আমার তোলা আলোকচিত্র:) ভিন্ন কিছুর খোঁজে। || My Exceptional Photography 🍀
ভিন্ন কিছুর খোঁজে |
---|
শুভ রাত্রি #amarbanglablog পরিবার 🤗 সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আমার চোখে যা ভালো লাগে তা সবসময়ই চেষ্টা করি সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরার। শুক্রবার মানেই আমার ফটোগ্রাফি দিবস এবং চমৎকার কিছু ছবি আপনাদের উপহার দেওয়ার দিন। সত্যি বলতে জীবন এবং জীবিকা তাগিদে পুরো সপ্তাহ বিভিন্ন জায়গায় ছুটে বেড়াই। তবে এই ছুটে বেড়ানোর সাথে সাথে আমার মোবাইলের ক্যামেরা সবসময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। যেখানেই একটু ভালো কিছু চোখে পড়ে সেটাই চেষ্টা করি ক্যামেরার মাধ্যমে সংরক্ষণ করে রাখতে। ছবিগুলা তোলার প্রধান উদ্দেশ্য থাকে আপনাদের সাথে শেয়ার করা।
এ সপ্তাহ বেশ কিছু চমৎকার ছবি নিয়ে হাজির হলাম। ছবিগুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে তোলা। যাই হোক চলুন দেখে আসি আজকে ফটোগ্রাফি দিবসে কোন কোন ছবিগুলো জায়গা পেয়েছে।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
কাকতাড়ুয়া মোটামুটি আমরা সবাই চিনি। বিশেষ করে গ্রাম গঞ্জের দিকে এ ধরনের কাকতাড়ুয়া বেশি দেখা যায়। এই কাকতাড়ুয়া তৈরি করার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বিভিন্ন পশুপাখি থেকে ফসলকে রক্ষা করা। সময়ের বিবর্তনে অনেক কিছুই হারিয়ে যাচ্ছে। হয়তো একটা সময় এই কাকতাড়ুয়াও হারিয়ে যাবে। যাই হোক হঠাৎ করে চমৎকার একটি কাকতাড়ুয়া চোখের সামনে পড়লো তাই ছবি উঠিয়ে নিলাম।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
অভিমানী বিড়াল। ইদানিং বিড়াল আমার কাছে বেশ ভালোই লাগে। কারণ হিসেবে বলা যায় বেশ কিছু বিড়ালের সাক্ষাৎ পেয়েছি কিছু দিনের মধ্যেই। আর প্রতিটি বিড়াল বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। হঠাৎ করেই বাসার সামনে এই মিষ্টি দেখতে বিড়ালের দেখা পেলাম। আমার কাছে একে অভিমানী বিড়াল মনে হয়েছে 😀
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এগুলো এক ধরনের বুনো ফল। এ ধরনের ফলগুলো হয়তো কেউ চিনবেন আবার কেউ হয়তো চিনবেন না। যারা একমাত্র গ্রামে বসবাস করেছেন তারাই এই ফলগুলো চিনতে পারবেন। কারণটা হলো ছোটবেলায় আমরা এই ফলগুলো দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করেছি। তবে এগুলো দিয়ে খেলার সময় কখনও মুখে দেয়ার কথা মনেও করিনি কারণ এগুলো বিষাক্ত ফল।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
কচুরিপানার ফুল আমার সব থেকে পছন্দের ফুল গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে কচুরিপানার ফুল। সাদা এবং বেগুনি রঙে রাঙানো চমৎকার এই ফুলটি দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। সত্যিই সৃষ্টিকর্তার অপার সৌন্দর্য যেন এখানে বিলীন হয়েছে।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
আমার ছাদ বাগান থেকে তোলা ঘাসের ফটোগ্রাফী। তবে ছবিগুলোতে শুধু ঘাস নয় তার সাথে সাথে ঘাসফুলও রয়েছে। ছবিটি ভীষণ কাছ থেকে ম্যাক্রোলেন্স দিয়ে তোলা হয়েছে। আসলে আপনি যদি সৌন্দর্য খুঁজতে যান তাহলে সবুজ ঘাসের মাঝেও অকৃত্রিম সৌন্দর্য খুঁজে পাবেন।
পরিশেষ
এই ছিল আমার আজকের ফটোগ্রাফি দিবসের আয়োজন আশা করি আমার তোলা ছবিগুলো আপনাদের বেশ ভালো লেগেছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত বিদায় নিলাম।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
এরকম ভাবে বিভিন্ন রকমের ফটোগ্রাফি করলে সেগুলো এক নজরে দেখতে ইচ্ছে করে। আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি আমি যত দেখছিলাম আমার কাছে ততই ভালো লাগছিল। ফটোগ্রাফি করার জন্য কিন্তু নিজের দক্ষতার প্রয়োজন হয় অনেক বেশি। দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ফটোগ্রাফি করলে আকর্ষণীয় লাগে দেখতে। কাকতাড়ুয়ার ফটোগ্রাফি দেখে আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম এটা হয়তো একটা মানুষ। পরে তো আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম দেখে। কচুরিপানা এবং ছাদ বাগান থেকে তোলা ঘাসের ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। অন্যগুলোও কিন্তু কম ছিল না।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
