বিদ্যুতের দৌলতে কাচ্চি খাওয়া....🙂
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।আশাকরি আমার আজকে ব্লগ টি আপনাদের ভালো লাগবে।
বেশিকিছু দিন ধরে গরমে জনজীবনে অতিষ্ঠ।ঘরেবাইরে সবখানেই অস্থিরতা কোথাও কোনোভাবেই থাকা যাচ্ছে না।হঠাৎ করেই আমি হাই প্রেশারের রোগী হয়ে গেছি তাই গরম আমার জন্য আরও বেশি কষ্টদায়ক হয়ে যায়।দিনে রাতে কখনোই ঠিকমতো ঘুমোতে পারছিলাম না।আজ সকালবেলা ও প্রচন্ড গরম ছিল রোদের এতো বেশি তেজ যে মনে হচ্ছিল শরীরের চামড়া গুলো পুড়ে যাচ্ছে।গরমের জন্য অনেকগুলো দরকারী কাজ ফেলে রেখেছিলাম কোনভাবেই বাহিরে যেতে পারছিলাম না বলে দরকারি কাজগুলো করা হচ্ছিলো না।গতকাল রাতেই ভেবে রেখেছিলাম যে সকালবেলা যত গরমেই হোক না কেন বাসা থেকে বের হতেই হবে।
ঘুম থেকে ওঠার পর এই প্রচন্ড রোদ মন চাচ্ছিল না রান্নাঘরে গিয়ে কিছু রান্না করি আর সেখানে বাহিরে যাওয়াটা তো আরো বেশি কষ্টদায়ক কিন্তু না তারপরেও যেতেই হবে।এই ভেবে তাড়াতাড়ি সকালের খাবার তৈরি করলাম তারপর তিন মা মেয়ে মিলে খেয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বাহিরে বেরিয়ে পড়লাম।প্রথমে ভেবেছি ছোট মেয়ের আলোহাতে যাবো তারপর ওখান থেকে লাইব্রেরীতে আসবো বড় মেয়ের বই পরিবর্তন করতে হবে,তারপর টুকটাক কিছু কেনাকাটা আছে সেগুলো করে তারপর বাসায় ফিরবো এই ভেবে বাসা থেকে প্রথমে জলেশ্বরিতলার উদ্দেশ্যে রওনা হই।
কাজ মোটামুটি শেষ করে দুপুর আড়াইটার মধ্যে বাসায় ফিরে আসি।আজ শনিবার নিরামিষ খাবারের দিন তাই বাসায় তেমন কিছু রান্না করা হয়নি।সেজন্য বাজারে নেমেই প্রথমে দুই মেয়ের জন্য চিকেন বিরিয়ানি নেই যাতে ওরা বাসায় এসে খেতে পারে তারপর আমি সিদ্ধ ভাত খেয়ে নিবো।ওদের জন্য বিরিয়ানি নিয়ে বাসায় আসি ওরা দুজন মিলে খেয়ে নেয় তারপর আমি আলু সিদ্ধ ভাত খেয়ে গরমের মধ্যেই আমরা শুয়ে পড়ি অনেক দৌড়াদৌড়ি করার কারণে শরীর খুব ক্লান্ত লাগছিলো।যদিও বা অতিরিক্ত গরমের কারণে ঘুম আসছিল না তারপরেও শুয়ে থেকে বেশ ভালো লাগছিলো।হঠাৎ করেই বিকেলের দিকে আকাশটা অন্ধকার করে আসলো আর দমকা হাওয়া শুরু হয়ে গেল আমরা চারদিকে দরজা জানালা আটকাতেই যেন হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিলাম এত পরিমানে ধূলি ঝড় হচ্ছিল পুরো বাসা নিমেষের মধ্যেই ধুলিময় হয়ে গেলো।তারপর শুরু হয়ে গেল প্রচন্ড বৃষ্টি আর তখন চারদিকে নেমে এলো শান্তির আবহাওয়া।
চারোদিকে বৃষ্টি হচ্ছিল দেখে ভাবলাম এখন একটু শুয়ে থেকে রেস্ট করি ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় কখন যে দুচোখ লেগে গেছে বুঝতেই পারিনি তাই ঘন্টাখানেক ঘুমিয়েছি।ঝড় আসার সাথে সাথেই বিদ্যুৎ চলে যায়।কয়েক ঘন্টা পার হওয়ার পরেও আর বিদ্যুতের দেখা মেলে না।একবার একটু দেখা মিললো আর সাথে সাথে ট্রান্সমিটার ব্লাস্ট হয়ে গেলো! তখন আর বোঝার বাকি রইলো না যে আরও কয়েক ঘন্টা বিদ্যুতের জন্য আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে!