"কিছু ভিন্নধর্মী পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"
নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি গরমকে সঙ্গে নিয়েও সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।তবুও সকলকে বেশ সাবধানে থাকতে হবে এমন আবহাওয়াতে।অনেকদিন পর আমি আজ চলে আসলাম ভিন্ন ধরনের ব্লগ নিয়ে।সেটি হলো-"কিছু ভিন্নধর্মী পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"।
কিছু ভিন্নধর্মী পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি:
আলোকচিত্র: 1
এই পেইন্টিংটি করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দামোদর শেঠ কবিতার আদলে।এটি ভীষণই মজার কবিতা, যেখানে দামোদর শেঠের শরীরের ভারে কোনো জামা-ই ঠিকভাবে হয় না।আর তার খাবারের ফর্দ ইয়া বড় এবং ভেটকি,মুড়কি এবং ঘি ছাড়া তিনি আহার করতেন না।
আলোকচিত্র: 2
এই পেইন্টিংটি কিছুটা জটিল বিষয়কে কেন্দ্র করে।যদিও এর অর্থ আমি বুঝতে পারিনি তবে ছবিটি সহজ বলে মনে হয়।একজন ব্যবসায়ী কিছু কাঠ ও কিছু মাটির বড় হাড়ি বিক্রি করছে সম্ভবত।আর আগেকার যুগের সেই ধূমপান করতেও দেখা যাচ্ছে তাকে।
আলোকচিত্র: 3
এই পেইন্টিংটি করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা আমাদের ছোট নদী কবিতার আদলে।এই কবিতাটি ভীষণই সুন্দর এবং ছোটবেলায় এই কবিতাটি আমার খুবই প্রিয় ছিল।একদমে মুখস্ত বলে ফেলতাম কবিতাটি,নদীকে কেন্দ্র করে গরু ,মাছ সকল কিছু ফুটে উঠেছে এতে।
আলোকচিত্র: 4
এটি একটি কালো রঙের প্রতিচ্ছবি।যেখানে একজন ঢাকি শরৎ আসার আগমনে ঢাক বাজাচ্ছে।ঢাকের মাথায় রয়েছে একগুচ্ছ কাশফুল।আর কাশফুল না হলে যেন শরৎকাল ঠিক পরিপূর্নতা খুঁজে পায় না।
আলোকচিত্র: 5
নাম তার মতিঝিল এই পেইন্টিংটি অসম্ভব সুন্দর।নামের মধ্যেই সকল বিশেষত্ব লুকিয়ে রয়েছে।যেমন ঝিলের পাশে ইয়া বড় গাছ আর তার ছায়ায় চড়ে বেড়াচ্ছে হাঁসেরা।পাখিরা আকাশে উড়ে যাচ্ছে আর ঝিলের পাশে সুন্দর বাড়ি রয়েছে।
আলোকচিত্র: 6
এটি হচ্ছে একটি দুর্গাপূজা মন্ডপের বসার স্থান।যেখানে মন্ডপ পরিচালনাকারীরা বিভিন্ন সম্বর্ধনা পুরস্কার সাজিয়ে রেখেছেন।যাতে দুর্গা মায়ের মুখের অনেক মূর্তি রয়েছে।এখানে মায়ানমারের স্বর্ণমন্দিরের প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছিল।
আলোকচিত্র: 7
এটি হচ্ছে ল্যাম্প এর ছবি।এটিও বিলুপ্তির পথে, আগেকার সময়ে নানা ডিজাইনের ল্যাম্প পাওয়া যেত।আমাদের বাড়িতে এখনো ল্যাম্প রয়েছে।আমার দিদিমা এই ল্যাম্পকে টেমি বলেন।
আলোকচিত্র: 8
এটি হচ্ছে বিলুপ্ত প্রায় হ্যারিকেনের ছবি।আমরা আমাদের ছোটবেলা কাটিয়েছি এই হ্যারিকেনের আলোতে পড়ে।গ্রামে এখনো দেখা যায় এটি,যদিও এর ব্যবহার অনেক কমে গিয়েছে।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
বাহ প্রাচীন কিছু নিদর্শন নিয়ে আপনার আজকের আলোকচিত্রটি সাজিয়েছেন আপনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বেশ কয়েকটি দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। এখনতো ল্যাম্প এবং হারিকেন নাই বললেই চলে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি যেন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোকে জানান দিচ্ছে। আশা করছি পরবর্তীতে আরো অজানা এরকম ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
চেষ্টা করবো ভাইয়া, সুন্দর আরও কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।ধন্যবাদ ভাইয়া উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
আপু আজকে তো আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। তবে এটা আপনি ঠিকই বলেছেন হারিকেন এখন প্রায় বিলুপ্ত পথে কিন্তু আমাদের বাড়িতে এখনো হারিকেন আছে। যদিও সেটা জ্বালানো হয় না কিন্তু স্মৃতি হিসেবে রাখা হয়েছে। আমার মা বলে এটা নাকি আমি যখন খুব ছোট ছিলাম তখন আমার নানীরা দিয়েছিল। এরকম সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার নানীর দেওয়া হ্যারিকেনের কথা জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
"সহজ পাঠ" থিম এর কিছু পেইন্টিং মনে হয় আগেও দেখেছিলাম। আজকের গুলো দেখেও রীতিমতো মুগ্ধ হয়ে গেলাম বোন। এই ধরনের পেইন্টিং গুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে আমার। যাইহোক, একদম শেষে শেয়ার করা বিলুপ্ত প্রায় হ্যারিকেনের ছবিটা দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। কারণ আমি ছোটবেলায় এই হ্যারিকেনের আলোতে পড়াশোনা করতাম।
হ্যাঁ দাদা,সহজপাঠ থিমের অনেক ছবিই আমি শেয়ার করে ফেলেছি আগেই আর কয়েকটা মাত্র পড়ে আছে গ্যালারিতে।ধন্যবাদ তোমাকে।
সহজপাঠ থিমের অনেক কিছুই দেখার সুযোগ পেয়েছি বোন, তোমার শেয়ার করা ওইসব ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে।
😊😊
সব গুলো ভিন্নধর্মী পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফিই অনেক সুন্দর ছিল। তবে দামোদর শেঠের পেইনটিং ও তার বিশদ বর্ণনা পড়ে হাঁসতে হাঁসতে শেষ। ভেটকি,মুড়কি, ঘি খেয়ে কি বুড়ি বানিয়েছে,কোন কাপড়ই তার আটে না। এইতো বুড়ি নই যেন গোদাম,হা হা হা। ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া, কবিতাটিও পড়তে খুবই হাসি পায়।
আপনার ভিন্ন ধর্মী পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ লাগছে।আজকাল হারিকেন নেই বললেই চলে।তবে হারিকেনের ফটোগ্রাফি টি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।
সেই ছোটবেলায় হারিকেন দেখেছিলাম। আমাদের ছোট নদী এর ফটোগ্রাফিটি দেখে কবিতার কথা মনে পড়ে গেল। এই কবিতাটি অনেক জনপ্রিয়। বেশ দারুন ছিল আপনার পেইন্টিং গুলো ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু,আসলেই এই কবিতাটি খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।ধন্যবাদ আপনাকে।