"কালোজিরা দিয়ে তালের ফোপরার বড়া পিঠা রেসিপি"
নমস্কার
কালোজিরা দিয়ে তালের ফোপরার বড়া পিঠা রেসিপি:
তাল খুবই জনপ্রিয় একটি ফল।যে ফল খুবই সুস্বাদু, ঘ্রানযুক্ত এবং সবকিছুই খাওয়ার উপযুক্ত।তাল কাঁচা ও পাকা অবস্থায় যেমন খাওয়া যায় তেমনি এর আটির ভিতরের শাঁস বা ফোপরাও খাওয়া যায়।যেটা অসম্ভব মজার খেতে।তাই আমি আজ তৈরি করেছি কালোজিরা দিয়ে তালের ফোপরার বড়া পিঠা রেসিপি।এই রেসিপিটি খুবই কম উপকরণ দিয়ে তৈরি করা যায় এবং খেতে খুবই মজাদার হয়ে থাকে।বিশেষ করে খাওয়ার সময় যখন মুখে কালোজিরাগুলি পড়ে তখন আলাদা একটা স্বাদ ও ঘ্রাণ অনুভূত হয়।তবে এই তালের আটি কাটা সহজ বিষয় নয়, এটা খুবই কষ্টের ও সময়সাপেক্ষ একটি কাজ।যাইহোক রেসিপিটি খাওয়ার পর সেই কষ্ট কিন্তু মিলিয়ে যায়।আশা করি এই রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের কাছেও।তো চলুন শুরু করা যাক ভিন্নধর্মী রেসিপিটি---
উপকরণসমূহ:
2.লবণ- 1/3 টেবিল চামচ
3.কালোজিরা - 1 টেবিল চামচ
4.ময়দা- 2.5 কাপ
5.চিনি-1 কাপ
6.সাদা তেল-1.5 কাপ
প্রস্তুত-প্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে দা দিয়ে তালের আটিগুলি কেটে নেব।তারপর একটি চামচের সাহায্যে বের করে নেব আটি থেকে শাঁসগুলি।
ধাপঃ 2
এরপর বের করে নেওয়া ফোপরাগুলি জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেব।
ধাপঃ 3
এখন শীল-পাটার সাহায্যে ফোপরাগুলি বেঁটে নেব অর্ধভাঙা করে।
ধাপঃ 4
তো আমি এভাবে একেবারে মিহি না করে বেঁটে নিলাম ফোপরাগুলি।
ধাপঃ 5
এবারে একটি পাত্রে তুলে নিলাম বেঁটে নেওয়া শাঁসগুলি।
ধাপঃ 6
এখন বাকি উপকরণের মধ্যে তালের ফোপরাগুলি নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 7
এবারে সবগুলো উপকরণ একত্রে মেখে নেব হাত দিয়ে।
ধাপঃ 8
আমি এখানে কোনো জল ছাড়াই মেখে নেব উপকরণগুলি।
ধাপঃ 9
তো এভাবে আমি কলার বরার মতো করে মেখে নিলাম।
ধাপঃ 10
এখন কড়াইতে সাদা তেল দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো।
ধাপঃ 11
এরপর তেল গরম হয়ে গেলে অল্প অল্প করে মিশ্রণ নিয়ে তেলের মধ্যে ছেড়ে দেব।
ধাপঃ 12
এবারে বরাগুলি নেড়েচেড়ে লাল রঙের করে ভেজে নেব।
শেষ ধাপঃ
এভাবে আমি সব বরা ভেজে নিলাম এবং একটি পাত্রে তুলে নিলাম।
পরিবেশন:
এখন এটি গরম কিংবা ঠান্ডা অবস্থায় পরিবেশন করতে হবে।এটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি খেতেও খুবই মজাদার হয়েছিল।পিঠার ভিতরটা সুন্দরভাবে কুচানো হয়েছিল।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
টুইটার লিংক
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thanks.
