স্বস্তির বৃষ্টি।
গতকাল এবং গত পরশুদিন আমাদের এখানে শান্তির বৃষ্টির দেখা পাই আমরা। বৃষ্টি পড়াকালীন মনে হচ্ছিলো এই বৃষ্টিকে কত বছর যাবৎই বা দেখি না। স্বস্তির বৃষ্টি আর ঠান্ডা বাতাসে পুরো এলাকা যেন ঠান্ডায় শীতল হয়ে গিয়েছিলো। তবে গত পরশুদিন যে বৃষ্টিটা হয়েছিল সেটা বেশ জোড়ে শোরই হয়েছিল। যার কারণে বিদ্যুতিক খুঁটিতে বিশাল বড় সমস্যা হয়ে যায় এবং সেই রাতের বেলায়ই কারেন্ট চলে যায়। আসলে যত ঝড় বৃষ্টিই বয়ে যাক না কেন , এই বৃষ্টি পেয়ে সবাই খুশি ছিল। কেননা এই গরমে মানুষ জন উপলব্ধি করতে পেরেছিলো বৃষ্টি আমাদের মানবজাতির জন্য কতটা আশীর্বাদ স্বরূপ।
কিন্তু এই বৃষ্টির ফলে আমাদের বিদ্যুতিক লাইন এর যে ক্ষতি হয়েছে সেটার পরিমান ছিল প্রচুর। ঐদিন রাতের বেলা কারেন্ট যাওয়ার পর থেকে টানা দেড় দিন পর্যন্ত কারেন্ট ছিল না। এখন আপনারাই চিন্তা করে দেখুন , টানা দেড় দিন পর্যন্ত যদি কারেন্ট না থাকে তাহলে এর ভয়াবহতা কত টুকু হতে পারে ? এখনকার সময়ে কি ১ ঘন্টা কারেন্ট ছাড়া থাকা সম্ভব ? বেশি কষ্ট হয়েছে যাদের কিনা আইপিএস ব্যবস্থা ছিল না। যদিও আইপিএস এখন সবার ঘরে ঘরে পাওয়া যায়না বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়। তবে আর যাই হোক বৃষ্টির সময় এমন কেউ বাদ ছিলোনা যে কিনা সেই সময় খুশি হয়নি। আল্লাহর নিয়ামত কতই না সুন্দর।
বৃষ্টির সময় আমি চেয়েছিলাম ভিজবো তবে বাবুর কথা চিন্তা করে ভিজিনি। যদি এখন রাতের বেলা ওই বৃষ্টিতে ভিজতাম তখন হয়তো বাবুর ঠান্ডা লেগে যেত , তবে খুব ইচ্ছা করছিলো বৃষ্টিতে ভিজার জন্য। তাই জানার কাছে দাঁড়িয়ে বাইরে হাত বাড়িয়ে হাত টাকে ভিজাচ্ছিলাম, সত্যিই তখন দারুন লাগছিলো। তারপর জানালা দিয়ে শীতল ঠান্ডা বাতাস। মুহূর্তেই শরীর পুরো ঠান্ডা হয়ে গেলো। আমি সত্যিই তখন উপলব্ধি করছিলাম কি এক জটিল চক্রের মধ্যে আমরা আছি। কতই না জটিল আমাদের এই প্রকৃতি। এই বৃষ্টি হচ্ছে , সেই বৃষ্টি আবার নদীতে মিশছি আবার সেই যদি থেকে পানি বাষ্পীভূত হয়ে আবার আকাশে উঠে বৃষ্টি আকারে পড়ছে।
যাই হোক , ঐদিন বৃষ্টি হওয়ার পর পুরো আবহাওয়াটাই পরিবর্তন হয়ে যায়। অনেক শান্তির ঘুম হয়েছিল সেদিন। তারপর থেকে আজ মোটামোটি আবহাওয়া এখনো ঠান্ডা ঠান্ডাই আছে। বেশি একটা গরম অনুভব করছি না , আশা করছি আবারও বৃষ্টি নামবে শীঘ্রই এবং আবহাওয়া আরো অনেক ঠান্ডা হবে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
স্বস্তির বৃষ্টি যেটা সবাই প্রত্যাশা করে ।তাহলে আপনাদের ওখানে ভালই বৃষ্টি হয়েছে । এখনো আমরা বৃষ্টি দেখা পাইনি। আল্লাহ ভরসা বৃষ্টি আল্লাহর রহমত অপেক্ষায় আছি আল্লাহতালা কখন বৃষ্টি দেয়। তাহলে তো লোডশেডিং এর মাধ্যমে ভালোই ভোগান্তি হয়েছে আপনাদের। একদিনের বেশি কারেন্ট না থাকা মানে অনেক বড় একটি ভোগান্তি। আরেকটি বিষয় ভালো করেছেন বৃষ্টিতে না ভিজে। এই সময় বৃষ্টিতে ভিজলে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি।
