অনিশ্চয়তা নিয়ে কয়েকটি কথা।।২ জুলাই ২০২২।।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করতে চলেছি সেটা জীবন সম্পর্কিত।আসলে আমি জীবন নিয়ে কথা বলতে ও ভাবতে ভালোবাসি।কারণ জীবনের থেকে বড় কিছু নেই এই জগতে।আজকে আমি যে বিশেষ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করবো সেটা হলো "অনিশ্চয়তা"।এই শব্দটার সাথে সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের পরিচয় আছে।কি হবে কাল?আমি কি পারবো?আমার সাফল্য কি অব্যাহত থাকবে?প্রত্যেকটা মুহূর্তে একটা অনিশ্চয়তা আমাদের ঘিরে রেখেছে।আসলে অনিশ্চয়তা দর্শন ও বিজ্ঞানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ভয় ও অনিশ্চয়তা কি পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত?
এই বিষয়ে কিছু অনুধাবন করতে গেলে আমাদের গভীর ভাবে ভাবতে হবে।কিছু বিষয় বিচার ও বিশ্লেষণ করতে হবে।কিছু পাওয়ার অনিশ্চয়তা ও কিছু হারানোর ভয় এই দুটো বিষয় একই সাথে আমাদের মনে কাজ করে।মানুষের একটা সহজাত প্রবৃত্তি হলো মানুষ যে জিনিসটার উপর বেশি নির্ভরশীল ,যেটা ছাড়া সে নিজেকে অনিরাপদ ভাবে সেটাকে হারানোর ভয় সব সময় তাকে তাড়া করে।
ভয় ও অনিশ্চয়তা নিয়ে গ্যাব্রিয়েল বেরনস্টেইন খুব দারুন একটা কথা বলেছেন -
"ভয় প্রায়ই অনিশ্চয়তার প্রতি আমাদের তাৎক্ষণিক সাড়া। ভয়ের অভিজ্ঞতা নেওয়ার মধ্যে কোন ভুল নেই। চাবিটি হল এর মধ্যে আটকে থেক না।"
অনিশ্চয়তা থেকেই একটা ভয়ের উদ্রেক হয়।ভয় আমাদের মানসিকতাকে নাড়িয়ে দেয় এবং ফলশ্রুতিতে আমরা আমাদের সেরাটা দিতে ব্যর্থ হই।জীবনে অনিশ্চয়তা থাকবেই এটাই প্রকৃতির নিয়ম,তাই একে উপেক্ষা করা উচিত নয়।
বিজ্ঞান ও দর্শনের চোখে অনিশ্চয়তা
হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতি বিজ্ঞানে অনিশ্চয়তা নিয়ে উত্তম রূপে ব্যাখ্যা করা আছে-
"কোনো কণিকার অবস্থান এবং ভরবেগ, একইসাথে নিখুঁতভাবে জানা সম্ভব না। অবস্থান নিখুঁতভাবে পরিমাপ করতে গেলে ভরবেগের মানে ভুলের পরিমাণ বাড়বে, আবার ভরবেগ নিখুঁতভাবে পরিমাপ করতে গেলে অবস্থানের মানে ভুলের পরিমাণ বাড়বে।"
কিন্তু দর্শনের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা একটা আলাদা রকমের।এখানে স্কেলার কিংবা ভেক্টর রাশির কোনো ব্যাপার নেই।কিন্তু রাশিচক্রের ব্যাপার তো আছেই।মানুষের অবচেতন মনে একটা ভয় কাজ করে এরপর কি হবে?যেটা হবে সেটা কি আমার অনুকূলে নাকি প্রতিকূলে?আর এই ভয়ের সামগ্রিক রূপ হলো অনিশ্চয়তা।
প্রিয়জনকে হারানোর ভয় কি অনিশ্চয়তা নাকি নিরাপত্তাহীনতা
এটা একটা কঠিন প্রশ্ন।এর সাধারণ হলো উত্তর আসলে হয় না।তবে আপেক্ষিকভাবে একটা উত্তর দেয়ার চেষ্টা আমি করছি।মানুষ আসলে সামাজিক জীব।মানুষ কখনই নিঃসঙ্গ ভাবে বাঁচতে পারে না।এই জন্য মানুষকে কিছু আপন জন তৈরী করে নিতে হয়।সুখে দুঃখে এই আপনজন দের নিয়েই তার জীবন অতিবাহিত হয়।নিজের অস্তিত্ব বলতে মানুষ তাদের প্রিয়জনকেই মানতে শুরু করে।ফলে হঠাৎ কোনো সংকট এলে প্রিয়জন কে হারানোর একটা ভয় মানুষকে পেয়ে বসে আর সেই ভয় থেকে ভীষণ অনিশ্চয়তা তৈরী হয়।
তাই প্রিয়জন কে হারানোর ভয় কে অনিশ্চয়তা বলে,নিরাপত্তাহীনতা কখনোই নয়।নিরাপত্তাহীনতায় বিশ্বাসের অভাব থাকে।কিন্তু অনিশ্চয়তায় কোনো বিশ্বাস অবিশ্বাসের জায়গা থাকে না।
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working.
