জনতা আগুন নেভানোর বাঁধা বলছে অগ্নিনির্বাপক বাহিনী|| পুড়ে ছাই হলো হাজারো মানুষের স্বপ্ন।
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি। আজকের দিনটি মোটেই শুভ নয় কারন সকাল হতে না হতেই খুব খারাপ একটি খবর শুনে ঘুম ভেঙ্গে যায়। বঙ্গবাজারে আগুন লেগেছে, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় শতশত মানুষের স্বপ্ন। সত্যি বলতে আমিও সেই আগুন লাগা স্থানের খুব কাছাকাছি ছিলাম কারন চাকরির ইন্টারভিউ ছিল পল্টন মোড়ে। সকাল সাতটায় যখন পৌঁছলাম তখন দূর আকাশ কালো ধোঁয়ার বিষবাষ্প ছড়িয়ে রয়েছে। যদিও আমার হাতে সময় খুব কম তবুও বুকভরা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম সেই মানুষগুলোর জন্য। চারিদিকে ছোটাছুটি আর আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। অনেকটাই মন খারাপ নিয়ে চাকরির লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষা দিয়েছি। তবে আলহামদুলিল্লাহ ভীষণ ভালো হয়েছে, এটা নিয়ে পরে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আগুনের সুত্রপাত সকাল ছয়টার দিকে। প্রথমেই অল্প কিছু জায়গায় আগুন ধরলেও মূহুর্তের মধ্যেই চারিদিকে ছড়িয়ে যেতে থাকে। আতংকিত মানুষগুলো হুড়োহুড়ি করে কেউ পানি দিতে ব্যাস্ত আবার কেউ দোকানের মালামাল সরানোর কাজে ব্যাস্ত। ততক্ষণে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়েছে। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস আসতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায় কারন রাস্তায় প্রচুর জানজট তৈরি হয় এবং উৎসুক জনতা বিশাল জটলা পাকাতে থাকে। অবশেষে কিছুটা দেরিতে হলেও ফায়ার সার্ভিসের ৫০ টি ইউনিট কাজ শুরু করেছে। আশেপাশের সমস্ত জলাশয় থেকে পানি সরবরাহের চেষ্টা চলেছে তাছাড়াও আকাশে বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার থেকে আগুন নেভানোর রাসায়নিক ছিটানো হয়েছে। যেখানে পরীক্ষা দিচ্ছিলাম সেখানকার জানালা দিয়ে সব দেখা যাচ্ছিলো।
প্রায় ছয় ঘন্টা পর দুপুর বারোটা ছত্রিস মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে জানায় ফায়ার সার্ভিসের মহা পরিচালক। কিন্তু ততক্ষণে ব্যাবসায়ীরা এবং সাধারণ জনগণ ফায়ার সার্ভিসের কাজের কড়া সমালোচনা করতে থাকে। এক সময় পাশেই থাকা ফায়ার সার্ভিসের অফিসে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। ফায়ার সার্ভিসের মহা পরিচালক জানান তিনটি সমস্যার কারনে তাদের আগুন নেভাতে দেরি হয়েছে। সমস্যাগুলো হলো উৎসুক জনতা, পানির স্বল্পতা এবং বাতাসের বেগ। সবথেকে বড় বিষয় আমাদের ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা কম এবং রাস্তার সমস্যার কারনে সঠিক সময় পৌঁছাতে পারে না। আর সব পুড়ে ছাই হয় আর প্রতিবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় কিন্তু অসহায় মানুষের সর্বস্ব শেষ হয়ে যায় 😕
বিকেলের দিকে যখন ফিরছিলাম ঐ পথ ধরে চারিদিকে ভষ্মিভূত চাই আর মানুষের আর্তনাদে চারিদিক ভারী হয়ে উঠেছে খেয়াল করলাম। কেউ কেউ রাস্তায় বসেই আহাজারি করছে সর্বস্ব হারিয়ে। শুধুমাত্র একটা কথাই মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো দোকান গেছে যাক ঋণের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে।
আর সত্যি বলতে নিজের ভেতরেই অনেক অংক কষছিলাম বঙ্গবাজারের এই আগুনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আকাশ ছোয়া আর এর খেসারত হয়তো আমাদের মত সাধারন মানুষকে কোন না কোন ভাবে দিতে হবে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR

.gif)




Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1643280019232550912?t=yFTUFq0CiKm7R1DL0m70Tg&s=19