এদিকে আমার গ্যাস সিলিন্ডার শেষ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ নেই ইন্ডাকশনও ব্যবহার করতে পারবো না আবার আজকে দুপুরে রান্নাও করিনি বাসায় খাবার মতো তেমন কিছু ছিলো না।রাত হয়ে যাচ্ছে মেয়েদেরও খুদা লাগছে কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না।প্রায় রাত নয়টার মতো বেজে গেছে তখন ভাবলাম আর চুপচাপ বসে থেকে লাভ নেই কিছু একটা ব্যবস্থা করতে হবে।আর তাই বসে না থেকে আমরা বেরিয়ে পড়লাম দত্তবাড়ির উদ্দেশ্যে দত্ত বাড়িতে কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চি আনার জন্য।মেয়েরা অনেকদিন থেকে কাচ্চি খেতে চাচ্ছিলো কিন্তু সময় করে আনা হয়ে ওঠেনি তাই ভাবলাম ওদের শখ টা আজকে পূরণ করি।
ওদের জন্য এক প্যাকেট কাচ্চি অর্ডার করলাম সাথে একটা বোরহানি।কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চির কোয়ান্টিটি বেশ ভালো এক প্যাকেট দিয়েই দুজন বেশ ভালোভাবে খেতে পারবে সেজন্য একটাই অর্ডার করলাম।এক প্যাকেট খাচ্চি আর বোরহানি মিলে ৩৭০ টাকা বিল আসলো।বিল পরিশোধ করে ওখান থেকে বেরিয়ে পড়ি।আমি শনিবার নিরামিষ খাবো তাই আমার জন্য চিড়া কলা নিলাম যাতে খেয়ে রাতটুকু পার করতে পারি।বাসায় আসলাম তারপর দুই মেয়ে মিলে খুব মজা করে কাচ্চি খেলো আর আমি চিড়া কলা দুধ দিয়ে খেলাম।মেয়েরা তো কাচ্চি খেয়ে সেই খুশি কারণ কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চির টেস্ট অসাধারণ যা ওদের খুবই প্রিয়।বিদ্যুতের দৌলতে তাও ওদের মনের আশাটা পূরণ হলো।🙂
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সবার অঞ্চলেই দেখছি ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আমাদের এদিকে এখনো ঝড় বৃষ্টি হয়নি। এই গরমে একটু ঝড় বৃষ্টি হলে ভালোই হতো আপু। যাই হোক কারেন্ট গিয়ে তাহলে তো দেখছি বেশ ভালো হয়েছে। কাচ্চি অর্ডার করে ফেলেছেন আপু।
সেদিন ঝড়বৃষ্টি হয়েছিলো আপু,কিন্তু এখন আবার সেই গরম।অনেক কষ্টকর হয়ে গেছে জীবন টা।ধন্যবাদ আপু।
এদিকেও বেশ ভালোই ঝড় বৃষ্টি হয়েছে কিন্তু আপনার মত আমার কপালে আর কাচ্চি জুটে নাই 😭 বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরে আমি অন্ধকারে বসে ছিলাম 🙂 তবে পোষ্টের শেষে এসে দেখলাম সেটা দুই মেয়ে খেয়েছে আপনি আর খাননি। যাই হোক গল্পটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
যে পরিমাণে বিদ্যুৎ যায় তাতে দিনের বেশিরভাগ সময়েই লাইট ফ্যান ছাড়াই থাকতে হয়।শনিবার আমি নিরামিষ খাবার খাই তাই কাচ্চি খেতে পারি নাই ভাই, খুবই আফসোস।😥
ঝড় বৃষ্টি না হলেও লোডশেডিং আমাদের এদিকেও বেড়ে গেছে আপু। নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কাজ করা যেমন মুশকিল হয়েছে তেমনি রান্নাবান্নার সমস্যা অনেক দেখা দিয়েছে। বাহির থেকে খাবার অর্ডার করে ভালোই করেছেন আপনি। খুবই লোভনীয় লাগছে কাচ্চি গুলো।
