অহংকার।

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago (edited)

pexels-gabriel-groza-20850857.jpg

image source

"অহংকার পতনের মূল" এই বাক্যটি শুনেননি এমন কাউকে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। সত্যিকার অর্থে এইটার অনেক বড় একটা অর্থ রয়েছে। সেটাকে ঘিরেই আমার সব লেখা লেখি আজ।

শুরুতেই বলে নিচ্ছি আমরা মানুষ জাতির সব থেকে কমন একটা সমস্যা হচ্ছে অন্যের উপর হিংসা করা। যদিও আমি আজকে অহংকার নিয়ে কথা বলবো তবে আমার মনে হয় হিংসা এবং অহংকার কারীদের মধ্যে তাদের মনের তেমন বেশি একটা তারতম্য থাকে না। ২ জনই নিচু মনের মানুষ হয়। তাদের বেশিরভাগই স্বার্থপর হয়। যদিও কম বেশি সবাই আমরা নিজের স্বার্থের জন্যই ঘুরি তবে যতটা নিজ স্বার্থকে বিসর্জন দেয়া যায় ঠিক ততটাই উদার মনের মানুষ হতে পারবো আমরা।

আজকাল নিজ স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে অন্যের উপকার করা মানুষের বড়ই অভাব। খুব কম সংখক মানুষ রয়েছে যারা কিনা নির্সার্থ ভাবে অন্যের কাজ করে থাকে। তাদেরকে যদি সমাজের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলি সেটা কি কোনো দিক থেকে ভুল হবে ? তারা হচ্ছে উদার মনের মানুষ। এই উদার মনের মানুষদের মধ্যে আমাদের দাদা একজন যিনি কিনা সত্যিই নিঃস্বার্থ ভাবে আমাদের উপকার করে যাচ্ছেন। উনিই হচ্ছেন সমাজের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা আসলেই অনেক ভাগ্যবান কেননা আমাদের সাহায্যের জন্য দাদার মতো এমন উদার মনের মানুষকে পেয়েছি।

দাদার এতো এতো কিছু থাকে সত্ত্বেও উনার মনে বিন্দু মাত্রও কোনো অহংকার নেই। উনি সকলকে সমান চোখে দেখেন। এর থেকে মহৎ গুন্ আর কি হতে পারে। এই যুগের এই সমাজে এমন উদার মনের মানুষ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব প্রায়। একমাত্র সৎ জ্ঞান এর অধিকারী লোকেরাই এতো মহৎ গুনের অধিকারী হতে পারবেন।

দাদার এতো এতো কিছু থাকে সত্ত্বেও উনার মনে বিন্দু মাত্রও কোনো অহংকার নেই। উনি সকলকে সমান চোখে দেখলেন। এর থেকে মহৎ গুন্ আর কি হতে পারে। এই যুগের এই সমাজে এমন উদার মনের মানুষ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব প্রায়। একমাত্র সৎ জ্ঞান এর অধিকারী লোকেরাই এতো মহৎ গুনের অধিকারী হতে পারবেন। আসলে এখনকার সময়ে পড়া ৯০ শতাংশ মানুষ শিক্ষার আলোয় আলোকিত হলেও মূল যে শিক্ষা সেটা খুব কম মানুষ শিখতে পারে। আর যারা শিক্ষার মূল বিষয় বুঝতে পারে সেই হয় প্রকৃত শিক্ষিত ।

সব শেষে মূল কথা হচ্ছে আমাদের সকলকে এইসব কিছুকে উপেক্ষা করে একত্রে বসবাস করা শিখতে হবে। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে আমাদের মধ্যে যাতে কোনো বৈষম্য তৈরী না হয়। আমরা যাতে সকলে একত্রে শান্তিতে বসবাস করতে পারি। এটাই তো সুখ। আমরা সকলেই চেষ্টা করবো যাতে আমরা সকল অহংকার , হিংসাকে ভুলে সকলে মিলে মিশে থাকতে পারি।

1.png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

_

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 months ago 

আসলে হিংসা বিদ্বেষ মানুষকে কখনো বড় করেনা। সমাজ এবং পরিবারের কাছে নিজেকে ছোট করে । কোন না কোন সময় নিজেকে দূরে ঠেলে দেয় । সেজন্যই হিংসা বিদ্বেষ অহংকার এগুলো কখনোই করা ঠিক নয় । যেটা নিজেকে ধ্বংস করে দেয় । মানুষ হিসেবে যে দায়িত্ববোধ গুলো আছে সেগুলো যথাযথভাবে পালন করা সবারই উচিত । আমাদের অনেকের মধ্যেই এই অহংকার হিংসা কাজ করে যেগুলো কোন ভাবে কাম্য নয়। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।