Discord
ব্যাতিক্রমী একটি পোষণ ক্রিয়েট করেছেন দাদা। আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনিশ্চয়তার সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা পেলাম। আপনি কয়েকটি ধাপে অনিশ্চয়তার বর্ণনা করেছেন যা যা যে কারো জন্য বুঝতে সুবিধা হবে। ভয় ও অনিশ্চয়তা নিয়ে গ্যাব্রিয়েল বেরনস্টেইন এর উদাহরণ টি ভালো ছিলো-
দাদা অত্যন্ত মূল্যবান একটি বিষয় নিয়ে আজকে আলোচনা করেছেন। খুব মনোযোগ দিয়ে লেখাগুলো পড়ছিলাম। আসলে দাদা ভয় এবং অনিশ্চয়তা এই দুটোই আমাদের জীবনে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত। আমাদের চলার পথে সৃষ্ট ভয় থেকেই অনিশ্চয়তাগুলো তৈরি হয়। হতে পারে কখনো গুরুত্বপূর্ণ কোন বস্তু হারানোর ভয় আবার কাছের মানুষকেও হারানোর ভয়। এই হারানো থেকে আমাদের পরবর্তী জীবনে কি প্রভাব পড়তে পারে এটা নিয়ে অনেক নিশ্চয়তা তৈরি হয়। যাইহোক দাদা সব মিলিয়ে বলতে পারি আপনার লেখাগুলো থেকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তথ্য জানতে পারলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
অনিশ্চয়তা সম্পর্কে আপনার লেখাটি পড়ে ভাল লাগলো । খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন । আসলে আমরা প্রায় সব সময় আমাদের সামনের দিন গুলো নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগে থাকি । সামনের দিনগুলো বর্তমানের চেয়ে খারাপ প্রভাব ফেলবে । নাকি আরো উন্নত জীবনধারা সামনে অপেক্ষা করছে এই চিন্তা করে যেন সামনের দিনে পৌঁছাতেই ভয় পায় ।
বিজ্ঞান এবং দর্শনের আলোকে মনীষিদের বাণী সহ এই দুইটার মাঝের সম্পর্ক তুলে ধরেছেন । পড়ে ভাল লাগলো । ধন্যবাদ দাদা, ভাবনার জগতটা আরেকটু সমৃদ্ধ হলো ।
দারুন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন আজ দাদা। একটা যেন আরেকটার পরিপূরক। যেখানে ভয় আছে সেখানে অনিশ্চয়তা আছে, আবার অনিশ্চয়তা যেখানে থাকে ভয় টাও মনের কোণে উকি দেয়। আমি নিজেই কেমন যেন গুলিয়ে ফেলছি। আর প্রিয়জনকে নিয়ে কোন মন্তব্য করতে পারলাম না দাদা।
এই অনিশ্চয়তা গুলোর সাথে আরও একটি বড় অনিশ্চয়তা থাকে। সেটি হলো আমরা আগামীকাল বেঁচে থাকব কি থাকবো না সেটি নিয়ে।
ঠিক বলেছেন দাদা ভয়ের কারণে মানুষ মানুষের সেরাটা দিতে ব্যর্থ হয়। অনিশ্চয়তা নিয়ে খুব চমৎকার ভাবে লিখেছেন। কিন্তু বিজ্ঞানের ভাষায় অনিশ্চয়তার ব্যাখ্যা টা ভালোভাবে বুঝতে পারলাম না।
আমার কাছে সব থেকে বেশি অনিশ্চয়তা বা ভয় লাগে প্রিয়জনকে নিয়ে। একেই আমরা দুশ্চিন্তা বলে থাকি।
আমাদের জীবনের ভয়, অনিশ্চয়তা সবগুলোই মিলেমিশে আমরা আমাদের জীবন পার করছি। হয়তো প্রিয় মানুষকে আঁকড়ে ধরে আমরা বাঁচতে চাই। তাই তাকে হারানোর ভয় সবসময় হৃদয়ের মাঝে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করে। দাদা আপনার এই পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এবং শুভকামনা রইল আপনার জন্য। সেই সাথে আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো। ❤️❤️❤️
দারুন কিছু বৈজ্ঞানিক তথ্য তুলে ধরলেন অনিশ্চয়তা দুটির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সত্যিই প্রত্যেকটা অনু তার নির্দিষ্ট কক্ষপথে চলছে সেজন্য সঠিকভাবে পরিমাপ করা খুবই কঠিন যেখানে আবার ভরবেগ রয়েছে। মানুষের মধ্যে ভয়-ভীতির সৃষ্টি করে তাই বিশ্বাস অবিশ্বাস সেখানে মূল্যহীন হয়ে দাঁড়ায়। অনেক ভালো কিছু তথ্যমূলক কথা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
ভাইয়া খুব সুন্দর কিছু কথা বলেছেন। সব গুলো কথা আমার জীবনের সাথে মিলে গেছে। আমি গত দুই মাস ধরে অনিশ্চয়তায় ভুগতেছি। কি হবে,কি করবো,মানষিক ভাবে টেনশনে আছি। ধর্য ধরে বসে আছি কখন অনিশ্চয়তা কাটবে। আপনার পোষ্টটা পড়ে ভাল লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।
আজকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।আমাদের সকলের জীবনের অনিশ্চয়তা বিষয়টি রয়েছে। তবে চাই নিরাপত্তাহীনতা টা যেন না আসে।
যেভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভাই, এখানে মতামত দেওয়া খুবই কঠিন । কারণ প্রতিটি কথার মধ্যেই আমি একদম ধারালো যুক্তি দেখছি । তবে আমারও মাঝে মাঝে ভয় ও অনিশ্চিতা ভীষণ কাজ করে। কেন এমন কাজ করে , তা আমি জানিনা । তবে আমার ভয় বা অনিশ্চয়তা কাজ করলে আমি নিজেকে স্বাভাবিক ও শান্ত রাখার চেষ্টা করি এবং আমি নিজের মাঝে নিজেকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করি । তবে মানুষ হিসেবে আমি যতদিন বেঁচে থাকব, এই স্বভাবজাত অভ্যাস গুলো মনে হয় কিছুটা হলেও থেকেই যাবে , এমনটাই তো মনে হয় ।
যথার্থ লিখেছেন ভাই।