হাসির গল্প "চলিতেছে টানাটানি" এর দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
হ্যালো বন্ধুরা ?
আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,প্রচন্ড গরমের মাঝে আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি। গত দুই দিন আগে আমি আপনাদের মাঝে হাসির গল্প চলিতেছে টানাটানি এর প্রথম পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছিলাম।গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছিল।যার দরুন আজ আমি আপনাদের মাঝে আবারও সেই গল্পটির দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি।আশাকরি,গল্পটির এই পর্বও আপনাদের ভালো লাগবে।
আজ সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বের হবার সময় এক বন্ধুর সাথে দেখা হল।তার সাথে বিভিন্ন বিষয় কথার এক পর্যায়ে সে আমাকে বলল,এখন আয়-রোজগার এত কমেছে আর জিনিসপত্রের দাম এত বেড়েছে যে,যারাই বাজার করার জন্য বাজারে ঢুকছে, তারা স্থির থাকতে পারছে না।বাজারে ঢুকলেই টাকা ফুরিয়ে যাচ্ছে,তাই বাজার বাজার থেকেও দ্রুত বের হয়ে যাচ্ছে।
আর এই অস্থিরতা বেচাবিক্রির জন্য ক্ষতিকর বিধায় আমার পরিচিত এক দোকানদার টানাটানির ব্যবস্থা রেখেছে।কি ধরনের টানাটানি জানিস? দোকানে কাস্টমার ঢুকলে যাতে দাম শুনে বের হওয়ার জন্য দৌড় মারতে না পারে বা অন্য দোকানে চলে যাওয়ার জন্য অপচেষ্টা চালাতে না পারে,তাই পালোয়ান টাইপের একটা লোক নিয়োগ দিয়েছে।
এমন সময় আমাদের সাথে থাকা আমার এক প্রতিবেশী বললেন,বিষয়টাকে টানাটানি বলব না সংকট বলব তা ঠিক বুঝতে পারছি না। তবে যাই বলি না কেন,এটাই সত্য যে আমি ভালো নেই।এই অবস্থা থেকে আমাকে কাটিয়ে উঠতেই হবে।না হলে দম বন্ধ হয়ে মারা যেতে হবে। আরে বাপুরে একটা বাসার ভিতরে এত লোক,আর এভাবে থাকা যায় নাকি!
আমি প্রতিবেশীর কথা শুনে বললাম, কি হয়েছে ভাই, একটু খুলে বলেন।খুলে না বললে তো আর বুঝতে পারছি না।প্রতিবেশী বললেন, আমার শশুরের নাকি হঠাৎ মনে হয়েছে আত্নীয়তার সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত হওয়া উচিত। এ জন্য সে করেছে কি,ছেলে, ছেলের বউ,নাতি-পুতি নিয়ে বেড়িয়ে পরেছে। আর আত্নীয়স্বজনের বাসায় যাচ্ছে,থাকছে, খাচ্ছেদাচ্ছে,ঘুমাচ্ছে।আমি বললাম, আরে এটা কোন ব্যাপার না।দুয়েক দিন হয়তো থাকবে,তারপর অন্য কোন আত্নীয়র বাসায় চলে যাবে।
প্রতিবেশীর বললেন, নারে ভাই, ঘটনা এমন নয়।দলেবলে আমার বাসায় এসেছে প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেছে। আরও কয় সপ্তাহ থাকে তার ঠিক নেই। আমি বললাম আপনার বাড়িতে এত দিন থাকার কারণ কি?আত্নীয়-স্বজন তো আপনার আরও আছে। তাদের বাড়িতে ও যাক।প্রতিবেশী বললেন, উনি নাকি দেখেছেন আমার মধ্যে একটা অস্থিরতা আছে। এ জন্য আমার বাড়িতে বেশি সময় দিতে চাচ্ছেন।আমি প্রতিবেশীর কথা শুনে বললাম, আপনার মধ্যে অস্থিরতাটা কিসের? কেন? প্রতিবেশী বললেন, এক একটা ডিমের দাম,সবজির, দাম,মাছের দাম কত খোঁজ নিয়েছেন?আমি খোঁজ নিয়েছি।তাহলে আমার মধ্যে অস্থিরতা থাকবে না তো বিল গেটসের মধ্যে অস্থিরতা থাকবে?
আজ এ পযর্ন্তই।অন্য দিন অন্য কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে আবারও হাজির হবো। ভালো থাকবেন।সুস্থ থাকবেন।আর গল্পটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, এতে করে অস্থিরতা কাজ করাটা অস্বাভাবিক কোনো ব্যাপার না। আর এই সময়ে যদি বাসা ভর্তি মেহমান থাকে, তাহলে তো মুশকিল ই বটে। আগের পর্ব পড়ে বেশ হেসেছিলাম। এই পর্বটি পড়েও ভালো লাগলো। যাইহোক গল্পটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
চলিতেছে টানাটানি, গল্পের দ্বিতীয় ও শেষ পর্বটি আমার ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। এই গল্পের প্রথম পর্বটি ও বেশ মজার ছিল। তবে বর্তমান সময়ের দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেশি আর এই সময় বাড়িতে আত্মীয় আসলেও প্রচুর খরচ হয়। আর এসে যদি সাত আট দিন করে থাকে তাহলে তো খরচের কোন হিসেবে থাকে না। ধন্যবাদ ভাই গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।