তালের বড়া খেয়েছি কিন্তু তালের ফোকরার বড়া কখনো খাওয়া হয়নি। এটা আমার দেখায় একটা ইউনিক রেসিপি অনেক লোভনীয় লাগছে দিদি মজাদার এই রেসিপিটি তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুযোগ পেলে অবশ্যই খেয়ে দেখবেন ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে ও।
পাঁচফোড়ন দিয়ে তালের ফোপরার বড়া পিঠার ফটোগ্রাফি দেখেই তো আমার জিভে জল চলে আসলো। বলতে গেলে রেসিপিটি এতটাই লোভনীয় হয়েছে যে দেখেই যে কেউ খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করবে। আপনি চাইলে তো আমাদের একটু ইনভাইটও করতে পারেন আপু একসাথে বসে সবাই খাব হি হি হি। রেসিপিটির রন্ধন প্রক্রিয়া গুলি এবং বর্ণনাগুলো সহজ ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। মোটকথা আপনার পুরো রেসিপিটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে চেষ্টা করব বাসায় তৈরি করে খাওয়ার জন্য, ধন্যবাদ।
ভাইয়া, আপনাদের জন্য সবসময় দাওয়াত রইলো।যদিও আমি আপনাদের পরিবেশন করতে পারতাম নিজ হাতে তাহলে আমারও অনেক ভালো লাগতো।ধন্যবাদ আপনাকে।
তালের ফোপরা খেতে চমৎকার কিন্তুু তালের বিজের খোসা ছড়িয়ে বের করা কষ্টের।তালের ফোপড়া খেয়েছি ছোটবেলায় অনেক তবে এতো লোভনীয় বড়া করে খাওয়া যায় প্রথম দেখলাম ও জানালাম।ভীষণ লোভনীয় হয়েছে রেসিপিটি। ধাপে ধাপে তালের ফোপরা ও পাঁচফোড়ন বড়া গুলো বানানো পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ দিদি,এই তালের আটি কাটা খুবই কঠিন কাজ।ধন্যবাদ আপনাকে।
এই ফোপরাগুলি আমরা এমনিতেই খাই তবে এগুলো দিয়ে কখনো বড়া তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনার কাছে ভিন্ন ধরনের এই রেসিপিটা দেখে বেশ ভালো লাগলো। খেতে নিশ্চয়ই ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে। এই রেসিপিটা একদিন ট্রাই করে দেখব। মজার এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অবশ্যই ট্রাই করবেন আপু,আমরাও এটি এমনি খাই খুবই মজার।ধন্যবাদ আপনাকে।
তালের ফোপরার মাধ্যমে এতো সুন্দর বড়া রেসিপি তৈরি করা যায়, তা আসলে আমার জানা ছিল না। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে পাঁচফোড়ন দিয়ে তালের ফোপরার বড়া পিঠা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা পিঠা রেসিপি টি অসাধারণ হয়েছে আপু। আপনি একদম ইউনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে পিঠা রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার তৈরি করা পিঠা গুলো।
এখন জেনে গেলেন, চাইলে আপনিও খেয়ে দেখতে পারেন এভাবে বানিয়ে ভাইয়া।ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
কী অসাধারণ একটি আনকমন খাবারের রেসিপি পোস্ট করলে বোন। তালের ফোপড়ার পিঠে দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। দুর্দান্ত বানিয়েছো। এত সুন্দর করে সম্পূর্ণ রেসিপিটা আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই দুর্দান্ত খেতে এটি,ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
যদিও আমি তালের বড়া খাইনা। তবু আমার মনে হচ্ছে আপনার তৈরি করা আজকের তালের বড়া সত্যি বেশ অসাধারণ হয়েছে। আমি কিন্তু বেশ দারুন মুগ্ধ হয়েছি আপনার রেসিপি দেখে। ধন্যবাদ এমন দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু,তালের বরা নয় এটি।এটা তালের আটির ফোপরার বরা রেসিপি, ধন্যবাদ আপনাকে।
এই জাতীয় তালের রেসিপি গুলো আমি খুবই পছন্দ করে থাকি। এখন অবশ্য গাছে তাল নেই তবে অনেকে সংরক্ষণ করে রেখে দিয়েছেন ফ্রিজে আর তারাই এভাবে সুন্দর সুন্দর রেসিপি তৈরি করতে পারেন। তবে অনেক সময় দেখা যায় তাল গাছে তাল থাকে। যাইহোক আপনার রেসিপি দেখে মনে হলে অনেক সুস্বাদু ছিল। এগুলো আমাদের গ্রামীণ ভাষায় বড়া বলা হয়ে থাকে।
ভাইয়া, তাল থেকে লাভ নেই তালের আটি থাকা প্রয়োজন।আর আমরা সেটাই সংরক্ষণ করে রেখেছিলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।