পেছনের গল্প( পর্ব : ৮ )!!

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ মঙ্গলবার, ১৫ ই এপ্রিল ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000576167.jpg


করোনার প্রকোপের মধ্যে আমার অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলেছিলাম। বিশেষ করে বাইরে মাক্স পড়ে যাওয়া বাইরের বিভিন্ন খাবার ত‍্যাগ করা মানুষের সাথে হাত না মেলানো। এগুলো প্রথম প্রথম অদ্ভুত মনে হতো। কিন্তু একটা সময় গিয়ে এটাও আমাদের অভ‍্যাসে পরিণত হয়ে যায়। করোনা ছিল এমন একটা দানব যাকে দেখা যেত না। কিন্তু পুরো বিশ্ব তাকে ভয় পেত। করোনার মধ্যেই আমরা প্রথম ঈদটা পালন করি একেবারে সাদামাটা ভাবে। বলতে গেলে আমার পুরো জীবনে দেখা ঐটাই ছিল একেবারে অন‍্যরকম ঈদ। সবার মধ্যে একটা আতঙ্ক। আমাদের গ্রামের অনেকেই আবার একসঙ্গে জমায়েত হয়ে নামাজ পড়তেও আসেনি। যদিও তখন সেটা একেবারেই স্বাভাবিক ছিল। ঈদুল আযহার সময় করোনার প্রকোপ কিছুটা কম হয়ে যায়। ফলে সরকার লকডাউন নীতিমালা শিথিল করেছিল।



আমরা এলাকার কয়েকজন বন্ধু দুই জন বড় ভাই এবং আমাদের জুনিয়র কয়েকজন মিলে ঠিক করি ঈদের আগের দিন অর্থাৎ চাঁদ রাতে পিকনিক করব। ১ লা আগষ্ট ছিল ঈদুল আযহা। আর আমরা পিকনিক টা করেছিলাম ৩১ জুলাই রাতে। সবাই মিলে আলোচনা করে মেন‍্যু ঠিক করা হয়েছিল চিকেন বিরিয়ানি এবং সফট ড্রিঙ্কস। খুব বেশি কিছু আয়োজন করার মতো অবস্থা তখন ছিল না। যথারীতি টাকা তুলে সবকিছু কেনাকাটা করে নেয় আমরা। এবং ঈদের আগের দিন রাতে আমাদের পিকনিক স্পটে হাজির হয়ে যায়। ঐটা ছিল আমাদের গ্রামের ঈদগাহ ময়দান এর একপাশে। রাত ১০ টার দিকে সবাই রান্নার জন্য একএিত হয়। সবার মধ্যে একটা আনন্দ একটা উচ্ছাস ছিল।।


1000576170.jpg

1000576166.jpg

1000576165.jpg

1000576169.jpg


রান্না করার দায়িত্ব পড়েছিল আমাদের এক বড় ভাইয়ের উপর। যদিও এই কাজটা বেশ ভালোই পারতেন। এবং একটু মজা করেই আমাদের আরেক বড় ভাই আমার চাচাতো ভাই রোহানকে লাগিয়ে দিয়েছিলাম রান্নার কাছে। ভাইয়া কখনও ঐটা করেনি। একটু মজা নেওয়া জন‍্যই করা আর কী। রান্না চলতে থাকে এবং আমরা নিজেদের মতো আয়োজন করতে থাকি। আমাদের রান্না যখন শেষ হয় ঘড়িতে তখন প্রায় বারোটা। এবং ততক্ষণে আমাদের বেশ প্রচণ্ড ক্ষুদা লেগে গিয়েছে। আমরা আর বেশি দেরি করিনি। সবাই একসঙ্গে বসে খাওয়া শুরু করে দেয়। চিকেন বিরিয়ানির হাড়িটা দেখতে অসাধারণ লাগছিল। কিন্তু খেতে খুব একটা ভালো হয়েছিল না বিরিয়ানি টা।

আমার ঐ সিনিয়র ভাই যিনি রান্না করেছিলেন বিরিয়ানি তে প্রায় সব মশলা দিয়েছিলেন বেশি। যার ফলে বেশ বাজে লাগছিল খেতে। কিন্তু কিছু করার নেই খেতে তো হবে। মোটামুটি একপ্রকার জোর করেই খেয়েছিলাম। কারণ খাবার জিনিস নষ্ট করা যাবে না। আমাদের পিকনিক মজা থেকে একপর্যায়ে গিয়ে সাজায় পরিণত হয়ে যায় হাহা। ব‍্যাপার টা বেশ হাস‍্যকর মনে হতেই পারে কিন্তু এটাই ছিল সত্য। ঐদিনের কথাগুলো এখন ও আমার পরিষ্কার মনে আছে। ঐদিনের পরেও আমরা অনেক বার পিকনিক করেছি। তবে তারপরে আর কখনও বিরিয়ানি রান্না করিনি। তারপর থেকে আমাদের মেন‍্যু থাকত খিচুড়ি এবং মাংস ভুনা। সময় টা খুবই দ্রুত চলে যায়। অনূভুতি গুলো পড়ে থাকে অপরিবর্তিত ভাবে।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png


Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟

 5 months ago 

করোনার প্রকোপ মানেই ভিন্ন জীবন চিত্র।যাইহোক অনেক সময় দেখতে সুন্দর হলেও রেসিপি খেতে মজার হয় না।তার উপরে আপনারা উনার উপর চাপিয়ে দিয়েছেন রান্নার বিষয়টি,খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক।তারপরও সবাই মিলে আনন্দ করেছেন দেখে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.34
JST 0.033
BTC 116496.13
ETH 4501.12
SBD 0.86