আত্মীয়ের বাগানে র্যান্ডম ফটোগ্রাফি by @bull1( 10% shy-fox এর জন্য)
নমস্কার
পোস্টের নাম | আত্মীয়ের বাগানে র্যান্ডম ফটোগ্রাফি |
ডিভাইস | Realme 5 |
স্থান | দুর্গানগর |
পোস্টদাতা | @bull1 |
কেমন আছেন সবাই? সবার সবকিছু ঠিকঠাক চলছে তো? ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়াটা সবাই ঠিকভাবে উপভোগ করে নিচ্ছেন তো?
আপনারা কে কে ফটো তুলতে পছন্দ করেন? অনেকেই নিশ্চয়ই করেন। এই কমিউনিটিতে অনেককেই তো দেখি ফটোগ্রাফি পোস্ট করতে। আমারও কিন্তু দারুণ লাগে ছবি তুলতে।
ফটোগ্রাফি করাটা আমার একধরনের নেশার মত। যখন যেখানেই যাই কিছু না কিছু ছবি তুলেই ফেলি। এমন না যে স্টীমিটে আসার পরে এই অভ্যাস হয়েছে‚ বরং ফোন হাতে আসার পর থেকেই এই অভ্যাস ছিল।
গরীব মানুষ‚ ক্যামেরা কেনার ক্ষমতা নেই‚ তাই ফোন দিয়েই শখ মেটাই। যেখানেই যাই টুকটুক করে এদিকে ওদিকে ছবি তুলেই যাই। স্মৃতিগুলো স্থায়ী করে রাখার একটা চেষ্টা আরকি।
যদিও এটা শুনেছি যে ফটো তোলার অভ্যাস হয়ে গেলে মানুষ কোনো দৃশ্যকে স্থায়ী ভাবে মনে রাখেনা। কারণ তখন তার মস্তিষ্ক ভেবে নেয় যে বাইরে এক্সটার্নাল মেমোরিতে যখন ছবিগুলো রাখাই আছে তখন আমি কেন আমার জায়গা নষ্ট করব?
বিষয়টা সত্যি কিংবা মিথ্যে যাই হোক না কেন‚ এটা সত্যি যে ছবি তোলার সময় আমরা কিন্তু মন ভরে কোন দৃশ্যকে উপভোগ করতে পারি না। কারণ তখন আমাদের মন থাকে ছবি তোলার দিকে। এটা আমি ভালোভাবেই বুঝি কিন্তু তাও ছবি তোলার নেশাকে কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারি না।
যেখানে যাই না কেন ছবি আমার তুলতেই হয়। ছবি না তুললে ঘোরাটাই কেমন যেন মাটি হয়ে যায়।
আজকে গিয়ে ছিলাম আমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে। ভদ্রলোকের কম্পিউটারে কিছু সমস্যা হচ্ছে‚ সেটা ঠিক করতে পারি কিনা তাই দেখতে গেছিলাম। সমস্যা এমন কিছু জটিল না। কিন্তু ভদ্রলোক টেকস্যাভি না বলে এই ছোট্ট সমস্যা ধরতে পারেনি।
আমাদের বাড়ি থেকে কয়েকটা স্টেশন দুরে দুর্গানগরে তার বাড়ি। তাদের বাড়িতে বেশ বড় বাগান আছে। বাগানে অনেক ধরনের ফুল ফল সবজি হয়েছে। ভদ্রলোকের রীতিমতো বাগানের নেশা। অফিসের কাজ করার পর অবসর সময়টুকু তিনি বাগানেই কাটান। এবং তিনি এই পরিশ্রমের ফলও পেয়েছেন হাতেনাতে। তার বাগানে কিছুক্ষণ ঘুরতেই মনটা একেবারে ফ্রেশ হয়ে গেল। আর চটপট কিছু ছবিও তুলে নিলাম।
সেগুলোই কিছু কিছু এখানে পোস্ট করছি যাতে আপনারাও সেই সুন্দর বাগানের দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন।
আজ তবে এই পর্যন্তই। আবার কাল আসছি নতুন পোস্ট নিয়ে। বিদায়।
আমি @bull1 পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় থাকি। বয়স ২৮ বছর। ছাত্রজীবনে ইতিহাসে আর অঙ্কে গ্র্যাজুয়েট কমপ্লিট করেছি। এখন শিক্ষকতা করি। আর টুকটাক লেখালেখি করার অভ্যাস আছে। |
---|
ফটোগ্রাফির ইচ্ছে থাকলে, ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারবেন। আর আপনার আত্মীয়ের বাড়িতে দেখছি ফুল ফল সব মিলিয়ে আছে। চমৎকার ছিল ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ইচ্ছা তো আছে। দেখা যাক।
