একটি গোধূলি বেলায় সবুজের সান্নিধ্যে কিছু সময় কাটানো।।০২ জুলাই ২০২২।।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আবার একটু বেরিয়ে পড়লাম।আর আমার বেড়ানো মানেই একটু শহর থেকে দূরে।দিন দিন শহর আমার কাছে বড় একঘেয়েমি হয়ে উঠেছে।তাই আমি চেষ্টা করি একটু শহর থেকে দূরে হোক সেটা যেমনই একটু সবুজ আর দূষণ মুক্ত হলেই হলো।আমার ভীষণ ভালো লাগে নির্মল হাওয়ায় শ্বাস নিতে।আমি মনে করি একটু সময় বের করে সপ্তাহে অন্তত একদিন দূষণ মুক্ত পরিবেশে আমাদের অক্সিজেন গ্রহণ করা উচিত।তাহলেই আমাদের মন ও দেহ দুটোই উজ্জীবিত হয়ে উঠবে।আর আমরা আমাদের কাজে আরো বেশি মনোযোগী হতে পারবো।
আজকে গিয়েছিলাম ব্যারাকপুর-কৃষ্ণনগর রোড বাইপাস এ।এই রোড টা একসময় এতটাই খারাপ ছিলো যে এখানে যেতেই ভয় করতো।যাকে বলে বীভৎস রকমের খারাপ।কিন্তু কয়েক বছর হলো এই রোড টা অনেক বড় ও সুন্দর হয়েছে।এতটাই সুন্দর যে বাইক আরোহীদের কাছে এই রোড এক কথায় স্বর্গ।আমি তো প্রায়ই এই রোডে bike ride করতে চলে যেতাম।এখন ব্যস্ততার কারণে পারি না।হয়তো তাড়াতাড়ি bike চালানো ও বন্ধ করে দেবো।যাই হোক অনেক দিন পর কাছের বন্ধু তন্ময় কে নিয়ে গেলাম ওই road।আসলে আগে থেকে কোনো প্ল্যানই ছিলো না।তন্ময়ের সাথে দেখা হয়না তা প্রায় সাত মাস।কিন্তু আগে সব থেকে বেশি সময় কাটাতাম ওর সাথে তারপর আমাদের এডমিন @winkles এর সাথে।সময়ের সাথে সাথে আমাদের সবারই ব্যস্ত হয়ে যেতে হয়।এটাই নিয়ম কারণ সবাই একটা সময় পর নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে শুরু করে।
যাই হোক হঠাৎ whatsapp এ তন্ময় জানালো আজকে একটু বেরোতে চায় আমার সাথে।অনেক দিন দেখা হয় না তাই আমি ও রাজি হলাম।মোটামুটি পাঁচটার দিকে বেরিয়ে পড়লাম।কিন্তু বেরিয়েই বৃষ্টির কবলে পড়লাম।তাই একটা দোকানের সেডের নীচে প্রায় ৪০ মিনিট অপেক্ষা করলাম বৃষ্টি থামার।একসময় বৃষ্টি থামলো আমরা আবার বেরিয়ে পড়লাম।
অনেকদিন পর বেরিয়ে খুব ভালোই লাগলো।বেশ হাওয়া ছিলো আর বৃষ্টির কারণে পরিবেশ ও ঠান্ডা ছিলো।হঠাৎ দেখলাম আম বাগানে একটা বাঁশ দিয়ে রেস্টুরেন্ট তৈরি করা হয়েছে।theme টা ও আমাদের কাছে দারুন লাগলো।কিন্তু এদের decoration আর পরিবেশ ভালো হলেও সার্ভিস ও খাবারের মান খুবই হতাশাজনক।আমি আর দ্বিতীয়বার এখানে যাওয়ার ইচ্ছে রাখছি না।
এরপর গেলাম কৃষ্ণনগর রোড এ পাশে অবস্থিত বিখ্যাত মৌচাক ধাবায়।এখানে একটি বিশেষ মালাই চা পাওয়া যা এক কথায় অসাধারণ।তো আমরা দুজনে গিয়ে দুটো মালাই চা অর্ডার করলাম।যেহেতু শনিবার তাই বেশ ভিড় ছিলো।আমাদের বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হলো।এদিকে আবহাওয়া ও স্বাভাবিক হয়ে গেল।
চা খেয়ে আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম।সত্যি মালাই চা টা দারুন ছিলো বরাবরের মতো।----------------------
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working.
