হঠাৎ গাজীপুরের উদ্দেশ্যে- যাএা বিভ্রাট!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
যতই দিন যাচ্ছে কেমন জানি সবকিছু বদলে যাচ্ছে। তারই সঙ্গে পাল্টে যাচ্ছি আমি। একাকিত্ব বা ডিপ্রেশন কী সেটা এখন আমার চেয়ে ভালো হয়তো আর কেউ বলতে পারবে না। বিগত কিছুদিন সময় এমনই কেটেছে সেটা বলতে পারব না। মঙ্গলবার রাতে আমার বন্ধু ইকরা হঠাৎ ফোন দেয়। ওর সাথে শেষ কথা হয়েছির প্রায় দুই মাস আগে। একসময় যার সাথে ঘোরাঘুরি করতাম একসঙ্গে ক্লাস করতাম এখন তাদের সাথে দেখা তো অনেক পরের কথা ঠিক মতো কথাও হয় না। এটাই হয়তো জীবন। বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা হলো আমাদের মাঝে। তারপর কথা বললাম আমার আরেকজন বন্ধু নাভিদের সঙ্গে। নাভিদ এবং ইকরা একসঙ্গে আছে গাজীপুরে। ওদের সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিল জুন মাসে ঈদে বাড়িতে গিয়ে।
কথায় কথায় নাভিদ বলল ইমন একদিন সময় করে এসে ঘুরে যা। তখনও আমি ঐরকম কিছু ভাবিনি। নাভিদ তারপর একটু জোর দিয়েই বলল তাহলে কবে আসছিস। তাৎক্ষণিক কোন উওর আমি দেয় নাই। শুধু বলেছিলাম দেখি। ওদের সাথে কথা শেষ করেই বাংলাদেশ রেলওয়ে এর ওয়েবসাইট চেক করে দেখি বুধবার সকালের একটা ট্রেনের টিকিট আছে। কোন কিছু না ভেবেই টিকিট টা কেটে ফেলি। এবং ওদের কে আগামীকাল আমি আসছি। তবে থাকতে পারব না সকালে গিয়ে বিকেলে চলে আসব। মঙ্গলবার রাতে এতটুকুই ছিল। পরের দিন বুধবার সকাল ৮ টার সময় আমি বের হয়। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আমার ট্রেন ছিল সকাল ১০ টাই।
ঢাকার রাস্তার কথা কিছু বলা যায় না। এইজন্যই আগে বের হয়। কিন্তু কপালে দুঃখ লেখা থাকলে যায় হয়। যাএাবাড়ি এর দুই কিলোমিটার আগে থেকে প্রচণ্ড যানজট। অনেকক্ষণ বসে থেকে শেষে বাস থেকে নেমে গিয়ে হাঁটা শুরু করলাম। যাএাবাড়ি মোড়ে যখন গেলাম গেলাম তখন সাড়ে ৯ টা এর বেশি বাজে। হাতে সময় আছে আর ৩০ মিনিট। যাএাবাড়ি থেকে কমলাপুর স্টেশন বেশি দূরে না। কিন্তু রাস্তায় প্রচুর যানজট। সুতরাং ট্রেন মিস করার সম্ভাবনা ছিল বেশি। কিন্তু কাকতলীয়ভাবে বাস যেন দূরত্ব টা খুব দ্রুতই অতিক্রম করে। আমি যখন বাস থেকে নামি তখন বাজে ৯ টা ৫৭। অর্থাৎ ট্রেন ছাড়তে মাএ তিন মিনিট বাকি। কোন কিছু না ভেবে শুরু করলাম দৌড় । যদিও মানুষের ভীড়ের মধ্যে দৌড় দিয়ে বেশিদূর যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না।
স্টেশনে গিয়ে দেখি আমার ট্রেন জামালপুর এক্সপ্রেস ৬ নাম্বার প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছে। তখন দশটার বেশি বেজে গেছে। কিন্তু ট্রেন ছাড়ে নাই। বলতে গেলে কপালের জোরে ট্রেন পেয়েছি। যাইহোক ট্রেনে উঠার আগে একজন টিকিট চেকার আমার টিকিট চেক করল। তারপর উঠে গেলাম ট্রেনে। গিয়ে দেখি আমার সিটে অন্য একজন বয়স্ক মহিলা বসে আছে। যদিও উনি উঠে যেতে চাইলেন। আমি বললাম না সমস্যা নেই বসেন। যেহেতু দূরত্ব টা অল্প মাএ এক ঘন্টার রাস্তা এইটুকু আমি দাঁড়িয়েই যেতে পারব। তবে ঐদিন ছিল অসহনীয় গরম। শেষমেশ ট্রেন ছাড়ল ১০ টা ১০ মিনিটে। ট্রেন ছাড়ার পর গরম কিছুটা কমে গিয়েছিল কারণ বাইরে বাতাস লাগছিল।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনি তো এই রাস্তা দিয়ে প্রায় যাতায়ত করি। যাত্রাবাড়ির জ্যাম আর গোলাপবাগের জ্যাম আমার কত ট্রেন মিস করছে সেটা বলে বুঝানো যাবে না। আপনার ভাগ্য ভালো দৌড়ে গিয়ে হলেও ট্রেন পেয়েছেন। ধন্যবাদ।