স্বরচিত কবিতা: নীরবতা। || My poetry: The Silence.
নীরবতা কিংবা নীরব থাকা এমন একটি শক্তি যা সবার মধ্যে থাকে না। নীরবতা অনেক সময় অনেক বড় কিছু বয়ে নিয়ে আসে, আবার মাঝে মাঝে অনেক বড় বিপদ থেকেও বাঁচিয়ে নিয়ে আসে। নীরবতাকে সম্মতি সূচক ধরে নেয়া হয়, আবার নীরবতাকে ভদ্রতার আদব বলা যেতে পারে। নীরবতা ধৈর্য্য এবং নম্রতার সর্বোশ্রেষ্ঠ দিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রিয় মানুষটি মাঝে মাঝে ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেয়। দেখা যায় মাঝে মাঝে ছলনার আগুনে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দেয়, ঠিক সেই সময়টাতেও বুদ্ধিমান প্রেমিক নীরবতা পালন করে। সংসার নামক ঘানি টানতে টানতে স্বামী যখন পরিশ্রান্ত তখন ঘরনীর মানসিক নির্যাতন স্বামী নীরব থেকে সহ্য করে নেয়। নীরবতার শক্তিকে দ্বিগুন করে ঝাপিয়ে পরে দারিদ্র্যতা নামক দানবের সাথে যুদ্ধ করতে। আর স্ত্রী নামক সঙ্গিনী শুধুই বিষবাক্যে বিষাক্ততা ছড়াতে থাকে। নীরবতা এমন এক শক্তি যখন প্রবীণ মৃত্যুর খুব কাছাকাছি তবুও নীরব থেকে মেনে নিয়ে চলে যায় পরকালে।
নীরবতা সহজ সরল চাহনিতে
তুমি যাকে চেন আমি সেই
তবুও নিজেকে আড়াল করি।
নীরবতা আমার মলিন হাসিতে
তুমি যাকে হাসতে দেখ
হৃদয়ের ক্ষত লুকায়িত রাখি।
নীরবতা আমার হৃদয়ের যাতনায়
তুমি যাকে সহজ ভেবে নাও
অভিনেতা আমি, বড় অভিনেতা।
নীরবতা আমার খাঁ খাঁ বুকে
তুমি যাকে কষ্ট দিলে
শুনলেনা ভয়ানক আত্ম চিৎকার।
নীরবতা আমার নিঃশেষ হওয়ায়
তুমি যাকে ছাড়খার করে দিলে
বিষ বাক্য আর বিষাক্ততায়।
নিজের মত গুছিয়ে কবিতাটি লিখার চেষ্টা করেছি এবং অনুভূতি গুলো নিজের ভেতর থেকে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। আশা করি আমার কবিতাটি আপনাদের ভীষণ ভালো লেগেছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মতো বিদায় নিলাম।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
আপনার লেখা কবিতাগুলো সব সময় অসাধারণ হয়। আপনি কবিতার প্রতিটি লাইন খুব সুন্দর ভাবে মিলিয়ে লিখেছেন। সত্যি বলতে শত কষ্টের মাঝেও নীরব থাকা উচিত। আপনার লেখা কবিতাটির প্রতিটি লাইন অসাধারণ ছিল। প্রতিটি লাইন খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমি চেষ্টা করি সবসময়ই বাস্তবতার নিরিখে লিখার জন্য।
সু স্বাগতম ভাই দোয়া করি আপনার চেষ্টা সফল হোক।
https://x.com/emranhasan1989/status/1797691840025780693?t=KVqGqRt6-jefekygt-D4ag&s=19
আপনার লেখা কবিতা গুলো সব সময়ই ব্যাতিক্রম হয়। বাস্তবতা সম্পুর্ন একটি কবিতা। কবিতার পটভূমি পড়ে ভীষণ লাগলো। সত্যি বলতে সত কষ্টের মাঝে ও নিরব থাকা উচিত। সঠিক সময় আসবে তখন না হয় সব কথা বলা যাবে। উপরে কবিতার লাইন গুলো বেশি ভালো লেগেছে। প্রতিটা পুরুষ এক একজন বড় অভিনেতা। আপনার কবিতা পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যি অনেক বেশি ভালো লেগেছে। পরবর্তী কবিতার অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন এই কামনাই রইল ❣️
ধন্যবাদ লিমন, কবিতাটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। কবিতাটির অর্থের গভীরতা অনেক।
আপনার কবিতাগুলো সব সময়ই অসাধারণ হয়। আপনি কবিতার প্রতিটি লাইন ছন্দ মিলিয়ে উপস্থাপনা করেন। বিশেষ করে কবিতার পটভূমি পড়ে কবিতা সম্পর্কে ভালো ধারণা পেলাম। আপনি ঠিক বলছেন ভাই নীরবতা কিংবা নীরব থাকা এমন একটি শক্তি যা সবার মধ্যে থাকে না। আমি আপনার কবিতা পড়ে অনুপ্রাণিত হই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, দারুন একটি কবিতা আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ তোমাকে মন্তব্যের জন্য।
কবিতায় ছন্দের মিলের সাথে অর্থ আর আবেগের গভীরতা বিদ্যমান।
আপনার প্রথমে লেখা কথাগুলো শুনে আমার বেশ খারাপ লাগছে সঙ্গে সঙ্গে ভয়ও হচ্ছে। মূহূর্তের জন্য মনে হচ্ছে যেভাবে আছি এইভাবেই থাকব। এইসব বিয়ে সংসার এসবের মধ্যে যাব না। নীরবতা সবসময় গভীর একটা অর্থ একটা আফসোস প্রকাশ করে। যেটা বোঝার ক্ষমতা সবার থাকে না। কবিতা টা চমৎকার লিখেছেন ভাই। দারুণ ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
না ইমন ব্যাপারটা এমন নয়। সংসার ধর্ম তো করতেই হবে, তবে অবশ্যই দেখে শুনে এবং বুঝে। আর এমন মানুষ খুঁজতে হবে যার চাহিদা কম কিন্তু মানসিকতা বড়।
নিশ্চয়ই পাকিস্তানের তারিক জামিলের নাম শুনেছেন। তিনি একটা কথা বলেছিলেন, আপনি নীরব থাকেন, থাকতে থাকতে একদিন আপনি অধিক শক্তিশালী হয়ে উঠবেন। এটা ঠিক নীরব থাকাটা খুবই কঠিন। যেকোনো পরিস্থিতির মুখে নীরব থাকাটা কতটা কঠিন যে থাকে সে বুঝে। আপনার কবিতাটি পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনি সবসময় অনেক সুন্দর সুন্দর কবিতা আমাদের মাঝে উপহার দিয়ে থাকেন। আজকে ও নীরবতা নামের কবিতাটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। কবিতার প্রতিটি লাইন দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন। সবমিলিয়ে এতো সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
যখন পৃথিবীতে কেউ আপন থাকে না তখন নীরবতাই একমাত্র সঙ্গী ।আর ঘরোয়া ঝামেলা সামলাতে তো সকলেই ক্লান্ত,সবাই নীরবতা খুঁজে পেতে ব্যস্ত।কিন্তু চাইলেই কি পাওয়া যায়, অসাধারণ উপস্থাপনার সঙ্গে দারুণ একটি কবিতা লিখেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।