Top Post Topic//Move Review// Jokar//15-04-2021

in Steem Bangladesh3 years ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম


আশা করি সবাই ভালো আছেন।সবাই জানাই পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা। স্টিম বাংলাদেশকে অনেক ধন্যবাদ যানাই আজকে আমাদের মুভি রিভিউ টপিক দেওয়ার জন্য।
আজকে আমি আপনাদের কাছে " জোকার " মুভিটির সম্পর্কে বলব।আশা করি সবাই ভালো লাগবে!!

কোনো মানুষের কাছ থেকে এতটাই কেড়ে নিওনা যে তার হারানোর কিছু থাকে।এতটাই দূরবিস্তৃত করে দিওনাযে তার আর মৃত্যুকে ভয় না লাগে।তাহলে তার অস্তিত্বকে হারিয়ে ভয়ানক রুপ ধারন করবে। Hello friend my name is @ebrahim2021
একটা মানুষ তার সমাজ ব্যবস্তায় শিকার হয়ে কি পর্যায়ে যেতে পারে,তার একটা উদাহরন।

মুভি রিভিউ

🤯জোকার🤯

images (1).jpeg

Source

মুভির নাম: Jokar
রিলিজ : ৩১ আগস্ট ২০১৯ ভেনিস,২ অক্টোবর ২০১৯ ভারত,৪ অক্টোবর বাংলাদেশ
️ ডিরেক্টর: টোড ফিলিপস
শ্রেষ্ঠাত্ব : জোয়াকিন ফিনিক্স
চিত্রগ্রহক লরেন্স শের
রচয়িতা টোড ফিলিপস,স্কট সিলভার
ভাষা ইংরেজি
সুরকার হিলডার গানেটের
সম্পাদক জেফ গ্রোথ

★ক্রাইম ড্রামা চন্দ্রহার আলোড়ন সৃষ্টিকারী জোকার মুভির ঘটনাপ্রবাহ গল্পটা শুরু হয় গৌতম শহরে এক অবহেলিত নিপীড়িত ব্যক্তি। আর তাকে নিয়ে একটি কোম্পানিতে কমেডিয়ান হিসেবে কাজ করত নানান স্থানে তাকে ক্লাউড মানুষকে বিনোদন দিতে, হতো আর মেকআপ রুমে বসে তার মেকআপ করছিল সেখানে টিভিতে খবর বলা হচ্ছিল সেখানে বলা হচ্ছিল কোন শহরের বিশৃঙ্খলা অবস্থা নিয়ে জিনিসপত্রের দাম সেটা ঊর্ধ্বমুখী হত দরিদ্রদের নাগালের বাইরে চলে বরাবরের মতো। এই দরিদ্র মানুষগুলো অর্থনীতি তারা নানাভাবে বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। ধ্বনি আরো ধনী হয়ে যাচ্ছে, গরিবেরা আরো গরিব সময় টা এতটাই বেগতিক যে এই দুনিয়ায় তাদের মতো করে সমাজের নিয়ম কানুন তৈরি করে যাচ্ছে। তারা তাদের অর্থ ক্ষমতার বলে নানা অপকর্ম করেও তা সকলের চোখের সামনে থেকে দেখে ফেলছে সূচনা হয়েছে এক কলঙ্কিত অধ্যায় নিম্নবিত্তরা। যেখানে শুধুমাত্র অসহায় মাত্র মেকআপ শেষে আর তার একটি মিউজিক কোম্পানির এড করতে রাস্তায় আসে কোম্পানিটি নাম ছিল এভরিথিং মাস্ট গো, সে নানা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে তার দিকে মানুষের অ্যাটেনশন নিচ্ছিল, তখন কিছু দুষ্ট বাচ্চারা সেখানে আসে তারা আর তাদের হাত থেকে সাইনবোর্ড নিয়ে পালাতে থাকে। আর তাদের পিছনে দৌড়াতে থাকে জড়িয়ে সে বাচ্চা গুলোর সাথে একটা গলিতে আসে আর তখন ওই দুষ্টু বাচ্চা গুলোর ওই সাইনবোর্ডটি দিয়ে হারের মুখে আঘাত করে।

