হাসির গল্প "মাস শেষের টানাটানি" দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
রোজ-মঙ্গলবার।১৭ ই,মাঘ।১৪২৯,বঙ্গাব্দ।শীতকাল ।।
হ্যালো বন্ধুরা ?
আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি। গতকাল আমি আপনাদের মাঝে হাসির গল্প মাস শেষের টানাটানি এর প্রথম পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছিলাম।গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছিল।যার দরুন আজ আমি আবারও সেই গল্পটির দ্বিতীয় ও শেষ পর্বটি নিয়ে হাজির হয়েছি।আশাকরি,গল্পটির এই পর্বও আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার এক বড়ভাই বললেন, ছোটবেলা থেকে যদি বুদ্ধি করে চলা যায়, তাহলে বড়বেলায় আর কোন সমস্যা হয় না।আমি ছোট থেকে বুদ্ধি করে চলেছিলাম, তাই আজকে আমার কোন সমস্যা হচ্ছে না।মাসের শেষ সপ্তাহে ও একই রকম থাকতে পারছি।আমি তার কথা শুনে তাকে বললাম, আপনার কথা একবার মনে হয় বুঝতে পারছি। আবার মনে হয় বুঝতে পারছি না। একটু যদি ভালো ভাবে বুঝিয়ে বলতেন।
আমার কথার প্রতি উত্তরে আমার বড় ভাই বললেন, না,মানে ছোটবেলা থেকেই আমি বন্ধু বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। এইজন্য আমার অনেক বন্ধু -বান্ধব। আর প্রচুর বন্ধু -বান্ধব থাকার কারনে যেটা হয়েছে, এখন মাসের শেষের দিনগুলোতে ধার -দেনা করতে আমার কোন সমস্যা হয় না।
এই মাসে অমুকের কাছ থেকে ধার করি তো ওই মাসে ধার করি তমুকের কাছ থেকে।ব্যস,এভাবেই চলে যাচ্ছে। ভাবছি নতুন করে আরও বন্ধু-বান্ধব বাড়াবো।কারন মাঝে মধ্যে একটু বেশি টাকারও দরকার পড়ে। জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে গেছে তো!
এমন সময় আমার এক বন্ধু বলল,আগে বিভিন্নজন তাদের ভিজিটিং কার্ড দিলে বাসায় এনে ফেলে দিতাম।কিন্তু এখন আর সেটা করি না। কারণ,দুনিয়ায় সব জিনিসেরই যেমন কম বেশি প্রয়োজনীয়তা আছে, তেমনি ভিজিটিং কার্ডেরও প্রয়োজনীয়তা আছে। ১০-১২ টা ভিজিটিং কার্ড থাকলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। আমি অবাক হয়ে আমার বন্ধুকে বললাম, তুই বললি বিভিন্নজনের ভিজিটিং কার্ডের কথা।তার মানে কার্ডগুলো তোর না। অন্য মানুষের। তো অন্য মানুষের ভিজিটিং কার্ড দিয়ে তুই কি উপকার পাস?
আমার কথার প্রতি উত্তরে আমার বন্ধু বলল, তুই তো ভালো করে জানিস,মাসের শেষ সপ্তাহ আসতে না আসতেই মানিব্যাগের স্বাস্থ্য এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে,তাকানোর উপায় থাকে না। অথ্যাৎ কারো সামনে এই জিনিস বের করার উপায় থাকে না।কিন্তু ১০-১২ টা ভিজিটিং কার্ড যদি থাকে, তাহলে হয় কি, মানিব্যাগের খারাপ স্বাস্থ্যটা আর সেভাবে চোখে পড়ে না।ঠিক বললাম কি না?
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
হাহাহা,মজা লাগলো বেশ। আপনি এত সুন্দর করে লিখেছেন যে পড়েই ভালো লাগছে। গত পর্বের গল্পগুলো পড়েছিলাম, সেগুলো বেশ দারুন ছিল। তবে আজকের গল্পগুলো পড়ে আরো বেশি মজা লাগছে। আর পর্ব এখানে শেষ করে দিলেন, তবে আশা রাখছি মজার গল্প গুলো নিয়ে আবারও আমাদের মাঝে ব্লগ নিয়ে আসবেন।
আপনার এই পর্বটি ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপনার বড় ভাইয়ের বুদ্ধি টা কিন্তু বেশ। ছোটবেলা থেকে বন্ধু বেশি বানাতো আর এখনও বানাবে ধার দেনা করে চলতে পারবে। তবে এই টাকা ফেরত দিতে ঝামেলা হয় না?? 😂 আর এটা খুব ভালোই করে সবার ভিজিটিং কার্ড মানিব্যাগে জমা রেখে মানিব্যাগের স্বাস্থ্যটা ভাল রাখে।😃 ধন্যবাদ মজার গল্পটি শেয়ার করার জন্য।
আপু পরিশোধ করা তো ঝামেলাই বটে।তবে চলতে হবে তো!আর আমাদের সমাজের মধ্যবৃত্ত পরিবারের এটা কমন চিত্র।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,গল্পটি পড়ে এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
আপনার গল্পের প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম আজকের দ্বিতীয় পর্বটিও করলাম। সত্যি আপনার বড় ভাইয়ের বুদ্ধি আছে। তার অনেক বন্ধু আছে একজন থেকে ধার নিয়ে অন্যজনকে দে। আসলে মাসের শেষের দিকে সবারই একটু টানা টানি থাকে বিশেষ করে মধ্য ফ্যামিলির লোকগুলো। তবে আপনার গল্পটি পড়ে অনেক হাসি আসলো এবং মজাই ফালাম। অনেক সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনার গল্পটি পড়ে ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। আসলে আমাদের সমাজে বর্তমানে বেশি সমস্যায় আছে মধ্যবৃত্ত পরিবারের লোক।তাদের প্রায় সময়ই ধার -দেনা করে চলতে হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,গল্পটি পড়ে এত চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
আমি বসে বসে ভাবছি। আপনার বড় ভাই কি রাত্রে বালিশ নিয়ে ঘুমায় না বালিশ ছাড়া ঘুমায়। এত বুদ্ধি পায় কোথা থেকে? বন্ধু বানিয়ে টাকা ধার নেওয়া।এত টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে? হাসাতে হাসাতে তো পেটের ভাত হজম করে দিলেন।
পরিশোধ তো পরের বিষয় আপু।আগে টাকা ধার নিয়ে ভাইকে একটু ভালো করে চলতে দেন।হা হা হা।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, গল্পটি পড়ে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।