নিজের যত্ন |পর্ব-১|

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago (edited)

হ্যালো বন্ধুরা

সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি,সুস্থ আছি।

লাইফে বাঁচতে হলে চলার পথে বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কখনো সে চলার পথ হয় দুর্গম গিরিপথের ন্যায়, কখনো আবার ধারালো সূচের মতো। এজন্যই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এবং বিপদ আপদ কে উপেক্ষা করে সফলতার পথে এবং সাফল্যময়ী জীবনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম নিজেকে ভালোবাসতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে এবং সর্বোপরি নিজের যত্ন নিতে হবে।

IMG_20230919_223024.jpg

জীবনে চলার পথে আমরা এতোটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ি আর তখন নিজের কথা ভাববার মতো সময় আমাদের হাতে থাকে না।আর এভাবে দিনের পর চলতে থাকে তখন একটা সময় গিয়ে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি।তখন আর নিজের যত্ন নিযেও কোনো লাভ হয় না।যেমন আমার কথায় যদি বলি,আমার বিয়ের পর যখন প্রথম ঢাকায় হাসবেন্ড এর সাথে যাই তখন আমাকে সারাদিন বাসায় একা থাকতে হতো।প্রতিবেশীদের সাথে তেমন মেশা হয়নি তার কারন ঢাকার যান্ত্রিক জীবন এবং মানুষ গুলোও কেমন জানি যান্ত্রিক তাই সেরকম কারো সাথে মেশা হতো না।

ঢাকায় গিয়ে প্রথম প্রথম একা সবকিছু করা আমার জন্য একটু কষ্টদায়ক হয়ে যায়,তারপরও চেষ্টা করতাম ঠিকঠাক মতো করার।হয়তো সংসারের কাজ গুলো ঠিকঠাক মতো করতাম কিন্তু নিজের জন্য তেমন কিছু করা হয়ে উঠতো না।আমার হাসবেন্ড ডিফেন্স এর চাকরি করেন তাই তাকে বেশিরভাগ দিনই নাইট ডিউটি যেতে হতো,তখন আমি বাসায় একা থাকতাম তখন আমার বয়স সবেমাত্র ষোলো তাহলে বুঝতে পারছেন একা থাকাটা আমার জন্য কতটা ভয়ংকর ব্যাপার ছিলো!যখন সে নাইট ডিউটি যেতো আমি সারারাত জেগে থাকতাম কোনোভাবেই ঘুম আসতো না পরেরদিন সকালে ঘুমাতাম এই যে দিনের পর দিন রাত জাগার কারনে আমি এটাতে একপর্যায়ে অভস্ত্য হযে পড়ি।আর এটা আমার শরীরে কি রকম বাজে প্রভাব ফেলে তা এখন বুঝতে পারছি।

এরপর বাচ্চাদের নিয়ে শুরু হলো আমার জীবনযাপন। ওদের কে নিয়ে মনে হয় আমি যুদ্ধে নেমেছি তাই নিজের দিকে তাকানোর কোনো সুযোগই নাই।অযত্নে আরও অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছি।তিন মাস পরপর যখন ডাক্তারের কাছে যাই চেক-আপ করাতে তখন ডাক্তার একটা কথাই বলে নিজের যত্ন নিতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে,তাহলে আপনি কিছুটা হলেই সুস্থ থাকবেন।কে শোনে কার কথা!বাসায় আসলে যে লাউ সেই কদুর মতো অবস্থা সবকিছু ভুলে যাই।এভাবেই চলে আসছে আগামী দিনগুলোও চলবে এটা ভেবে চুপচাপ থাকি।

IMG_20230919_223159.jpg

আমি খুব বেশি খাবার খাই না কিন্তু অনিয়ম আর ঔষধের কারনে দিনদিন কেমন জানি মুটিয়ে যাচ্ছি।এমনিতেই আমাদের বংশগত ওজন নিয়ে সমস্যা আছে,তার উপর আবার খাবার ঘুমের অনিয়ম আর সেই সাথে তো ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছেই সবমিলিয়ে ওজন ৮০র ঘরে চলে গেঅে বুঝতেই পারিনি।যদিওবা আমি অনেক লম্বা তাই ওজন একটু বেশি হওয়ারই কথা কিন্তু তাই বলে তো ৮০র ঘরে ওজন এটা ঠিক না এটাকে অতিরিক্ত ওজন বলে।ওজন বাড়লে শরীরে নানাধরণের সমস্যা তৈরি হয় বিশেষ করে আমার তো এতো পরিমাণে ব্যাথা বেড়ে যায় তাই ডাক্তার সবসময়ই বলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।চলবে........