বঙ্গবাজারে আগুন লাগার ঘটনাটি জেনে সত্যিই খারাপ লেগেছে। ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা মনে হলে হৃদয় কেঁপে ওঠে। অসহায় মানুষগুলো তাদের সবকিছু হারিয়ে ফেলেছে। হয়তো অনেক তদন্ত কমিটি গঠন হয় কিন্তু যারা তাদের সবকিছু হারিয়েছে তারা কখনোই আর ঘুরে দাঁড়াতে পারে না।
পৃথিবীতে যারা সত্যিই ক্ষতিগ্রস্ত হয় তারা কখনোই পর্যাপ্ত সহযোগিতা পায়না।
বঙ্গবাজারে আগুন লাগার ঘটনাটি আমি দুপুরের পর জানতে পারলাম ৷ তবে এ বঙ্গবাজার অনেকটা ভয়াবহ বা হুমকি তে সেটা অনেক আগেই ফায়ার সার্ভিস এর মহা পরিচালক বলেছিল ৷ কিন্তু এর প্রতি কোনো পদক্ষেপ নেয় নি কেউ ৷ পৌরসভার মেয়োর সহ ৷ আর যার ফল আজ হচ্ছে ৷ এইরকম ঘটনা দেশের জন্য একটা বড় অর্থনৈতিক হ্রাস ফেলবে ৷
তবে ঢাকা শহর কেনো যেন এসবের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে৷
আমাদের দেশের জন্য এগুলো নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে উঠেছে। কেউ কোন কিছুর তোয়াক্কা করে না। এরপর বিপর্যয় নেমে আসে।
বঙ্গবাজারের ঘটনাটি দেখে এতটাই খারাপ লাগছিল
যা বলার বাইরে। শুধু বারবার মনে হচ্ছিল আল্লাহ এই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দিক।
চারিদিকে আর্তনাদ হাহাকার এ যেন এক কঠিন আর্তনাদ। এ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে হৃদয় দুমড়ে কেঁদেছে সবার। সবাই যেন ঘুরে দাঁড়ায় আবার তাদের স্বপ্নগুলো যেন জোড়া লাগে এটিই বিধাতার কাছে প্রার্থনা। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আসলে এতো বড় ক্ষতি তারা পুষিয়ে উঠতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। এমনকি আমাদের অর্থনীতির উপর এটা চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
নিউজ তো দেখার পর থেকে সারাদিন যেন কোন কিছুই আর ভালো লাগছে না ভাইয়া। কিভাবে এসব সাধারন মানুষ তাদের জীবন পার করবে! কিভাবে তাদের সংসার চালাবে !ঋণের বোঝা বইতেই তো তাদের জীবন শেষ হয়ে যাবে। নিমিষে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেল। কোন কিছুই বলার ভাষা নেই শুধু আল্লাহ তাআলা তাদেরকে এগুলো সহ্য করার তৌফিক দিক।
আমরা সবাই দোয়া করি আল্লাহ পাক তাদের ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দিন এবং ক্ষতি পুষিয়ে উঠার তৌফিক দান করুন।
আপনি চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য যেহেতু সেখানে গিয়েছেন তাহলে নিশ্চয়ই একটু হলেও এই করুন দৃশ্য দেখে এসেছেন। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে এমন মর্মান্তিক ঘটনার খবর শুনে অনেক খারাপ লেগেছিল। খবরে তাদের এই কষ্ট দেখে নিজের কাছে অনেক খারাপ লেগেছিল। ঠিক বলেছেন ভাইয়া দোকান পুড়ে গেছে যাক ঋণের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে। এই কথাগুলো যখন কিছু মানুষের মুখ থেকে শুনতে পেলাম তখন আরও বেশি কষ্ট লাগলো। আল্লাহর কাছে দোয়া রইল এই বিপদের সময় তাদের ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দান করুন।
জি আপু ওখানে গিয়ে সব দেখলাম।
ভীষণ খারাপ লেগেছিল।
দোয়া করি ওদের জন্য উপর ওয়ালার কাছে।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বঙ্গবাজারে আগুন লাগার ঘটনা। আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাই আজকের দিনটা আমাদের জন্য খুব একটা শুভ নয়। আমারোও ঠিক একই ঘটনা শুনে ঘুম ভাঙ্গে ভাই। ঘুম ভাঙার শেষে ফোন হাতে নিয়ে যেই ফেসবুকে ঢুকেছিলাম দেখি আগুন লাগার ঘটনা। আগুন দেখে সত্যি আমি অবাক হয়েছিলাম ভাই। আমাদের বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৪৮ টা টিম সেখানে কাজ করেছিল তাও কোন কার্যকর হয়নি। আসলে ভাই মানুষগুলোর জন্য আমার নিজের কাছে তখন অনেক খারাপ লেগেছিল। তাদের জন্য দোয়া করি আল্লাহ তাআলা যেন তাদেরকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করেন।
জি ভাই আমিও দোয়া করি উপর ওয়ালা তাদের ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করুন।