images (2).jpeg

Source
সাইনবোর্ডটি ভেঙে যায় আর তার পড়ে যায় বাচ্চাগুলো আর্থারকে অনেক মারে। তারা বলতে থাকে এত জোকার, এত দুর্বল, এর তো কোন সাহসই নেই, তো খালি মানুষকে হাসাতে পারে, ইয়ার্কি করতে পারবে, নিরীহ আর্থারকে ওখানে একা পড়ে থাকে পরে। আর্থার সাইক্রেটিস্ট এর কাছে যায় সে একজন মানসিক রোগী ছিল। আর তার একজন ভালো স্টান্ড উপ কমেডিয়ান হতে চাইতো। তাই সে সুস্থ হতে যাচ্ছিল ডক্টর থাকে নিয়মিত লিখতে বলতো। তার ভাবমূর্তি মনের অবস্থা এভাবে জেনে নিন তার ডায়রিতে লিখে রেখেছে। সে আশা করে তার মৃত্যু যেন তার বেঁচে থাকার চেয়ে মূল্যবান হবে। অর্থাৎ প্রচণ্ড হতাশা গ্রস্থ একজন মানুষ তার বাসায় ফিরতে থাকে যখন সে বাসের মধ্যে ছিল তখন তার দিকে একটি বাচ্চা তাকাচ্ছিল বাচ্চাটিকে হাসানুরঢুকছে না অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। কিন্তু বাচ্চাটির মা এটা পছন্দ করে না সে রেগে গিয়ে আর্থারকে থামতে বলে। দিও আর তার এত জোরে জোরে হাসতে থাকে মহিলাটি এতে আরো রেগে যায়। আশেপাশের সবাই বিরক্ত হয় তখন আর তার একটি কার্ড দেখায়। যাতে বলা থাকে আর তার একটি মেডিকেল কন্ডিশন রয়েছে ওর সাথে যখন খারাপ কিছু হয় পাশে যখন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে তখন, সেই ভাবেই আচমকা হেসে ওঠে।

images (3).jpeg

Source
ছোটবেলায় মাথায় আঘাতের ফলে তার নানা অসুস্থতার শুরু হয়। আর এই হাসিটা আর তার একটি রোগ হয়তো নিজের ভিতর রাখতে পারা গুলোকে জমিয়ে রেখে রেখে তার এই অবস্থা হয়েছে। জোকার শ্রেণীতে হাসির অভিনয় করতে করতে এখন সে খুব কষ্ট পেলেও এভাবেই হেসে ওঠে। আর তার বাসায় ফিরে প্রতিদিনের মতো সে বাসায় ফিরে তার লেটার বক্স চেক করে। আর বরাবরের মতোই সেটি খালি পায়। সে ঘরে ঢুকে মার সাথে গল্প করে সে তার মাকে খুব ভালোবাসে, খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের যত্ন ইচ্ছে করে থাকে। যদিও আর্থার দিনকে দিন শুকিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু তার মার যত্ন ঠিকঠাকভাবে নিতে তার মা জিজ্ঞেস করে, বাবা ছেলের কাছ থেকে কোনো চিঠি এসেছে কিনা আরো আসেনি আর তোর মার বাসায় প্রায় ত্রিশ বছরের মতো কাজ করেছিল।আমার সঙ্গে হচ্ছে নেই কোথাও শহরের সবচেয়ে ধনী লোক। প্রাণী তাদের অবস্থা বর্ণনা করে তার কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তিনি ভাবেন আমার যদি তাদের এই অবস্থা সম্পর্কে জানে তাহলে স্বভাবতই তাদের সাহায্য করবেন। টিভিতে তাদের প্রিয় রিয়েলিটি শো শুরু হয়ে আশ্ছিল, মা ছেলে দুজনে মিলে এস দেখে আর অনেক বড় ভক্ত ছিল। সে তার করে না তারাই মনে করে এতদিন পর্যন্ত কমিটির যত টুকুই আর তার থেকে এসেছে। এগুলো রেস্পিরেশন ছিল মারিয়া নানা কথা সে তার মত কমেডিয়ান হতে চাই। তোর মাড়ির ক্ষত সারিয়ে মানুষকে হাসাতে চাই। তো পরের দিন অর্থাৎ তার কাছে যায় তার ঐদিনের মার খাওয়ার বিষয় তার সাথে কথা বলে তাকে বলে তার এভাবে মুখ বুজে সব সহ্য করা ঠিক না থাকে প্রতিবাদী হতে হবে তাকে। একটি বন্দুক দিয়ে বলে তা দিয়ে তার প্রতি রক্ষা করতে।

