ঢেলে দেব কষানো মসলার মধ্যে।
শেষ ধাপঃ
কিছুক্ষণ তরকারীটি নেড়েচেড়ে ফুটিয়ে নেব ছোট বলক আসা পর্যন্ত।এরপর নামিয়ে নেব একটি পাত্রে।
পরিবেশন
তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার ডাটা শাক দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি।এবারে এটি পরিবেশন করতে হবে গরম গরম ভাতের সঙ্গে।এটি খুবই স্বাদের ও মজার খেতে।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের রেসিপিটা অনেক ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
টুইটার লিংক
ডাটা শাখেতে আমার খুবই ভালো লাগে। এই ডাটা শাকগুলো যে কোন কিছু দিয়ে রান্না করলেই খুবই সুস্বাদু হয়। আপনি তো অনেক মোটা একটি রুই মাছ দিয়ে ডাটা রান্না করেছেন।আপনার রান্না দেখেই বোঝা যাচ্ছে রান্নাটি অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে রান্নাটি শেষ করেছেন। অনেক সুন্দর রান্নার বর্ণনাও দিয়েছেন। সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া, রুই মাছটি বড় ছিল।ধন্যবাদ আপনাকে ,সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
রুই মাছের অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু রেসিপি প্রস্তুত করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখেই লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজাদার হবে।।
আর শীতকালের বিভিন্ন ধরনের সবজি সাথে রেসিপি খেতে সব সময় অনেক মজাদার হয়ে থাকে।।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, সবজি খেতে আসলেই বেশ মজার।ধন্যবাদ আপনাকে।
ডাটা শাক দিয়ে রুই মাছের রেসিপি খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। আপনার রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে এসেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার সুন্দর মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ আপু।
আলু দিলে ডাটা শাকের পানসে ভাবটা কিছুটা চলে যায়। শীতকালে রুই মাছ আর ডাটা শাকের এই পাতলা ঝোলটা আমার খুব পছন্দের। দেখতে সত্যি খুব সুন্দর হয়েছে, খেতেও নিশ্চয়ই খুব ভালো হবে।
দাদা এটা তোমার পছন্দের রেসিপি জেনে খুশি হলাম।এটি সত্যিই খেতে ভালো হয়েছিল, ধন্যবাদ।
জি আপু আপনার রেসিপিটি সত্যি ভিন্ন ধরনের । ডাটা শাক দিয়ে রুই মাছের ঝোল। এরকমের রান্না আমি এর আগে কখনও খাইনি। তবে আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপিটির প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আমার কিন্তু রেসিপিটিকে ইউনিক মনে হচেছ।
এভাবে অবশ্যই একদিন ট্রাই করে দেখবেন আপু।আশা করি ভালো লাগবে, ধন্যবাদ আপনাকে।
রুই মাছ, সাদা ডাটা ও আলুর সমন্বয়ে সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার আজকের এত সুন্দর রেসিপি আমাকে মুগ্ধ করেছে। আপনি রেসিপি প্রস্তুতের পূর্বে অনেক সুন্দর করে টেবিল আকারে সর্ব উপাদানগুলো উপস্থাপন করে দেখেছেন। প্রস্তুতকৃত উপাদান গুলোর সাজানো ধরনটা বেশ মনোমুগ্ধকর। এবং সর্বশেষে রান্নার পরিচয়টা তুলে ধরেছেন ধাপে ধাপ। যেখানে আপনার দক্ষতার পরিচয় ফুটে ওঠে এসেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার প্রশংসাভরা মন্তব্যের জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু শীতকাল মানে বিভিন্ন সবজির সমারহ। আর এই সবজিগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে আর অন্য সময় সবজির ততটা স্বাদ পাওয়া যায় না। আপনি ডাটা দিয়ে রুই মাছের মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন সাথে আলু দিয়ে ভালোই করেছেন আলু ছাড়া যেন তরকারি জমেইনা। আমি তো যেকোনো তরকারিতে আলী ছাড়া চিন্তাই করতে পারি না। শেষে গিয়ে তরকারি কালারটা একেবারে চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে সেটা কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
আসলে জায়গা পরিবর্তন করে ছবি তোলার জন্য কালার পরিবর্তন হয়েছে আপু।সত্যিই আপু,আলু ছাড়া ভাবা যায় না।ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতকাল মানেই নানান রকম সবজির সমাহার। শীতের সবজি খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি রান্না করতে ভালো লাগে। রুই মাছের সাথে যেকোন সবজি রান্না করলে খেতে অনেক মজার হয়। ডাটা শাক আমার ভীষণ প্রিয়। মাছের সাথে রান্না করলে যেমন ভাল লাগে তেমনি শুটকি মাছের সাথে রান্না করলেও খেতে বেশ মজার হয়। আপু আপনার তৈরি করা রেসিপি দারুণ হয়েছে।
আপু, সত্যি বলতে আমি শুটকি মাছের ঘ্রাণ ভালো লাগে না বলে খেতেও পারি না।ধন্যবাদ আপনাকে।
ডাটা শাক দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি দারুন হয়েছে। আমি এভাবে কখনো খাইনি দিদি। রুই মাছ খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। সব মিলিয়ে চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমিও শিখে নিলাম।
ভাইয়া, এভাবে অবশ্যই একদিন ট্রাই করে দেখবেন।আশা করি ভালো লাগবে, ধন্যবাদ আপনাকে।