গোল্ডেন শিশুপার্ক থেকে চায়ের গ্রামে।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
এই কয়েকটা দিন মানসিকভাবে একদমই ভালো নেই। সারাক্ষণ একটা না একটা টেনশন মাথায় ঘুরপাক খায়। তবুও দিনের যাবতীয় কাজকর্ম তো সারতেই হয়। কিন্তু শুধুমাত্র মানসিকভাবে সমস্যাগ্রস্ত তাও নয়। শারীরিকভাবেও অনেকটা অসুস্থ রয়েছি। আসলে কিছুদিন ধরে পায়ের নখের মধ্যে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যাগুলো যেন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। জীবন মানেই সমস্যায় ভরপুর একটা বই। যেখানে কিছু অধ্যায় খুব ভালো হবে আবার অনেক অধ্যায় খুব খারাপ ভাবে অতিবাহিত হবে।
খারাপ ভালো মিলেই যেহেতু জীবন তাই এটাকে মেনে নিতে হবে। যাইহোক প্রতিনিয়ত হয়তোবা এনগেজমেন্ট ঠিক রাখতে পারছি না তবে চেষ্টা করছি একটা করে পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে। আজকে সারাদিন ভেবেও পাইনি আর সময়ও পাইনি কি পোস্ট করব। কাজের ফাঁকে যে একটা পোস্ট রেডি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব সেই সুযোগ হয়নি। যাইহোক অবশেষে সেই সন্ধ্যেবেলা এসে আপনাদের মাঝে পোস্টটা শেয়ার করলাম।
অনেক আগেই একবার আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম ফেনী গোল্ডেন শিশুপার্কে যাওয়ার মুহূর্তগুলো। তবে আজকে যে মুহূর্তগুলো শেয়ার করবো সেটা হলো গোল্ডেন শিশু পার্ক থেকে চায়ের গ্রামে যাওয়া এবং সেখানে কাটানো কিছু মুহূর্ত। ওই যে বলেছিলাম জন্মদিন উপলক্ষে একটু বের হয়েছিলাম। সেই হিসেবেই আমরা চায়ের গ্রামে গিয়েছিলাম। সেই জায়গাটা আমার খুব পছন্দের।খুব সুন্দর ডেকোরেট করা জায়গা।তবে আগেও কয়েকবার যাওয়া হয়েছে গতবার। এবারও বাদ জায়নি।
সেখানে যাওয়ার পর সেদিন একটু বিরক্তিকর লেগেছিল। মূলত সেখানে অর্ডার করার কিছুক্ষণের মধ্যে খাবার চলে এলেও সেদিন অনেক লেট করে ফেলেছিলো। আমরা প্রথমে অর্ডার দিয়েছিলাম ফুচকা আর ২রকমের ৪টা চা।কিন্তু সেটা দিতে দিতেই অনেক লেট। বেশ অনেক্ষণ অপেক্ষা করতে করতে ঘুম চলে আসছিলো যেন।এদিকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে গিয়েছে।নিভৃত বেশ মজা করেছিলো কিছুক্ষণ। পরে সেও বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলো এভাবে থাকতে থাকতে।
যাইহোক বেশ কিছুক্ষণ পরে খাবার এলো। আমরা এদিকে ফুচকা পেয়ে তো শুরু করলাম ছবি তোলা। আর খাওয়া শুরু করতেই নিভৃত এসে আবার বিরক্ত করছিল।তখন তাকে কোনোমতে মানিয়ে নিলাম আলু ভর্তা আর দই দিয়ে। আর আমরা তো খেয়েই যাচ্ছি। সেদিন অবশ্য চিকেন সিঙ্গারা অর্ডার দিয়েছিলাম ফুচকা খেতে খেতেই। তবে সেটাও লেট করলো। এত বেশি লেট করেছিলো সেদিন যে মেজাজটা একদম খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চিকেন সিঙ্গারা খাওয়ার পর ভাবলাম লেট হলেও খাবারটা সেই মজা ছিল।
যাইহোক খাওয়াদাওয়া শেষ করে চলে এলাম বাইরে।এদিকে রাত অনেকটা হয়ে গেল। আর কোথাও ঘুরাঘুরি না করে ডিরেক্ট গাড়িতে করে বাড়িতে চলে এলাম।তবে গরমের কারণে মুহূর্তগুলো ততটা ভালো ছিল না,নিভৃত কোলে ওঠার জন্য বেশি বিরক্ত করেছিল।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আপু প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি। আসলে সবার জীবনে খারাপ অধ্যায় গুলো একটু বেশি থাকে ভালো অধ্যায়ের থেকে। জীবনকে মেনে নিয়ে আমাদেরকে ধৈর্য ধরে সুন্দরভাবে এগিয়ে যেতে হবে। আর ভালো থাকার যথাযথা চেষ্টা করতে হবে। যাই হোক চায়ের গ্রামটা কিন্তু আমার নিজেরও অনেক বেশি পছন্দের। আমার নিজেরও কয়েকবার যাওয়া হয়েছে চায়ের গ্রামে। অর্ডার করার পর যদি তারা লেট করে বিষয়টা একেবারেই বিরক্ত করা লাগে। খাবার গুলো অনেক বেশি মজার ছিল এটা শুনে অনেক ভালো লাগলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আসলে খাবারের আইটেম গুলো দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। আর আমি মনে করি আপনাদের মেয়েদের একটা প্রিয় খাবার হচ্ছে ফুচকা। যাইহোক ভালোভাবে খাওয়া দাওয়া করেছেন। তবে চা দেখে লোভ সামলাতে আমি একেবারেই পাচ্ছিনা আমার জীভে অলরেডি জল চলে এসেছে। খুবই লোভনীয় চা দেখে বোঝা যাচ্ছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।