IMG_20230919_223643.jpg

IMG_20230307_020842.png

Break3.jpg
Banner User.png
Break3.jpg

আমি অতসী চাকী (বৃষ্টি) । নতুন নতুন রেসিপি বানিয়ে সবাইকে খাওয়াতে আমার ভাল লাগে। আর ভাল লাগে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে। আমি "ভাল কাজের, ভাল ফল কথাটাতে" মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এবং মেনে চলার চেষ্টা করি।

Break3.jpg

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPgAaeHkUbVYHQygf4BziFrEyhjgH4bQJyLmky9bKBwALZ2h9iBsdB7ytyweg4...aUXLeYe3s5prEk6GNwc17FeYqYT61YgbrF4xidNoAoEJhMKPeQJMDqHd9ToQgL6ro2brbL83MdGQyafZvcEdJXdrtv7CKUsoEdfmN1RF8QMxbbsys62BizFDwT.gif

Sort:  
 11 months ago 

মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় দেখা যায় নিজের যত্ন নিতে পারে না । একসময় বিভিন্ন ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে যেটা আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার জীবনের কথা তুলে ধরলেন। সেজন্য ব্যস্ততার মাঝে নিজেকেও সুস্থ রাখার জন্য যত্ন নিতে হবে। বয়স যখন বেশি হবে আপনার জন্য ওজন যেটা ক্ষতিকর একটা দিক হবে সেজন্য নিজেকে যত্নবান হয়ে ওঠা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

জ্বি ভাইয়া নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই নিজের যত্ন নিতে হবে।ধন্যবাদ ভাইয়া।

 11 months ago 

সত্যিই আপনার জন্য দিনগুলো অনেক কঠিন ছিলো। সারারাত জেগে থাকার ব্যাপারটা ভাবতেই কেমন কঠিন লাগছে। আর এটা কিন্তু ঠিক যে ওজন বেড়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই দেখা দেয়।

আশা করি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

 11 months ago 

হ্যাঁ আপু ঐসময় গুলো অনেক খারাপ ছিলো একা একা রাত কাটানো।ধন্যবাদ আপু।

 11 months ago 

ইস্ সে সময় আমি থাকলে কতই না ভালো হতো। তাহলে আপনাকে এত এত কষ্ট করতে হতো না। যাই হোক বেশ কষ্টকর দিন কাটিয়েছেন তখন। বেশ দারুন লেখেছেন দিদি। নিজেদের যত্ন নিজেদেরকেই নিতে হবে। আপনার পোস্টি পড়ে অনেক গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় জানতে পারলাম। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।

 11 months ago 

আপনি থাকলে তো খুবই ভালো হতো।সারারাত ধরে দু'জন গল্প করেই পার করতাম।আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।

 11 months ago 

আসলে একটা পরিবেশ থেকে আর এক পরিবেশের মানি নেয়া প্রথমে দিক থেকে একটু কষ্টকর। আসলে আপু নিজের হাসবেন্ড যখন চাকরি রত থাকে তখন রাত্রে একা থাকাটা অনেক সাহসের ব্যাপার। তবে প্রতিনিয়ত রাত জাগার ফলে শরীরে অনেক ইফেক্ট পরে যেটা খুবই ক্ষতিকর। সুস্থ থাকা অবস্থায় নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা উচিত। এখন অসুস্থ হয়ে গেলে তখন আর কোন কিছুই করার থাকে না। অসুস্থ সবল দেহ না থাকলে মন ভালো থাকে না।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

রাত জাগা খুবই কষ্টকর আর সেই সাথে শরীর অনেক খারাপ হয়ে যায়।হ্যাঁ সুস্থ থাকা অবস্থায় নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত।ধন্যবাদ ভাইয়া।

 11 months ago 

মেয়েদেরকে নিয়ে আপনি অনেকটাই সিরিয়াস সেটা আমরা সবাই জানি তবে নিজের প্রতি একটু যত্নশীল হওয়ার চেষ্টা করবেন। নিজেকে যতটা হালকা রাখবেন ততটাই যেন রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন যদিও ওষুধের প্রভাবে আপনার ওজন আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে তবে আপনি যেহেতু লম্বা তাই ওজনটা খুব বেশি বাড়েনি আমার মনে হয় তারপরও ডাক্তারের পরামর্শ মতো চলা উচিত।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

হ্যাঁ ভাইয়া বাচ্চাদের প্রতি যত্নশীল হতে গিয়ে নিজের যত্ন করার টাইম পাই না।আমি অনেক লম্বা তাই ওজন বেশি হলে বোঝা যায় না। কিন্তু হাঁটুতে প্রচুর ব্যাথা অনুভব হয় তখন বুঝতে পারি যে ওজন কমানোটা খুব দরকার।ধন্যবাদ ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59871.00
ETH 2671.84
USDT 1.00
SBD 2.47