হাসির গল্প "সর্বত্র সেলফি" এর দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
রোজ-বৃহস্পতিবার।৫ ই,মাঘ।১৪২৯,বঙ্গাব্দ।শীতকাল ।।
হ্যালো বন্ধুরা ?
আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি।কয়েকদিন আগে আমি আপনাদের মাঝে হাসির গল্প সর্বত্র সেলফি এর প্রথম পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছিলাম।গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছিল।যার দরুন আজ আমি আবারও সেই গল্পটির দ্বিতীয় ও শেষ পর্বটি নিয়ে হাজির হয়েছি।আশাকরি,গল্পটির এই পর্বও আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার এক প্রতিবেশী আমাকে বললেন,ঢাকা শহরে বসবাস করে আসলে ফেলফি তোলাটা অনেক কঠিন। সেলফির জন্য শহরের তুলনায় গ্রামই ভালো। কোন ঝুঁকি থাকে না।যত খুশি ততই সেলফি তোলা যায়। আমি প্রতিবেশীর কথার প্রতি উত্তরে বললাম, আমার জানা মতে,অধিক সংখ্যক সেলফি তো গ্রামের তুলনায় শহরের মানুষই তোলে।আর শহরেই তোলে।
আমি প্রতিবেশীকে পুনরায় বললাম,আপনার কেন মনে হচ্ছে শহরে সেলফি তোলাটা অনেক কঠিন কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ? আমার কথা শুনে প্রতিবেশী বললেন, অকারণে মনে হয় নাই রে ভাই, মনে হওয়ার পেছনে যথেষ্ট কারণ আছে।এই যে এত এত তার,কারেন্টর তার, টেলিফোনের তার,ইন্টারনেটের তার,এতসব তার কি গ্রামে আছে? সেলফি তুলতে হলে তো হাত উঁচু করতে হয়, নাকি?
প্রতিবেশী আমাকে আরো বললেন,আপনি জানেন,একটু আগে সেফটি তুলতে গিয়ে আমি কারেন্ট শক খেয়েছি? না,এই তারতুরের শহর আর ভালো লাগে না।মনে মনে চিন্তা করেছি গ্রামেই চলে যাব।আর নিরাপদে যত খুশি সেলফি তুলব।
এমন সময় প্রতিবেশীর সাথে কথা বলে আসার সময় আমার এক বড় ভাইয়ের সাথে অনেকদিন পরে হল।আমার বড় ভাইয়ের সাথে কম বয়সী একটা ছেলেকে দেখে ছেলেটার পরিচয় জিজ্ঞেস করলাম। বড় ভাই আমার কথার প্রতি উত্তরে বলল,সে আমার সহযোগী। আমি বড় ভাইয়ের কাছে জানতে চাইলাম,তিনি এমন কি বড় কাজ করেন বা বড় পদের কাজ করেন,যেটার জন্য সহযোগী দরকার হয়।
আমার বড় ভাই আমার কথার প্রতি উত্তরে বললেন,আসলে হয়েছে কি, গত কিছু দিনে যত সেলফি তুলেছি,সেগুলোর একটারও লুকিং ঠিক ছিল না।উল্টাপাল্টা লুক দিয়ে ফেলি আর আজেবাজে সেলফি ওঠে।যা ফেসবুকে দেওয়া সম্ভব হয় না।আর এটা আমার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। এ জন্য এই সহযোগী নিয়োগ দিলাম।সে তাৎক্ষণিকভাবে দেখিয়ে দেয় লুকটা কেমন হবে,কোথায় হবে।ব্যস,এখন আর একটা সেলফিও নষ্ট হচ্ছে না।আমি এখন বেঁচে যাচ্ছি অপূরণীয় ক্ষতির হাত থেকে।
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
সত্যি ভাইয়া আপনার গল্পটা পড়ে আসলে অনেক হাসি পেয়েছে।লোকটা ঠিক বলেছে ভাইয়া শহরের কারেন্টের সট খাওয়ার চেয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ফিরে ছবি তুলা অনেক ভালো। আর একজন সহযোগী থাকলে হয়তো ছবি গুলো আর নষ্ট হবে না, তাই তার সহযোগী দরকার।