images (4).jpeg

Source

আর তার যদিও নিতে যাচ্ছিল না কিন্তু, তার কলিগের জোরাজুরিতে তা নিয়ে নেয়। ওই সময়ে আর্থারের বস তাকে তার রুমে ডাকে, সে বলে ঐ দিনের সাইনবোর্ড ফিরিয়ে দেয় নি কেন, ওটা ফেরত না দিলে তার বেতন কেটে নিবে। এখানে আর কিছুই বলতে পারে না, কিভাবে যে লোকটা প্রতিনিয়ত মার খেয়ে আছে তার কাছে এগুলো নতুন ছিল না। তার সাথে কি হয়েছে বা হচ্ছে তা নিয়ে কারও যায় আসে না। যে লোকটি নিজের কাছে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সে অন্যের কাছে কিসের জবাবদিহিতা করবে। কি আর বিরোধিতা করবে। এসে হারিয়ে গেছে আর তার বাসায় ফিরে তার সাথে পরিচয় হয়েছিল, পছন্দ করতো যখন সে রুমে আসে তার মা তাকে আবার জিজ্ঞেস করে, চিঠি এসেছে কিনা, আর তার ফলে সমাজের অনেক ব্যস্ত মানুষ এত ধনী প্রভাবশালী লোক আদৌ তাদের ছুটি পড়েছে কিনা সন্দেহ আছে। আর বললে যে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবেন এমন টাও না তারা মনে করেন থমাস অনেক ভালো মানুষ। সে সাহায্য করবে আর ধারাকে গান শুনছিল। যেখানে থাকে তার নিজের প্রতি সহানুভূতি দেখায় না। সেখানে 30 বছরের আগে তার মায়ের কাজ করা মালিকের কাছ থেকে কিছু সাহায্য পাওয়ার কথা তার কাছে হাস্যকর ছিল। এগুলো ভেবে ভেবে বন্ধুকে নিয়ে সে গানের তালে তালে নাচতে থাকে। সমাজে ধনী-গরিবের ব্যবধান থাকলেও এই বন্ধুদের সামনে সবাই সমান। তখন সবার ভয় হয় তখন যা বলা হয় তাই করা হয়। পরের দিন সকালে আর তার চোখে দেখতে পায়সে তাকে পছন্দ করত রাতের সেলফি নিজেই আর্থারের সাথে দেখা করতে আসে। শফি বুঝতে পেরেছিল আর্থার তাকে ফলো করছিল। তবে সফিয়ে দী রেখে যায়নি শেয়ারের এইসব কাজে তার প্রতি ইম্প্রেসিভ হয়েছিল। তারা একে অপরের সাথে ভালো সময় কাটাতে শুরু করে। ঘরের সকালে আর তার তার কাছে একটি হসপিটালে যায়। সেখানে সে বাচ্চাদের নাচ দেখে আনন্দ দিয়েছিলো