Discord
গোধূলি লগ্নে প্রিয় বন্ধুর সাথে সবুজ প্রকৃতির মাঝে সুন্দর একটি বাঁশের রেস্টুরেন্টে সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন দাদা।আবার সেখানে বন্ধুর সাথে একসাথে মালাই চা খেয়েছেন।আসলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার মাঝে অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে, যা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।রেস্টুরেন্টেটা দেখতে খুবই সুন্দর ছিল এবং আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন। যা দেখে খুবই ভালো লাগছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি পোষ্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
আসলেই দাদা,,সপ্তাহে একদিন সবুজ প্রকৃতির কাছে যাওয়া উচিত।কিন্তু কয়জনই আমরা পারি হুটহাট বেরতো পারে। যাই হোক বাঁশের রেস্টুরেন্ট বেশ সুন্দর। কিন্তু খাওয়া দাওয়ার কথা শুনে মনে হচ্ছে, উপর দিয়ে ফিটফাট ভেতর দিয়ে সদরঘাট 😉😉।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
আজকে আমার পোস্টের সাথে দাদার দুই লাইনের মিল পেলাম তা হলো পুর্বের কোন ভয়ংকর স্থান যা এখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে । আমি নিজেও সব সময় চেষ্টা করি কোলাহল মুক্ত জীবন ছেড়ে একটু সবুজের মাঝে যেয়ে নয়ন জুড়ানো মুহুর্ত গুলো উপভোগ করতে । মাঝে মাঝে তা করেও ফেলি বেরিয়ে যায় স্পর্শ পেতে এই সুন্দর সবুজের সমারোহের ।
তবে দাদা একটি কথা এখন আমার জীবনেও সত্যি হয়ে উঠছে কাছের বন্ধুদের থেকে দূরে সরে যাওয়া শুধু একটায় কারণ সময়ের সাথে মিল না থাকা সবাই সবার নিজের লাইফে ব্যাস্ত । যাদের সাথে একসময় দিনের অর্ধেক সময় কেটেছে তাদের সাথে একবছরেও এতটা সময় পাওয়া মুশকিল ।
আপনার আজকের তথ্যবহুল ছবি সমৃদ্ধ পোস্টটি পড়ে ভাল লাগলো । ধন্যবাদ দাদা ।
গোধূলি বেলায় সবুজের সান্নিধ্যেবেশ ভালোই হয়েছে। সাথে বন্ধুর সঙ্গে মালাই চা খেয়ে সময় কাটানো অত্যন্ত চমৎকারভাবে লাগলো আমার কাছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
একটি বিষয় লক্ষ্য করেছে দাদার ইদানিং পোস্টগুলো প্রকৃতির সাথে অনেক বেশি সম্পর্কযুক্ত। ঘুরাফেরা নিজেকে সময় দেয়া এরকম।
আমারও দাদা আপনার মত সবুজ প্রকৃতিতে খোলা আকাশে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে খুব ভালো লাগে।
ইদানিং এমন হয়েছে এই রোদ এই বৃষ্টি সকালবেলা বাসা থেকে বের হব চমৎকার রোদ ছাতা আনা হয়নি ১০ মিনিট চলার পর বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে।
আজকাল রোডে বাইক নিয়ে চলাফেরা অনেক রিস্কি হয়ে পড়েছে তাই দাদা একটু সাবধানে চলবেন। আপনারা ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকি।
দাদা আপনার এই কথাটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে আমাদের সকলের উচিত সপ্তাহে একদিন দূষণমুক্ত পরিবেশে অক্সিজেন গ্রহণ করা উচিত ।আর আপনি আজকে আপনার বন্ধুর সঙ্গে বেশ ভাল সময় কাটিয়েছেন আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম। আর ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে।জায়গাটি মনে হয় বেশ সুন্দর ।খুব ভালো সময় উপভোগ করেছেন বুঝতে পারছি। তবে দাদা মালাই চা টা কেমন ?এর মধ্যে কি আইসক্রিম থাকে? জানার ইচ্ছা ছিল ।ধন্যবাদ আপনাকে।
সর থাকে।
ধন্যবাদ দাদা।
গোধূলি বেলায় সবুজের সান্নিধ্যে কিছু সময় কাটানো মুহূর্ত খুবই আনন্দের ছিল। আপনি খুবই সুন্দর সময় পার করেছেন এবং ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আসলে অনেকদিন পর এই সৌন্দর্যময় জায়গায় এসে এবং বৃষ্টির কারণে পরিবেশটা ঠান্ডা ছিল। সৌন্দর্যময় পরিবেশের মধ্যে আমবাগানে রেস্টুরেন্টের পরিবেশটাও আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তবে খাবারের মান খারাপ জানার পরে নিজের কাছে হতাশা লাগছে। আসলে পরিবেশটা অনেক সুন্দর ছিল ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো আমার।
একদম ঠিক বলেছেন দাদা আমাদের সবারই উচিত সপ্তাহে একদিন সময় করে অন্তত বাইরে ঘুরতে যাওয়া অক্সিজেন নেওয়ার উদ্দেশ্যে ।আপনি ভালো কাজ করেন সময় পেলেই প্রকৃতির মাঝে চলে যান সময় কাটাতে শহরের কোলাহল আসলেই ভালো লাগেনা ।বাইপাস রোড হলে সেই রোডে বাইক চালিয়ে আরাম পাওয়া যায় ভালোই করেছেন বন্ধুকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। হুটহাট বেড়ানোর মজাই আলাদা ,ভাগ্যিস বৃষ্টিতে থেমেছিল তা না হলে আপনাদের ঘোরাটাই মাটি হয়ে যেত ।আবার এক দিক দিয়ে বৃষ্টি নামা ভালো হয়েছে পরিবেশটা অনেক ভালো পেয়েছেন ।আপনারা ঘুরেও এত মজা পেয়েছেন এবং জায়গাটাও এত ভালো ছিল যদি দ্বিতীয়বার যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন ।খুব ভালো লাগলো দাদা আপনার পোস্টটি পড়ে। আর খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির সাথে শেয়ার করেছেন।
আসলে আমাদের সবার উচিত সপ্তাহে অন্তত একদিন মুক্ত মনে ঘুরে বেড়ানো তাতে আমাদের মন ফ্রেশ থাকবে। আপনার পোস্টটি পড়ে আর ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো দাদা। এমন পরিবেশে ঘুরতে গেলে মন খারাপ থাকলেও মন ভালো হয়ে যাবে। বাড়ি ফেরার আগে দুই বন্ধু মিলে মালাই চা খেয়েছেন, সব কিছু মিলিয়ে অনেক ভালো সময় কেটেছে আপনাদের। শুভকামনা রইলো দাদা।