ঢাকায়ও গতকাল রাতে স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। যদিও বৃষ্টির সময় ছিল কম।তবুও একটু প্রশান্তির ছোঁয়া দিয়ে গেছে প্রকৃতি। বৃষ্টি নিয়ে পোস্টটি সুন্দর হয়েছে আপু। তবে পল্লী বিদ্যুতের এই এক সমস্যা, আমাদের গ্রামেও যা ঘটে, একটু ঝড় বৃষ্টি হলেই বিদ্যুত লাপাত্তা। দেড় দিন বিদ্যুত বিহীন ছিলেন ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপু আপনাদের দিকে বৃষ্টি হয়ে পরিবেশ এভাবে ঠান্ডা হয়েছে গিয়েছে জেনে সত্যি খুব ভালো লাগলো। কিন্তু ঢাকায় বৃষ্টি হলেও পরিবেশ এখনও উত্তপ্ত রয়েছে। তবে গ্ৰামে এই একটা সমস্যা একটু ঝড় হলেই গাছ পড়ে কারেন্টের তার ছিড়ে যায় আর দু- তিন দিন কারেন্ট আসার নাম থাকে না। এবার গ্ৰামে থেকে তা টের পেয়েছি। তবে আপু আইপিএস থেকেও লাভ নেই। এত দিন কারেন্ট না থাকলে তারও চার্জ শেষ হয়ে যায়। আপু এটা ঠিক বলেছেন আমরা এক জটিল চক্রের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছি। নদীর পানি বাষ্পীভূত হয়ে আকাশে উঠে বৃষ্টি হয়ে পড়ে আবারও নদীতেই মিশে যায়। সত্যিই আল্লাহর এই সৃষ্টি কতই না সুন্দর। আমাদের এখানে গতকাল বৃষ্টি হয়েছে তবে আজ সন্ধ্যা থেকে মনে হচ্ছে একটু হলেও গরম কম লাগছে। এই অসময়ের বৃষ্টিতে না ভিজে ভালো করেছেন। নিজের তো ঠান্ডা লাগবেই সাথে বাচ্চারও লাগবে। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের ওদিকে বৃষ্টি হয়েছিল যেন খুব ভালো লাগলো। তবে বৃষ্টির সাথে মনে হয় বেশ ভালই ঝড় হয়েছিল যার কারণে একটি খুঁটি ভেঙ্গে গিয়েছিল আর দেড় দিন অব্দি কারেন্ট ছিল না। আসলে এই সময় দেড় দিন কারেন্ট না থাকা মানে বিশাল এক ব্যাপার। যাইহোক কারেন্ট না থাকলেও আশা করি বৃষ্টির দেখা পেয়ে সবাই বেশ খুশি হয়েছিল। আশা করি আল্লাহর রহমতে খুব শীঘ্রই আমাদের এখানেও ঝরবে রহমতের বৃষ্টি। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গতকাল রাতে আমাদের এখানেও বৃষ্টি হয়েছে। আর বৃষ্টির পর থেকে ওয়েদার কিছুটা ঠান্ডা হয়েছে। গতকাল সকালে আমাদের মসজিদে দোয়া করা হয়েছিল যাতে বৃষ্টি নামে। আর কালকেই বৃষ্টি নেমেছে। আসলেই বৃষ্টি আসার পর সবাই ভীষণ খুশি হয়েছে। তবে আপনাদের দিকে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে সমস্যা হওয়ার কারণে টানা ১.৫ দিন কারেন্ট ছিলো না,এটা জেনে খারাপ লাগলো। যাইহোক সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
স্বস্তির বৃষ্টি তবে বেশ অনেক জায়গাতেই হয়েছে।আমাদের ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে তবে খুব সামান্য। কিন্তু তাতে ও শহরটাকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়ে গেছে।আপু আপনার মতো আমিও ছেলের জন্য বৃষ্টিতে ভিজিনি।আমি গেলে ছেলেও সেই রাত ১ টার সময় পিছু নিতো।তাই যাইনি।তবে আপনাদের ওখানে দেড় দিন বিদ্যুৎ ছিল না।বৃষ্টি হয়েছে তাই হয়তো গরম তেমন অনুভব করেননি। অনুভুতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য। ।
আপনাদের ওখানে পরপর দু'দিন বৃষ্টি হয়েছে আপু, আর আমাদের এদিকে এখনো বৃষ্টির নাম গন্ধ নেই। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টি কিংবা বাতাসের ফলে বৈদ্যুতিক লাইনের ক্ষতি হলে, সেটা আবার বেশ ভোগান্তির ব্যাপার। তবে আপু, আপনি বৃষ্টিতে না ভিজে ভালোই করেছেন। এই বৃষ্টিতে ভিজলে আপনার শরীর খারাপ হতো।