images (5).jpeg

Source

বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গিমায় নাচে তার সাথে থাকে বন্দুক কি ওখানে পড়ে যায়। নার্সসহ সেখানকার সবাই সেই বন্দুক দেখে ভয় পেয়ে যায়। আর এই বন্ধুদের জন্য আর থাকে তার থেকে বের করে দেয়া হয়। আর তার অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে এই বন্ধুটাকে দেয়া হয়েছে তার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তার এক অসুস্থ মা রয়েছে যাকে তার দেখতে হয়। কিন্তু তার বস এগুলো শুনে না। তার বস বলে তার কলিগের কাছ থেকে শুনেছে, সে ওই বন্দুক তার মাধ্যমেই কি নিয়ে নিয়েছে। এটা সং মিথ্যা ছিল অর্থাৎ সুযোগ পেয়ে আর্থারকে এভাবেই ভাসিয়ে বের করে দেয়া হয়েছে। অসহায় আর্থার কি আর করবে সে ট্রেন করেওই ট্রেনে। এক মেয়ে আর ও এন এন্টারপ্রাইজ এর তিন কর্মকর্তা ছিল, ওই তিনজন মেয়েটিকে পেয়ে উত্তপ্ত করতে থাকে আর তার এগুলো তে কান দেয় না সে। তো একেবারেই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিল নিজেরে অবস্থা নিয়ে ভাবতে ভাবতে কষ্ট তার হাসি বের হতে থাকে। এগুলোতে ওই লোকগুলো যায় তারা ভাবে তারা মেয়েটির সাথে মজা নিলেন। আর এভাবে হেসে ওঠে কেন তারা এসে আর্থারকে অনেক মারে মেরে দাঁত-মুখ ফাটিয়ে দেয় আর তাদের সমস্যা সম্পর্কে বলতে চাচ্ছিল কিন্তু তারা সেই সুযোগটুকু পর্যন্ত দিচ্ছিল না। একটা পর্যায়ে আর্থারের ধৈর্য সীমা পার হয়ে যায় রাগে-ক্ষোভে ব্যথায় সে তার বন্ধুদের করে আর ওই তিনজনকে শুট করে দেয়।এ মেরে আর্থার অনেক ভয় পেয়ে যায়। সে ওখান থেকে পালিয়ে যায় পালিয়ে এসে একটি ওয়াশ রুমে ঢুকে পড়ে। সে অদ্ভুত অঙ্গ ভঙ্গি পায় সেখানে নাচতে থাকে সে তিনটি খুন করেছে এতে তার আফসোস নেই। সে এতটাই অন্যায় স্বীকার হয়েছে যে চলে গেছে তার এই ঘুরে এসে প্রতিবাদ করেছে তাই সে স্বস্তি পাচ্ছে। আয়নায় তাকিয়ে সে তার নিজের এই রূপ দেখে আর তার প্রতিবাদ করতে জানে না সে কি আদৌও আর্থার নাকি জোকার। শুরুতেই বলেছিলাম কোন মানুষের জীবন এতো দুর্বিষহ করে দিও না, যে জাতি সে তার নিজের অস্তিত্ব ভুলে যায় ধারণ করবে। এই সমাজ বলে যারা মারা গেছেন তারা অনেক ভাল লোক ছিলেন। তাই তাদের এই রকম মৃত্যু কখনোই কাম্য ছিল না। যে তাদের খুন করেছে সেটি জোকারের ভেসেছিল। কিন্তু আবার বিষয় হচ্ছে শহরের সবাই তিনজনের জন্য তার সামনে অনেক মানুষ নয় ওই জন্যই সহানুভূতি দেখাচ্ছে। সবাই তাকে সাপোর্ট করছে, আর তার জোকারের জয়জয়কার দেখে খুশি হয় মানুষ তার পক্ষে কথা বলছে। তার খ্যাতি দিচ্ছে যে আর্থার একা একা পথে ঘাটে নানাভাবে অবহেলা-বঞ্চনায় শিকার হতো। আজ অনেক মানুষের সাপোর্ট হচ্ছে সবাইকার হয়ে কথা বলছে তাকে অনুসরণ করছে। পরে আর তার সাইক্রেটিস্ট এর কাছে যায় তখন তার সাইক্রেটিস্ট বলে এটা তাদের শিক্ষা কেন্দ্র সরকার সোশ্যাল সার্ভিস এর বাজেট কমিয়ে দিয়েছে। তাই এখন ফ্রিতে সবাইকে ধরনের চিকিৎসা দেয়া হবে না। আর থাক আর তার ওষুধ পাবেনা চিকিৎসা পাবে না কিন্তু তার ঔষধের দরকার ছিল। তার অসুস্থ হওয়ার কথা ছিল সুস্থ-সুন্দর ভাবে কমিটি গঠন করার কথা ছিল। বাস্তবতার নির্মম পরিহাসে পড়ে গেছে সাক্ষাৎ শেষে আর তার একটি কমিটি কমেডিয়ান হিসেবে পারফর্ম করতে যায়। যেহেতু সুস্থ হতে পারবে না রিনা সরকার এসে আবার হাসতে শুরু করে জোরে জোরে উদ্ভট রাশির জন্য তার পারফরম্যান্স খারাপ হয়ে যায়।

ধন্যবাদ!! আশা করি সবাইকে ভালো লেগেছে!!

Sort:  
 3 years ago (edited)

ভালো লিখেছেন, তবে আরো স্পেস ও মার্কডাউন ব্যাবহার করলে আরো সুন্দর লাগতো

 3 years ago 

ঠিক আছে ভাই

 3 years ago 

Screenshot_20210415_213357.jpg

 3 years ago 

Try to write minimum 300 words and maximum 600 words in the post. Try to write the whole post yourself

Your post doesn't follow this rule.

Screenshot_2021-04-15-22-46-49-036_com.mi.globalbrowser.jpg

You have been upvoted by @toufiq777 A Country Representative, we are voting with the Steemit Community Curator @steemcurator07 account to support the newcomers coming into steemit.


Follow @steemitblog for the latest update. You can also check out this link which provides the name of the existing community according to specialized subject

There are also various contest is going on in steemit, You just have to enter in this link and then you will find all the contest link, I hope you will also get some interest,

For general information about what is happening on Steem follow @steemitblog.

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.027
BTC 60654.57
ETH 2343.25
USDT 1.00
SBD 2.48