একদিন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালায় আমি (পর্ব -০২)। One day I was in Shilpacharya Zainul Abedin Museum.
(পর্ব -০২) |
---|
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। গত কিছুদিন আগে আমি ময়মনসিংহ ভ্রমনে গিয়েছিলাম এবং বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়িয়েছি। তারমধ্যে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালায় যাবার সৌভাগ্য হয় আমার। আমি ইতিমধ্যে প্রথম পর্ব লিখেছি এবং আপনাদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। যাইহোক গত পর্বে বলেছিলাম সংগ্রহশালার ভেতরে থাকা স্থানীয় শিল্পীদের কিছু চিত্রকর্ম রয়েছে ছোট্ট একটি হল রুমে সেটি দেখাবো।
দরজা খুলে দাড়াতেই আমি যেন অন্য দুনিয়ায় প্রবেশ করলাম। দেয়ালে স্থানীয় শিল্পীদের কি চমৎকার সব চিত্রকর্ম রয়েছে, দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সব দেখার।
প্রথমেই ছবিগুলোর সাথে নিজের একটা সেলফি তুলে নিলাম ☺️ জায়গাটা স্মৃতির পাতায় স্মরনীয় করে রাখার জন্য।
একজন খুদে শিল্পী তার রং তুলির ছোঁয়ায় শিল্পী জয়নুল আবেদীনকে এঁকেছেন। জাষ্ট অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। আমি অনেকক্ষন সময় নিয়ে তাকিয়ে থাকলাম।
অসাধারণ একটি ম্যান্ডেলা আর্ট। আমাদের কমিউনিটিতে অনেকেই এধরনের অংকন করে থাকেন। এগুলো আঁকা বেশ কঠিন মনে হয় আমার কাছে। যাইহোক শিল্পীর অংকন অসাধারণ ছিল এখানে।
একজন পতাকা বিক্রেতা। বিজয় দিবসের সময় এই দৃশ্যটা বেশি দেখা যায়। শিল্পীর চিন্তা চেতনা অসাধারণ।
গ্রামের বাড়িতে এভাবে খোলা জায়গায় চুল দাড়ি কাটতে দেখেছি আমি। ছবিটা দেখে প্রথমে একটু মজা পেলেও পরে এর গুরুত্ব বুঝলাম।
পুতুল বিয়ে। জাষ্ট অসাধারণ একটি ছবি। এটা দেখে আমি ছোট্ট বেলায় হারিয়ে যাচ্ছিলাম। কত খেলা করেছি এভাবে। তবে কালের বিবর্তনে সব হারিয়ে গেছে।
গ্রাম বাংলার কর্মব্যাস্ত ছবি এটি। গ্রামের মানুষ অনেক বেশি পরিশ্রমী। এই ছবিটিতে বেশ কিছু মানুষের কাজগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
মায়ের কোলে হাসি খুশি সন্তান। শিশুরা একমাত্র মায়ের কোলেই নিরাপদ এবং হাসিখুশি থাকে। এটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছে।
একটু অদ্ভুত ধরনের ছবি। যাইহোক শিল্পীর তারিফ না করে পারলাম না। জাষ্ট অসাধারণ শিল্পকর্ম।
আসলে এতো এতো ছবি আমি যদি বর্ননা দিতে যাই তাহলে হয়তো আমার রাত ভোর হয়ে যাবে। যাইহোক আপনাদের জন্য দিয়ে দিলাম।
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
এই রুম থেকে বের হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে পুরো হলরুমের ছবি তুলে নিলাম। সত্যি বলতে জায়গাটা ছাড়তে ইচ্ছে করছিল না। কিন্তু আমার তো পুরোটা ঘুরে দেখতে হবে তাই উপর তলার উদ্দেশ্যে পা বাড়ালাম।
যাইহোক আজকের পর্বে এই পর্যন্ত, আশাকরি সামনের পর্বে শিল্পীর বেশ কিছু জিনিস দেখাতে পারবো ইনশাআল্লাহ। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিদায় নিলাম।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সত্যিই ভাইয়া শিল্পকর্মগুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।কি সুন্দর ভাবেই না এঁকেছেন শিল্পীরা।জায়গাটা ও ভীষণ সুন্দর। এমন পরিবেশে গেলে বের হতে আর ইচ্ছে করেনা।এর পরের পর্বে শিল্পীর বেশকিছু জিনিস দেখাবেন বললেন।অপেক্ষায় রইলাম,ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
সামনের পর্বে ইনশাআল্লাহ আরো অনেক কিছু দেখতে পাবেন, আশাকরি খুব ভালো লাগবে।
আমরা যদি আমাদের পাশে থাকা এমন দারুণ দারুণ জায়গা গুলো একে অপরের মাঝে তুলে ধরি, তাহলে এভাবেই কিন্তু দেখার সুযোগ হয়ে যায়। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের সম্পর্কে কত কিছুই না পড়লাম জীবনে কিন্তু এভাবে কখনো তার সংগ্রহশালা দেখা হয়নি। আর যাই হোক আপনার মাধ্যমে কিন্তু কিছুটা হলেও সৌভাগ্য হলো দেখার। আশা করি এভাবে অনেক কিছু প্রকাশ করবেন আমাদের মাঝে।
আমাদের আশেপাশের দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ করতে পারলে অনেক কিছু শেখা যায় এবং মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। তাই চেষ্টা করতে হবে এগুলো ভ্রমণ করার।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালার প্রথম পর্ব আমি দেখেছিলাম। দৃতীয় পর্ব দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। আজকে দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের পেইন্টিং এবং আর্ট দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো। নিখুঁত ভাবে ফুটে তুলেছেন শিল্পীরা। তৃতীয় পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালায় প্রথম পর্ব আমি দেখেছি। দ্বিতীয় পর্বে আপনি আমাদের মাঝে সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং চিত্রকর্ম শেয়ার করেছেন। স্থানীয় শিল্পীদের চমৎকার সব চিত্রকর্ম রয়েছে, যা দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল। এবং সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা দৃতীয় পর্ব দেখে জাস্ট মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যিই সংগ্রহশালার ভেতরে থাকা স্থানীয় শিল্পীদের কিছু চিত্রকর্ম দেখে যে কোনো মানুষ মুগ্ধ না হয়ে পারবে না। খুবই নিখুঁত ভাবে চিত্র গুলো অঙ্কন করেছেন। আপনার পোস্টের মাধ্যমে এতো সুন্দর সুন্দর পেন্টিং আর্ট দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ তৃতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।