স্বরচিত কবিতা - মৃত্যুর গাড়ি
মানুষের মৃত্যু কখন আসে সেটা কেউ বলতে পারে না। হয়তো এখন, নয়তো কয়েক ঘন্টা পর, হয়তো কাল বা হয়তো কয়েক বছর পর। কিন্তু পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতেই হবে আজ নয়তো কাল। আর যাওয়ার জন্য তৈরি আছে আমাদের যানবাহন। যে যানবাহনে করে আমরা পৃথিবী থেকে চলে যাব এক অজানা দেশে। যেখানে কোন টাকা নেই পয়সা নেই কোন কিছুর কোনো মূল্য নেই । আছে শুধু দুনিয়ায় করে যাওয়া ভালো কাজের ফলাফল।
সেখানে ভালো কাজের ফলাফল ছাড়া আর কোন কিছুরই দাম থাকবে না, যতই বড়লোক আর যতই টাকা-পয়সা কথা বলুন না কেন। দুনিয়াদারি টাকার সম্পদের উপরে চললেও বাস্তবতা এটাই যে একদিন আমাদেরকে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে এমনই একটা যানবাহনে করে। আর তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন আমাদের প্রতিটা মানবের। আমি সেই আবেগ থেকেই আমার আজকের লেখা কবিতা। আজকে আমি মৃত্যুর গাড়ি নামে একটি কবিতা কিছু লাইন লিখেছি ও মনের অনুভূতি দিয়ে মনের কথা গুলো প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি। আশাকরি আপনাদের কাছে আমার লেখা কবিতার লাইন গুলো ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক.......
মৃত্যুর গাড়ি |
---|
আমি গহীন বনের রাত্রি,
আমি চড়েছি যে বাসে
সে বাস শুধু যায় আর ফিরে নাহি আসে।
কেউ পায় না তার দিশা,
আধার পথের যাত্রীদের শুধু জাগে
বাসে ওঠার প্রবল নেশা।
নেই কোনো তাড়াহুড়ো।
যাত্রীরা কেউ যুবক যুবতী,
কেউ আবার আছে বুড়ো।
টাকা ছাড়াই বুকিং হয়।
টিকিটে কোনো সংখ্যা নয়,
শুধু যাত্রীর নামটাই রয়।
লাগে না জ্যাম জট,
সময়মতো শুধু যাত্রীদের নিয়ে
চলে গাড়ি ফটফট ।
শুধু যাত্রীদের ছাড়া,
পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেও
লাগেনা গাড়ির ভাড়া।
এতো,, আধার পথের গাড়ি।
সন্তানকে বাবা ছাড়া-মাকে সন্তান ছাড়া করে
যাত্রী নিয়ে দেয় গহীন উদ্দেশ্যে পাড়ি।
সবকিছুকে ছেড়ে,
যেতেনা চাইলেও টেনে হেঁচড়ে নেবে
পৃথিবী থেকে কেড়ে।
যুগের পর যুগ,
একে একে খালি হবে পরিবার,
থেকে যাবে শুধু শোক ।
সমাপ্ত
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
আপনার কবিতা পড়ার পরে,, আসলে অনেকটাই ভয় পেয়ে গেলাম! আমরা প্রত্যেকেই মরণ পথের যাত্রী! একটা সময় আমাদের প্রত্যেককে এই বাসে চড়ে,,, না ফেরার দেশে চলে যেতে হবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,, এত সুন্দর একটা কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভালো থাকবেন।
ঠিক বলেছেন আপু কার কখন কিভাবে মৃত্যু হবে কেউ জানেনা। তবে এই গাড়িতে সবাইকে চড়তে হবে এটা সবার জানা। যেতে না চাইলেও টেনে হিচড়ে নিয়ে যাবে এই গাড়ি। আপু আপনার কবিতার প্রতিটা লাইন পড়ার সময় যেন শরীরে কাঁটা দিয়ে ওঠেছিল। পরক্ষণেই মনে হলো কেন এত অহংকার, কেন এত মিছে মায়া একদিন তো সবকিছু ছেড়ে চলে যেতে হবে। কবিতার প্রতিটা লাইন খুব সুন্দর ভাবে মিলিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর কবিতা শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু মৃত্যু কখনো বলে কয়ে আসে না
যেকোন সময় আমাদের মৃত্যু হতে পারে। তাই আমরা যদি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকি তাহলে পরকালে ভালো কিছু পাবো। আপু আপনার লেখা কবিতার লাইনগুলো অসাধারণ ছিল। আপনি সত্যিই দারুণ কবিতা লিখেছেন।
কবিতা পড়াটা অনেকটা নেশার মতো আমার কাছে। আপনার লেখা কবিতা অবশ্য আমার আগে কখনো পড়া হয়নি। আজকেই প্রথমবার পড়লাম। কবিতাটা পড়ার পরে ব্যাক্তিগতভাবে একেবারে অনুভুতিকে ছুঁয়ে গেছে। কারন এই মাসের ৮তারিখে আমি আমার মাকে হারিয়েছি। যার কারনে মৃত্যু জিনিসটাকে খুব কাছে থেকেই অনুভব করেছি যার স্মৃতি এখনো একেবারে জ্বলজ্বল করছে আমার মনে।এমনিতে মৃত্যু নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর কবিতা পড়েছি আগে।তার লেখার সাথেতো আসলে কারো তুলনা চলে না কিন্তু আপনার লেখা এই কবিতাটা একই সাথে খুব লেগেছে আবার সাথে মায়ের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে শেষ চারটি লাইন একেবারে মনের গভীরে আঘাত করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটা কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপু আপনি প্রতিনিয়তই খুব সুন্দর সুন্দর কবিতা লেখেন। আপনার কবিতাগুলো আসলে অনেক বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে প্রতিনিয়ত সুন্দর কবিতা উপহার দেওয়ার জন্য ভালো থাকবেন।
মৃত্যুর স্বাদ প্রতিটি প্রানীকে গ্রহন করতে হবে।সেই মৃত্যু নিয়ে কবিতাটি খুব সুন্দর লিখলেন।মৃত্যুর গাড়ি কবিতাটি পড়ে অনুভূতিতে ছুঁয়ে গেলো আপু।প্রতিটি লাইন মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দিল।দারুন লিখেছেন আপু।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই কবিতাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।