ক্যাম্পাসে বৃষ্টিরমূখর মূহূর্ত।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ইদানিং প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এমন বৃষ্টিপাত যে না চাইতেও গত সপ্তাহে বেশ কয়েকবার আমাকে ভিজতে হয়েছে। আকাশ থেকে যখনই বৃষ্টি ঝরে পড়ে একটা নতুন শুরুর ইঙ্গিত দেয়। বৃষ্টি জিনিসটা আমার খুবই ভালো লাগে। ভূপৃষ্ঠে যখনই বৃষ্টির পানি পড়ে তখনই আমার অনেক অতীত মনে পড়ে যায়। অনেক কিছুর মধ্যে আমি ডুবে যায়। আমি তখন যেন কাউকে খুজেঁ ফিরি। কিন্তু আমি যাকে খুজি তার অস্তিত্ব কোথাও পাই না হা হা। যাইহোক এসব বাদ দেয়। ঐদিন শুক্রবার ছিল। শুক্রবার সারাদিন কাটে আমার ইউনিভার্সিটি তে। একের পর এক ক্লাস ল্যাব প্রজেক্ট এসব করতে করতে কখন যে ৯-১০ ঘন্টা সময় কেটে যায় বুঝতেই পারি না।
লাঞ্চ ব্রেকের আগে দুইটা ক্লাস সবেমাএ শেষ করেছি। ঘড়িতে সময় তখন সাড়ে বারো টা। অঘোষিতভাবে ৩০ মিনিট পূর্বেই লাঞ্চ ব্রেক শুরু হয়ে গিয়েছে।
যাইহোক দুপুরের খাবার খেতে যাব ক্যান্টিনে। এই উদ্দেশ্যে ক্লাস থেকে বের হয়ে দেখি আকাশ টা একেবারে মেঘে মেঘে মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছে। ব্যাপার টা দেখে বেশ লাগছিল আমার। আমার ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস টা খুবই সুন্দর। এখান থেকে বৃষ্টি টা উপভোগ করতে পারলে অন্যরকম একটা অনূভুতি পাওয়া যায়। আমাদের ক্লাস হয় চতুর্থ তলায়। ওখান থেকে শহরটা বেশ দারুণ লাগে দেখতে। বৃষ্টি দেখে আমি এগিয়ে গেলাম ফাঁকা জায়গাই। ঐ জায়গা টাই দাঁড়ালে ঢাকা শহরের অনেক টা অংশ সহ হাতিরঝিলের কিছু অংশ দেখা যায়। ওখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে দারুণ ভাবে আমি বৃষ্টি টা উপভোগ করছিলাম। ক্রমেই বৃষ্টির তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। ঐসময় আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করি এবং কয়েকটা ভিডিও ধারণ করি।
বৃষ্টির পানি আমার গায়ে এসে পড়ছিল। এতে করে আমার শরীরে একটা শিহরণ এর সৃষ্টি হচ্ছিল। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ আমি দাঁড়িয়ে বৃষ্টি টা উপভোগ করি। এখানে শহরের কোলাহল নেই। বৃষ্টির ঝুম শব্দ মনের মধ্যে একটা প্রশান্তির সৃষ্টি করছিল প্রতিনিয়ত। ঐভাবে বেশ কিছুটা সময় কেটে যায়। তখন আর দেরি করিনি। ক্যান্টিনে গিয়ে দ্রুত দুপুরের খাবারের পর্ব শেষ করি। খাওয়া শেষ করে পূণরায় ছুটে আসি ঐ জায়গাই বৃষ্টি টা উপভোগ করতে। তবে ওখানে যেতেই একটা জিনিস চোখে পড়ে গেল। আমার ক্লাসের তিন বন্ধু কার্ড নিয়ে বসে আছে। আরেকজন পার্টনার এর অভাবে তারা কার্ড খেলতে পারছে না। ওরা আমাকে দেখেই বলে ফেলল ইমন চলে আসো খেলতে হবে পার্টনার নেই। কী আর করব বসে গেলাম কার্ড খেলতে।
আমি কার্ড খেলা শিখেছিলাম আজ থেকে প্রায় ৯ বছর আগে। তবে ইদানিং সেরকম খেলার সুযোগ পাই না একেবারেই। তবে বাড়িতে থাকতে যখনই বৃষ্টি হতো এলাকার কয়েকজন বন্ধু মিলে বসে যেতাম কার্ড খেলতে। কার্ড খেলার সময় ঐ মূহূর্তগুলো অনেক মনে পড়ছিল। লাঞ্চ ব্রেকের বাকি সময় টা আমার কাটে কার্ড খেলেই। যদিও ঐদিকে বৃষ্টি টা প্রচণ্ড জোরে হচ্ছিল। দুই দিকেই আমার নজর টা ছিল। সবমিলিয়ে চমৎকার একটা মূহূর্ত কাটায় আমি। বলতে গেলে অনেক দিন পর বৃষ্টি টা উপভোগ করলাম এভাবে। এখন বৃষ্টি হলেই ইচ্ছা করে সবকিছু বাদ দিয়ে বই পড়া শুরু করি এবং বৃষ্টি টা উপভোগ করি। কিন্তু সবসময় আর সেটা হয়ে উঠে না।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আকাশের অবস্থা ভালো না কালকে মনে হয়েছিল যেন বৃষ্টি থেমে গেল কিন্তু আজকে অবস্থা এতটাই খারাপ সকাল থেকে বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে এখন পর্যন্ত। আর এমন দিনে বাইরে চলাচল কাজকর্ম করা বেশ ঝামেলা। যাহোক বৃষ্টিমুখর এমন দিনের আপনার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
বৃষ্টি নিয়ে খুব সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করেছেন আপনি। বৃষ্টির পানিতে ভিজতে ভালো লাগে তবে সবসময় নয়। যাহোক আপনি দারুন অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। এরপর দুপুরের খাবার খেতে গিয়েছেন ক্যান্টিনে সেখান থেকে আবার ফিরে এসেই একই স্থানে অবস্থান করেছেন। আর এভাবে আপনি আপনার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন তাই অনেক কিছু জানতে পারলাম।