আমার চোখে যা ভালো লাগে তাই চেষ্টা করি আপনাদের জন্য সংগ্রহ করে রাখার। পরবর্তীতে তা ধীরে ধীরে শেয়ার করি। আর আমার ছাদ বাগানটি চেষ্টা করছি গুছিয়ে নেয়ার, সামনে হয়তো দেখাতে পারবো।
আপনার করা ফটোগ্রাফিগুলো অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। আপনি বেশ চমৎকার কয়েকটি ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার অনেক ভালো লেগেছে। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনি বরাবরই সুন্দর ফটোগ্রাফি উপহার দিয়ে আসতেছেন। কাকতাড়ুয়া আগে অনেক দেখা যেতো তবে সময়ের ব্যবধানে এখন সব কিছুই কমে যাচ্ছে। বিড়ালটি মনে হচ্ছে কারো সাথে অভিমান করেছে। বুনোফল গুলো নিয়ে ছোটবেলায় খেলা করেছি তবে কখনো মুখে দেইনি। সবাই বলতো বিষাক্ত ফল। আপনার বাসার ছাদে থেকে তোলা সবুজ ঘাসের ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ঘাসের মাঝে ছোট ছোট ফুল গুলো দেখতে অনেক বেশি আকর্ষণীয় লাগতেছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। পরবর্তি ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ লিমন।
চেষ্টা করে যাচ্ছি কিছু ছবি উপহার দেয়ার জন্য, সময়ের অভাবে অনেক কিছু এখন করতে পারিনা। যাইহোক আমার ছবিগুলো তোমার ভালো লেগেছে জেনে ভীষণ খুশি হলাম।
জীবন আর জীবিকা এই দুইটা শব্দ একে অপরের সাথে খুবই ঘনিষ্ঠতা। জীবন থাকলে জীবিকা লাগবেই। এই জীবন জীবিকা তাগিতে সবাই ছোটাছুটি করে। আপনি খুবই চমৎকার ফটোগ্রাফি করেন। আসলে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করলে বিভিন্ন রকমের জিনিস দেখতে পাওয়া যায়। আর সেই জিনিস গুলো ফটোগ্রাফি করলে দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার তোলা আজকের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আমি যেখানেই যাই মাথায় চিন্তা থাকে ফটোগ্রাফী করতে হবে। সুযোগ বুঝে ছবি উঠিয়ে নেই। যাইহোক বরাবরের মতো চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার তোলা আলোকচিত্র গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে বিশেষ করে কচুরিপানা ফুল টা বেশি সুন্দর লাগছে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনি আজকে বেশ মনোমুগ্ধকর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। অনেক দিন পর কাকতাড়ুয়া দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো। গ্ৰাম অঞ্চলে এধরনের কাকতাড়ুয়া বেশি দেখা যায়। কচুরিপানা ফুলের ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। এছাড়া বিড়াল এবং ঘাসের ফটোগ্রাফি অসাধারণ লেগেছে। ধন্যবাদ এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োজনের তাগিদে গেলেও ফটোগ্রাফিগুলো কিন্তু ভালো ই তুলে নিয়েছেন। ভীষণ ভালো লাগলো দেখে।বিশেষ করে অনেকদিন পর কাকতাড়ুয়া দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার।আপনার মতো আমার ও কচুরিপানা ফুল ভীষণ ভালো লাগে। বুনো ফল গুলো আগে গ্রামে গেলে দেখতাম।এগুলো হাড়ি-পাতিল খেললে টমেটো বানাতাম।🤭 আপনার ছাদের ঘাস আর ঘাসফুলের ফটোগ্রাফিটি ও ভালো লেগেছে আমার।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ছোটবেলায় ঐ ফলগুলো দিয়ে আমিও খেলা করেছি। হঠাৎ ফলগুলো দেখে পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল। যাইহোক আমার ছবিগুলো দেখে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি তো কাজের উদ্দেশ্যে ঘুরে বেড়ান মোবাইলের ক্যামেরাও সক্রিয় থাকে সেটা স্বাভাবিক। ভালো তো ভিন্ন ক্যাটাগরির ফটোগ্রাফি দেখতে পারি আপনার পোস্টের মাধ্যমে। বিড়ালের ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর ছিল।এছাড়াও অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকারভাবে ক্যাপচার করতে পারলেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ক্ষুদ্র জিনিসগুলো ফটোগ্রাফির মাধ্যমে খুব চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেন আমাদের মাঝে। বিড়ালের ফটোগ্রাফি টা দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কাকতাড়ুয়ার ফটোগ্রাফি টাও খুব সুন্দর হয়েছে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া এত দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।