Posted using SteemPro Mobile

 2 months ago 

সত্যি ই আপু আজকাল উদার মনের এমন মানুষ পাওয়া ভীষণ মুশকিল।কিন্তু এটা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না অহংকার করলে পতন একদিন হবেই।তাই অহংকার না করে আমরা যদি অন্যের উপকার করি।তবে এতেই সুখ নিহিত।ভেদাভেদ, বৈষম্য ভুলে গিয়ে আমাদের একসাথে সকলের সাথে বসবাস করতে হবে।আর এর মধ্যে ই সুখ।

 2 months ago 

হিংসা এমন একটা জিনিস যেটা অন‍্যদের চেয়ে নিজের বেশি ক্ষতি করে থাকে। হিংসা মানুষ কে ক্রমেই নিচে নামাতে থাকে। অহংকার এমন একটা জিনিস যেটা মানুষের মধ্যে আসা স্বাভাবিক। এই অহংকার দমন করা মানুষের পক্ষে খুবই কঠিন খুব কম সংখ‍্যক মানুষই নিজের চরিত্র থেকে অহংকার টা দমন করতে পারে। আর তেমনই একজন মানুষ আমাদের দাদা। বেশ দারুণ লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।।

Posted using SteemPro Mobile

 2 months ago 

আসলে বেশিরভাগ মানুষই অহংকার করে নিজেদের প্রতি। নিজেদের থাকা বিভিন্ন জিনিসের জন্য অনেক বেশি অহংকার করে। যেটা করা একেবারেই উচিত হয় না। কারণ যারা বেশি অহংকার করে তাদের পতন হয় খুব তাড়াতাড়ি। অহংকার একটা মানুষকে নিম্নস্থলে নিয়ে যায়। কিন্তু যে মানুষগুলো স্বার্থ ছাড়াই মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়, তারাই হচ্ছে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত। শিক্ষা অর্জন করলেই মানুষ শিক্ষিত হয় না। বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে প্রকৃত শিক্ষার অভাব রয়েছে। দাদার মতো এমন একজন মানুষকে পেয়ে আমরা আসলেই ভাগ্যবান। উনার ভিতরে নেই কোন অহংকার নেই কোন হিংসা। আমরা সব সময় দাদার সাথেই থাকতে চাই।

 2 months ago 

আমাদের কারোরই উচিত না কোন কিছু নিয়ে বেশি অহংকার করা। কারণ আমরা যেটা নিয়ে আজকে অহংকার করতেছি, এটা কিছুক্ষণ পর অথবা কালকে নাও থাকতে পারে। সেটার পতন ঘটতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগবে না। বেশি অহংকার যাদের মধ্যে রয়েছে, তারা জীবনে বেশি দূরে এগিয়ে যেতে পারে না। কারণ মাঝখানেই তাদের পতন হয়। দাদার মতো এরকম মানুষ আমি তো মনে করি প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে থাকা উচিত। আর এরকম ভালো মন সবারই থাকা উচিত। আমরা সবাই দাদা কে পেয়ে সত্যি অনেক বেশি আনন্দিত। আর নিজেদেরকে অনেক ভাগ্যবান বলে মনে করি। দাদার এতো কিছু আছে তবুও তিনি অহংকার করেন না কখনো। এটাই তো সবার মধ্যে থাকা দরকার।

 2 months ago 

অহংকার পতনের মূল এবং এটা অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে আমাদেরকে। এখনকার দিনের বেশিরভাগ মানুষের অর্থ সম্পদ থাকলেই অহংকার করে। আর সেইসব মানুষ গুলো প্রচন্ড স্বার্থপর। তাদের অর্থ সম্পদ থাকার পরেও সমাজের কোনো মানুষ উপকৃত হয় না। কিন্তু আমাদের দাদার মনে একেবারেই অহংকার নেই এবং উনি সত্যিই পরোপকারী। এটা ঠিক যে এখন সুশিক্ষিত মানুষের বড়ই অভাব। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

আমাদের দাদা সত্যিই নিঃস্বার্থভাবে সবার জন্য কাজ করে। তার এত কিছু থাকার পরেও মানুষকে সমান চোখে দেখে এবং সমানভাবে ভালোবাসে। আসলে আমাদের সকলেরই এরকম শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া উচিত, যাতে করে আমরা অহংকার ভুলে গিয়ে সবাইকে সমান ভাবে ভালবাসতে পারি এবং সবার পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারি।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.12
JST 0.028
BTC 61888.55
ETH 3400.93
USDT 1.00
SBD 2.50