হাসির গল্প "হঠাৎ বৃষ্টি " এর দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
হ্যালো বন্ধুরা ?
আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,প্রচন্ড গরমের মাঝে আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি। গত দুই দিন আগে আমি আপনাদের মাঝে হাসির গল্প হঠাৎ বৃষ্টি এর প্রথম পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছিলাম।গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছিল।যার দরুন আজ আমি আবারও সেই গল্পটির দ্বিতীয় ও শেষ পর্বটি নিয়ে হাজির হয়েছি।আশাকরি,গল্পটির এই পর্বও আপনাদের ভালো লাগবে।
আজ অনেকদিন পরে এক বন্ধুর সাথে দেখা হল।তার সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথার সময় একপর্যায়ে সে আমাকে বলল,হঠাৎ বৃষ্টির এ বিশেষ সিজনে সবার উচিত কোথাও যাওয়ার জন্য অবশ্যই হাতে সময় নিয়ে বের হওয়া।কারন,খোঁজাখুঁজির পেছনে প্রচুর সময় ব্যয় করতে হতে পারে।
আমি বন্ধুর কথা শুনে বললাম,একদম ঠিক বলেছো বন্ধু।বৃষ্টির সময় রিকশা পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে যায়।এর জন্য অনেক সময় অনেক খোঁজাখুঁজি করতে হয়।আমার কথা শুনে আমার বন্ধু বলল,আরে বোকা,আমি রিকশা খোঁজাখুঁজির কথা বলিনি।আমি বলেছি আরেকটা জরুরি জিনিস খোঁজার কথা।
আমি বন্ধুর কথা শুনে আবার জিজ্ঞেস করলাম,এমন কি জরুরি জিনিস আছে যা খুবই জিনিস এবং সেটার নাম জিজ্ঞেস করলাম।বন্ধু আমাকে সাথে সাথে বলল,জিনিসটা হচ্ছে জুতার তলা।বৃষ্টির পানিতে হাঁটার সময় যদি জুতার তলা খুলে যায় আর স্রোতের তোড়ে ভেসে যায় তাহলে খুঁজে পেতে একটু সময় লাগে বৈকি।
এমন সময় আমাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন এক প্রতিবেশী এবং তিনি আমার বন্ধুর কথা শেষ হতেই বললেন,হঠাৎ বৃষ্টি তো আমাকে একেবারে স্মার্ট বানিয়ে দিল।আমি প্রতিবেশীর কথা শুনে অবাক হয়ে বললাম,হঠাৎ বৃষ্টি আবার মানুষকে স্মার্ট কীভাবে বানায়? প্রতিবেশী আমার কথার প্রতি উত্তরে বললেন,দেখুন, লুঙ্গির পরিবর্তে কেউ যদি থ্রি কোয়ার্টার বা হাফপ্যান্ট পরে তাকে কিন্তু অনেকেই স্মার্ট মনে করে বা ধরা হয়।আমি প্রতিবেশীর কথার সাথে সহমত পোষণ করে বললাম,সেটা ঠিক আছে । কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টির সাথে থ্রি কোয়ার্টার বা হাফপ্যান্টের সাথে সম্পর্ক কি?
প্রতিবেশী আমার কথার প্রতি উত্তরে বললেন,সম্পর্ক আছে রে ভাই।আমি সাধারণত লুঙ্গি শুকাতে দিই বারান্দার রশিতে।।কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি এসে প্রায়ই আমার শুকনো লুঙ্গি ভিজিয়ে দিচ্ছে। তখন বাধ্য হয়ে আমাকে প্রায়ই আমার ছেলের কোয়ার্টার প্যান্ট পরে থাকতে হচ্ছে।এ অবস্থায় যদি বিল্ডিংয়ের লোকজনের সামনে পড়ি তারা আমাকে স্মার্ট ভাববে না তো খেত ভাববে?
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
অত্যন্ত হাসির একটি গল্প আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এ হাসির গল্পের শেষ পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে আপনার গল্পের প্রতিটি লাইনে এবং প্রতিটি বেড়ায় চমৎকার হাস্যরস বিদ্যমান। আর এ ধরনের গল্প পড়লে মনটা এমনিতেই বেশ আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। অনেক সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনার হাসির গল্পগুলো পড়ে খুব আনন্দ অনুভব করি।আর প্রতিবারই ভাবি এতো তাড়াতাড়ি কেন শেষ হলো?? হাসির গল্প অনেক বড় করে লিখবেন,যাতে করে হাসির আমেজ অনেক সময় ধরে রাখতে পারি।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
মাঝে মধ্যে আপনার হাসির গল্প গুলো আমার পড়া হয়। বেশ ভালোই লাগে ভাই। তবে আমার কাছে মনে হয় একেবারে ছোট হয়ে যায়। কারণ আরো বেশি বড় হলে, আমরা আরো বেশি আনন্দ পেতাম। যাইহোক লুঙ্গি ভেজা বলে ছেলের কোয়ার্টার প্যান্ট পরেছে, হাহাহা। ভালো লাগলো হাসির গল্পটি পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।