আপনার আত্নীয়ের বাড়িতে গিয়ে লাভ হয়েছে। এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো ঘটনা।আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। সবজি আর ফুলের খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার আত্মীয়ের বাসায় বেশ কিছু চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন।এটা অবশ্যই ঠিক বলেছেন যে আমরা কোথাও কোন সুন্দর কিছু দেখলে স্বচক্ষে দেখার চাইতে ফটোগ্রাফি তোলা নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকি। তাই খেয়াল করে সবকিছু দেখা হয় না। অন্যদিকে ফটোগ্রাফি করা ছাড়া ভালো ও লাগেনা। যাই হোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ হয়েছে।
শীতকাল টা বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করছি।যাই হোক আমার তো স্টিমে আসার পর ফটোগ্রাফি করার নেশা হয়েছে,আর এটাও ঠিক ফটোগ্রাফি করার জন্য কোন দৃশ্যকে আসলেই উপভোগ করতে পারি না।মনে মনে তাই ভাবি ছবি তো আছেই এত কিছু মনে রেখে কি করবো।আত্নীয়ের বাসা থেকে অনেক ছবি তোলেছেন। ভালো ছিলো। ধন্যবাদ
আত্মীয়র বাড়ি ভ্রমণ সাথে কিছু ফটোগ্রাফি এক কথায় অসাধারণ।। আপনার মত ফটোগ্রাফি করতে আমারও ভালো লাগে। এখন তো প্রতিদিন বিকেলে সবাই আমার বাগানে আসে ফুলের ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। জবা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলা দারুন হয়েছে শুভকামনা রইল আপনার জন্য।।
জবা ফুল এমনিতেও আমার প্রিয় ফুল। হয়তো এইজন্যেই ভালো হয়েছে।
শীতকালটা বেশ উপভোগ করছি। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে তো বেশ চমৎকার লাগছে ভাই। আত্মীয় বাড়ি যেয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করছেন। এতো সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।
শীতকাল আমিও উপভোগ করছি। আপনার শীতকালটা সুন্দর হোক। ধন্যবাদ।
ভাইয়া ছবি তোলার নেশা যেহেতু আছে ক্যামেরা ভাল মানের আছে বা নায় সেটা বুঝিনা।আমিও মোবাইল দিয়ে ফটোগ্রাফি করে আবার সেগুলো শেয়ার করি। তবে ভদ্রলোক খুব ভালোে এবং সুন্দর বাগান করতে পারে বোঝা যাচ্ছে। ক্ষেতের ছবিগুলো দেখে খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া।এমন সবজির বাগান আমাদের গ্রামের বাড়িতে ও করা হয়।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই ছবি তোলার জন্য কোন জায়গায় গেলে সেই পরিবেশটা আর সুন্দরভাবে উপভোগ করা হয় না। সব সময় ছবি তোলাতেই ব্যস্ত থাকি এবং পরে পরিবেশটা ছবিতেই দেখে নেই। কোন এক জায়গায় গিয়ে যে আগে ঠান্ডা মাথায় সেই জায়গাটা দেখব সেই উপায় থাকে না ছবি তোলার নেশা হলে। আপনার আত্মীয়ের বাগানটি খুবই চমৎকার। বিভিন্ন ধরনের সবজি গাছ এবং ফুল গাছ লাগিয়ে খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে। খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে বাগানের ছবিগুলো।
হ্যাঁ. ছবি তোলার নেশা দুই ধারী তলোয়ারের মত। ভালো আবার খারাপ।
বাহ আপনিতো আত্মীয় বাড়িতে গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুব ভালো লাগলো। আপনার মত আমিও মোবাইলে ফটোগ্রাফি করি। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ। সত্যিই ফটোগ্রাফি করার মতোই বাগান ছিল।
প্রথমে জানাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ৷যে এতো সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ৷ আপনার বন্ধুর বাগানে প্রতিটি ফটোগ্রাফি সত্যি অসাধারণ ৷ টমেটো,বেগুন করলা আবার কিছু ফুল ৷ অনেক ভালো লাগলো ৷
হ্যাঁ ওই বাগানে সবজি আর ফুল দুই আছে।