হাসির গল্প "সব কথা ফেসবুকে" এর দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব।।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।


হ্যালো বন্ধুরা ?


আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,প্রচন্ড গরমের মাঝে আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি। গত দুই দিন আগে আমি আপনাদের মাঝে হাসির গল্প সব কথা ফেসবুকে এর প্রথম পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছিলাম।গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছিল।যার দরুন আজ আমি আবারও সেই গল্পটির দ্বিতীয় ও শেষ পর্বটি নিয়ে হাজির হয়েছি।আশাকরি,গল্পটির এই পর্বও আপনাদের ভালো লাগবে।



প্রথম পর্ব


1000010679.png

Source


আজ বিকেলবেলা আমার শৈশবের এক বন্ধুর সাথে দেখা হল।অনেকদিন পরে তার সাথে দেখা তাই অনেক বিষয়ে তার সাথে কথা হল।কথার এক পর্যায়ে বন্ধু আমাকে বলল,এই যে বর্তমান সময়ে মানুষ কিছু একটা হলেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়,এটা কি ঠিক,বলতো? আমি আমার বন্ধুর কথার প্রতি উত্তরে বললাম,হয়তো ঠিক না।কেন,তুই কি কথায় কথায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিস না? আমার কথা শুনে বন্ধু বলল, জি না বন্ধু। তবে আমি ভিডিও দিই।

এমন সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন আমার এক প্রতিবেশী।তিনি আমার বন্ধুর কথা শেষ হতেই বললেন,ছেলেটাকে নিয়ে আর পারি না ভাই। সারা দিন শুধু ফেসবুক আর ফেসবুক। দিন দশ-বারোটা করে স্ট্যাটাস দেয়।আর বাসায় এসে মেজাজ দেখায় আমাদের সঙ্গে।

গতকালও দামি একটা শোপিস ভেঙে ফেলল।আমি অবাক হয়ে প্রতিবেশীর কথা শুনে বললাম,এটা কেমন কথা!ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার সঙ্গে ভাঙচুরের কি সম্পর্ক?আপনার কথার তো আগামাথা কিছুই বুঝতে পারলাম না।একটু খুলে বলুন তো ভাই।প্রতিবেশী আমার কথার প্রতিউত্তরে বললেন,আছে ভাই,গভীর সম্পর্ক।

আসলে ঘন ঘন স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে তার কোন স্ট্যাটাসেই তেমন একটা লাইক পড়ে না।তবে যদি টেনেটুনে পঞ্চাশটার মতো কাছাকাছি লাইক পড়ে যায় তাহলে তার মেজাজ ভালো থাকে।আর যদি দশটার কম লাইক পড়ে তাহলেই মেজাজ চড়ে যায়।আর এর কম পড়লে তো সরাসরি চলে যায় ভাঙচুরে।আর যদি একশত এর বেশি লাইক পড়ে যায় তাহলে আমাদের জন্য অনলাইনে বিরিয়ানি অর্ডার করে।

আমি প্রতিবেশী কাছ থেকে এত বড় লম্বা কাহিনি শুনে একটু মুচকি হাসি দিয়ে বললাম,বর্তমানে যে গরম পরেছে এবং আপনার যে বয়স হয়েছে তাহলে তো একশত এর বেশি লাইক পড়া আরও বেশি বিপজ্জনকই বলা চলে।কারন আপনার এ বয়সে বিরিয়ানি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে আরও ক্ষতিকর।

আমার পরিচিতি


9550.jpg


আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।



VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



আল্লাহ হাফেজ


Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 

সব কথা ফেসবুকে এই নিয়ে ভালোই লিখলেন।আসলে এখনকার সময়ে অনেকেই ফেসবুকে সবকিছু শেয়ার করে।কি যে একটা অবস্থা। আমার তো রীতিমতো রাগ ই লাগে।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সত্যি ঘটনা গল্প আকারে তুলে ধরার জন্য।

 2 years ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, গল্পটি পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।

 2 years ago 

ভাইয়া আপনি রম্য গল্প গুলো খুব সুন্দর লেখেন। পড়ে বেশ হাসি পায়। আসলে বর্তমান সমাজে কিছু মানুষের অবস্থা ঠিক এরকমই। উঠতে বসতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। আর লাইক কমেন্ট গুনতে থাকে। আপনার প্রতিবেশী ছেলের ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটি হয়েছে মনে হয়। এত বেশি পোস্ট করলে মানুষ কয়টাতে লাইক দিবে। যাই হোক খুব হাসলাম আপনার গল্পটি পড়ে। ভালো লাগলো।

 2 years ago 

গল্পটি পড়ে এত চমৎকার মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.33
JST 0.034
BTC 111286.81
ETH 4298.69
SBD 0.83