চশমা কিনতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। চশমা কিনতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আরেকটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছে। আজকে ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট নিয়ে এসেছি। বেশ কিছুদিন আগে আমার চশমা তে গিয়েছিলাম তার কিছু মুহূর্ত তোমাদের মাঝে শেয়ার করব। বেশ কয়েকদিন আগে একটা ব্লগের মধ্যে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম আমার চোখের সমস্যার কথা। সে পোষ্টের মধ্যে আমি বলেছিলাম যে আমার বেশ অনেকদিন চোখে সমস্যা হচ্ছিল। তারপর আমি ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম ডাক্তার আমার টেস্ট করেছিল এবং চোখের ড্রপ এবং একটা চশমা দিয়েছিল। সে চশমাটা বানানোর জন্য দিয়েছিলাম। চশমা যে গ্লাস ছিল সেগুলো আমাদের এদিকে ভালো ছিল না সেজন্য ঢাকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল।
চশমা দোকানে এসে চশমার গ্লাস গুলো অর্ডার দেওয়া হয়েছে তারা ঢাকা থেকে নিয়ে আসতে বেশ অনেকদিন সময় লেগেছে। এরপর তারা যখন ঢাকা থেকেই চশমার গ্লাসগুলো নিয়ে আসে তারা আমাদেরকে জানায়। এরপর আমি একদিন গিয়েছিলাম চশমার ফ্রেম চয়েস করতে। কোন ধরনের চশমা দিলে ভালো হবে চিন্তা করছিলাম। যেহেতু চশমা আমাকে রেগুলার ব্যবহার করতে হবে। সেজন্য একটা কমফোর্টেবল এবং সব সময় ব্যবহার করা যায় এরকম চশমার ফ্রেম সিলেক্ট করতে হবে। বিভিন্ন মানুষ থেকে খোঁজ নেওয়ার পর জানতে পারলাম যে প্লাস্টিকের চশমার ফ্রেমগুলো ব্যবহারে অনেক সুবিধা রয়েছে সেগুলো অনেক হালকা পাতলা।
অন্যান্য চশমার ফ্রেমগুলো নাকি একটু ভারি হয় রেগুলার ব্যবহার একটু ওজন ওজন মনে হয়। সেজন্য আমি ঠিক করে নিলাম আমি প্লাস্টিকের ফ্রেম গুলোই নিব। দোকানে যাওয়ার পর তারা অনেক ধরনের ফ্রেম বের করে আমি লাগিয়ে দেখছিলাম কোনটা ব্যবহার করলে আপনাকে ভালো লাগবে। আমি তাদেরকে প্লাস্টিকের ফ্রেমগুলি বের করতে বললাম এবং তার অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফ্রেম বের করল। তার মধ্য থেকে আমি হালকা গোলাপি কালারের চশমাটা ফ্রেম সিলেক্ট করে নিলাম। এই ফ্রেম সিলেক্ট করার পর তারা যে চশমার গ্লাসগুলো ঢাকা থেকে নিয়ে এসেছিল সেগুলোই ফ্রেমের মধ্যে সেট করে দেয়। তার জন্য কিছুটা সময় লেগেছিল। চশমা দোকানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর তারা আমাকে সবকিছু ঠিক করে দেন।
এরপর শুরু হয় আমার চশমাময় জীবন। আমি একদমই রেগুলার ব্যবহার করতে পারি না কারণ আমার ছেলে আরুশ আমাকে চশমা পড়তে দেয় না। আমি যখনই চশমা পড়ি সে আমার মুখের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকবে কিছুক্ষণ তারপর হাত দিয়ে সেই চশমাটা চোখ থেকে টেনে নিয়ে যাবে। তাছাড়া প্রথম প্রথম তো আমার নিজেরও চশমা পড়তে কিছুটা অসুবিধে হয় যেহেতু আমার একটা চোখের সমস্যা সেজন্য একটা গ্লাসের মধ্যে বেশি পাওয়ার রয়েছে। আরেকটার মধ্যে তার তুলনায় একটু কম রয়েছে। সেজন্য চশমা লাগানোর পর দেখতেও কিছুটা সমস্যা হয়। কিন্তু সবাই বলছে কিছুদিন ব্যবহার করলে এরপর সব কিছুই ঠিক হয়ে যাবে।
চোখ আমাদের মূল্যবান সম্পদ। যার চোখে সমস্যা থাকে বা চোখ দিয়ে সমস্যা করতে তারাই জানে যে যারা সুস্থ রয়েছে তারা কতটা ভালো রয়েছে। আগে আমি মনে করতাম যারা চশমা পড়তো তাদের কে কি সুন্দর লাগে আসলে তাদেরই সুন্দর লাগার পিছনে যে কতটা কষ্ট আর দুঃখ বেদনা রয়েছে সেটা এখন বুঝতে পারছি। যাই হোক আপনারা আপনাদের চোখের যত্ন নিবেন। এই ছিল আমার আজকের পোস্ট আশা করি আপনাদের কাছে আজকে এই পোস্টটি ভাল লাগবে।
শ্রেণী | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এখন হতে কিউরেশন অন রাখতে চাইলে প্রতিদিন এই টাস্কগুলো সম্পন্ন করতে হবে।
https://steemit.com/hive-129948/@rex-sumon/very-important
হ্যাঁ আপু আপনার মত আমি নিজেও মনে করতাম। যারা চশমা ব্যবহার করে তাদেরকে দেখতে বেশ ভালো লাগে। তাদের চশমার পিছনে অনেক কষ্ট লুকিয়ে থাকে। তবে ভালো করেছেন চশমা নিয়ে। কারণ চোখে সমস্যা থাকলে চশমা ব্যবহার করা দরকার। আমার হাজবেন্ডও সব সময় চশমা ব্যবহার করে। চশমার কিনার মুহূর্ত খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।