জ্বী ভাইয়া আমাদের এখানেও লোডশেডিং অত্যাধিক পরিমাণে বেড়ে গেছে।তার মধ্যে অসহ্য গরম সবমিলিয়ে একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ।কাচ্চিগুলো সত্যিই লোভনীয় ছিলো আর খেতে অনেক টেস্টি।
এরকম আবহাওয়াতে কিন্তু এই ধরনের খাবার গুলো খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার দুই মেয়ে তো দেখছি অনেক মজা করে এই খাবারগুলো খেয়েছে। তবে তাদের কাচ্ছি হওয়ার কথা শুনেই তো আমার অনেক লোভ লেগে গেলো। খাবার গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে কতটা সুস্বাদু ছিল। আমাদের মাঝে মুহূর্ত টা শেয়ার করে তো এখন লোভ লাগিয়ে দিলেন আপু। এত সুন্দর করে এটা শেয়ার করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জি ভাইয়া ওরা অনেক মজা করে খেয়েছিল কাচ্চি ওদের খুবই প্রিয় একটি খাবার।আর সত্যিই কাচ্চি গুলো অনেক সুস্বাদু ছিলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
কারেন্টের এই একটাই প্রবলেম। বর্তমানে বেশির ভাগ জায়গায় কিন্তু লোডশেডিং টা অনেক বেড়ে গিয়েছে। তবে আমাদের এদিকে ঠিক আছে লোডশেডিং। কয়েকদিন আগে পরিবেশের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। যার কারণে লোডশেডিং হয়েছিল অনেক বেশি। আপনার দুই মেয়ে কাচ্চি খেতে অনেক পছন্দ করে শুনে ভালো লাগলো। তারা কাচ্চি অনেক মজা করে খেয়েছে বুঝতেই পারছি। ভালোই করেছেন অর্ডার করে নিয়ে।
জ্বী আপু লোডশেডিং টা এখন যে পর্যায়ে আছে তাতে দিনের বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎ বিহীন থাকতে হয় আরে এটা সবখানেই।ওদের কাচ্চি খুবই পছন্দের একটি খাবার।ধন্যবাদ আপু।
বিগত দুইদিন ধরে আমাদের এখানেও প্রচন্ড পরিমাণে গরম পড়েছে দিদি। তবে গতকাল সন্ধ্যার দিকে ঘণ্টাখানেকের মতো বৃষ্টি হয়েছিল, এজন্য পরিবেশটা একটু ঠান্ডা হয়েছিল। যাইহোক, শনিবার নিরামিষ খাওয়ার দিন হলেও কারেন্ট চলে যাওয়ার কারণে মেয়েরা তো শেষ পর্যন্ত কাচ্চি খেতে পারল! হা হা হা...🤭 আমি বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশ গিয়ে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে গেছিলাম। কাচ্চির কোয়ান্টিটি অনেক বেশি থাকে এদের।
অসহ্য গরমের মধ্যে একটু বৃষ্টি দেখা মিললে অনেকটা শান্তি অনুভব করা যায়।হ্যাঁ দাদা শনিবারে নিরামিষ খাবার খাই আর সেরকম রান্নাও করা ছিলো না,তাই দুই মেয়ের জন্য কাছে অর্ডার করেছিলাম।ঠিক বলেছেন কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্ছির কোয়ান্টিটি বেশ ভালো।অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
হ্যাঁ দিদি, সেটা তো ঠিক । তবে পুনরায় বর্তমানে যা গরম পড়ছে তাতে বেঁচে থাকাই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।