বিয়ের দাওয়াত এর পর ঘুরতে বের হওয়া।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
বেশ কিছুদিন আগে আমার যে ২ জেঠাতো ভাইয়ের বিয়ে গিয়েছিল সেই মুহূর্তের কিছু অংশ আপনাদের মাঝে শেয়ার করছিলাম।তবে দ্বিতীয় দিনের মুহূর্তটা আজকে শেয়ার করব। আমরা যখন মেজ ভাইয়ের বিয়ের দিনটায় শ্বশুরবাড়িতে যাই সেদিনও আমরা বাইকে করেই গিয়েছিলাম। যদিও সবাই একসাথে বেরিয়েছিলাম তবুও যেহেতু বাইক একটু স্পিড নিয়েই চলে তাই আমরা এই আগে পৌঁছে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে টুকটাক কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। তবে বেশ বিরক্ত লাগছিল কারণ বিয়ে বাড়িতে সেই মুহূর্তে কারেন্ট ছিল না। আর অনেকক্ষণ যাবৎ কারেন্ট না থাকার কারণে অনেক বেশি অস্বস্তি হচ্ছিল।
যাইহোক বেশ কিছুক্ষণ পর যদিও কারেন্ট এসেছিল। তবুও তাদের ফ্যানের যে অবস্থা ছিল আসলে এত মানুষ কাভার করতে পারছিল না। যাইহোক তারপর হালকা পাতলা কিছু নাস্তা করে নিয়েছিলাম। নাস্তা করার পর খাওয়া দাওয়ার পালা। যেহেতু বিয়ে বাড়ি আর লোকজন অনেক বেশি তাই বরপক্ষের লোকজনকে ধাপে ধাপে খাওয়ানো শুরু করে দিয়েছিল। যেহেতু আমরা প্রথম দিকে গিয়েছিলাম ওই হিসেবে তারা প্রথম ব্যাচ খাইয়ে দিয়েছিল। আর আমরাও খাওয়ার জন্য চলে গিয়েছিলাম উপরে।
খাওয়া দাওয়ার আয়োজন বেশ ভালোই ছিল। আর যেহেতু একটু তাড়াতাড়ি খাওয়া হয়েছে, আর খাওয়া-দাওয়াও একদম গরম গরম ফ্রেশ লাগছিল। এজন্যই খেতে খুব ভালো লাগছিল। যাই হোক সেখানে খাওয়া-দাওয়া করার পর নিচে গিয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়েছিলাম। এরপর আমার হাজব্যান্ড বললো এখান থেকে কাছেই একটা জায়গা আছে, ঘুরে আসলে বেশ ভালো লাগবে। যেহেতু সচরাচর বাইরে বের হওয়া হয় না, আর এমনিতে বিয়ে উপলক্ষেই যেহেতু বেরিয়েছি আর কাছাকাছি এত সুন্দর একটা জায়গা আছে ওই হিসেবে না গিয়ে আর পারলাম না।
তাই আমরা বের হয়ে গেলাম ৩ জন।এদিকে বাকিরা খাওয়া-দাওয়া করছিল। যেতে যেতে খুব সুন্দর একটা চর চোখে পড়লো। যেটা দেখে খুব বেশি ভালো লাগছিলো। আসলে এর আগের রাতে এখানে পানি এসেছিল সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। জোয়ার ভাটার এক একটা সময় একেকটা রকম লাগে। যেহেতু ভাটা চলছিল তাই এখানে পানিও নেই। সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম।
বেশ ভালো সময় এখানে অতিবাহিত করেছি। কারণ মেঘলা ওয়েদার তার পাশাপাশি খুব বেশি বাতাস ছিল। আর নিভৃত পুরো পরিবেশটা বেশ ভালোই উপভোগ করছিল। সেখান থেকে আবার আরো একটা জায়গায় গিয়েছিলাম। সেটা না হওয়া অন্যদিন শেয়ার করব। কারণ এতগুলো ফটোগ্রাফি বা মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে একসাথে শেয়ার করলে অনেক বেশি হয়ে যাবে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
I really enjoyed reading your article. Everyone loves traveling. I myself love traveling. I like spending some time with nature in the afternoon. Anyway, I really enjoyed seeing the pictures of nature. Okay, stay well and stay healthy. I wish you all the best.
বাহ আপনারা তো দেখছি জ্যাঠাতো ভাইয়ের বিয়ে খেতে গিয়ে ভালোই মোটামুটি ঘুরাঘুরি করেছেন। আর কোথাও গেলে ঘুরতে কিন্তু এমনিতে মন চাই। এবং আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনারা ভালো সময় কাটিয়েছেন। আর জোয়ার ভাটা জায়গা গুলোর মধ্যে পানি থাকলে একরকম সৌন্দর্য দেখা যায় আর পানি না থাকলে অন্যরকম সুন্দরকে দেখা যায়। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে।