Better Life With Steem || The Diary game || 14/09/2024

in Incredible Indialast year
1000148977.jpg

প্রিয় বন্ধুরা,আমার পোস্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম, আশা করি সকলে আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে খুবই ভালো আছি। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে আমার আজকে ডাইরি গেম নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন এবার শুরু করি আজকে ডাইরি গেমের কার্যক্রম গুলো।।


ভাইয়া এই দুদিন ধরে বাসায় নাই তাদের বাড়িতে গেছে, তাই মাথায় প্যারা নিয়ে আর রাতের বেলা ঘুমাতে হয় না। ফজরে চোখের ঘুম ভাঙলে মেয়েকে মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য উঠিয়ে দি আর নিজে নামাজ পড়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ি। ফজর নামাজ পড়ে ঘুমায় সেই ঘুম থেকে হয়তো সাড়ে আটটা নয়টার সময় উঠি, উঠে নিজের ইচ্ছামত নাস্তা বানাই।

1000148947.jpg

যাই হোক আজকেও প্রতিদিনের মতো ব্যতিক্রম নয়, নয়টার সময় ঘুম থেকে উঠে সকালের নাস্তা বানানোর কাজে লেগে পড়ি। আজকে সকালে নাস্তা বানালাম রুটি আর ডিম ভাজি। সকালের নাস্তা জটপট করে বানিয়ে আগে মেয়ের জন্য বক্সে ভরে রাখি। মেয়ের কাছে যাব দরজা খুলবো এর মাঝে ছেলে উঠে যায়। এরপর ছেলেকে হাতে একটা খাবার দিয়ে এবং ফোন দিয়ে কাটুন বের করে রেখে আমি মেয়ের মাদ্রাসায় গেলাম। এদিকে ওর বাবা ঘুমাচ্ছে।

মাদ্রাসা তেমন একটা দূরে না আমাদের বাসার নিচেই মাদ্রাসা। তাই দুই মিনিটের ভিতরে মেয়ের খাবার দিয়ে আসি। এসে দেখি ছেলে আমাকে না পেয়ে ছেলে অনেক কান্নায় করছে এদিকে ওর বাবা ওর কান্না শুনতে পায় না সে ঘুমাচ্ছে। যাইহোক ছেলেকে সান্তনা দিয়ে তারপর মা ছেলে সকালে নাস্তা করে নিলাম। কিছুক্ষণ বাদে সাহেব উঠে যায় সে উঠে তার কম্পিউটারের কাছে বসলো তার কাজ নিয়ে। মোটামুটি তার কাজ করা শেষ হলে তারপর হাতমুখ ধুয়ে আসে এবং গোসলও করে আসে তারপর সকালে নাস্তা খায়।

1000148943.jpg
1000148941.jpg

সকালের নাস্তা খেয়ে ১২:৩০ টার দিকে মার্কেটে দিকে রওনা দিল আজকে যেতে লেট করলো কারন তেমন একটা আবহাওয়া ভালো ছিল না খুব বৃষ্টি ছিল। আর হ্যাঁ, সাহেব মার্কেটে যাওয়ার আগে এদিকে আমার দুপুরে রান্না বান্না সবকিছুই হয়ে গেল। সকালে নাস্তা বানিয়ে দুপুরে রান্না বসিয়ে দিয়েছিলাম তাই সাড়ে বারোটার ভিতরে হয়ে গেল। রান্না শেষ করে আমি গোসল করে নিলাম ছেলেকে আজ গোসল করাই নি, শরীরটা গরম গরম লাগছিল তাই গোসল করাইনি মাথায় পানি দিয়ে দিলাম আর হাত মুখ ধুয়ে দিলাম । আর ছেলে পানির কাছে গেলে সহজে আসতে চায় না তার যত খেলনা আছে গুলোকে গোসল করাবে তার সাথে নিজেও করবে। এই কারণে ওর বেশি একটা ঠান্ডা লাগে।

যাক এরপর আমি গোসল করে ছেলেকে ওর খেলনা দিয়ে বসিয়ে রেখে তারপর জোহরের নামাজ পড়ি। নামাজ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে নিয়ে ভাত খাওয়াতে বসি দুইটা চল্লিশ মিনিটে। এরপর খাওয়া শেষ ৩:৩০ মিনিটে একদম বরাবর 50 মিনিট লেগেছে ওকে খাওয়াতে তারপরও পাঁচ লোকমা রয়ে গেল। ওই পাঁচ লোকমা আর খাওয়াইনি বসে থাকতে থাকতে নিজেকে অনেক বিরক্ত লাগছিল তাই।

1000148964.jpg

কোন রকম ভাবে ওকে খাওয়ানো শেষ করে তারপর আমি খেলাম আর মেয়েকে খেতে দিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তিনটা ৪৫ মিনিটে ছেলে মেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়েছি। আমি এবং মেয়ে ঘুমিয়েছে ছেলে আর ঘুমায়নি, অনেক ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করছি ঘুমোইনি। ছেলে না ঘুমালে আমাকেও শান্তি মতন ঘুমাতে দেয় না বারবার ডাকতে থাকে। অবশেষে সেটাই হলো ও ঘুমায়নি আমি ঘুমালাম বারবার কাছে এসে শুধু ডাকতে থাকে আম্মু আম্মু। ছেলের ডাকাডাকি শুনে আমি উঠে যাই এর মাঝে সাহেব এসে যায় তারপর তাকে খেতে দিলাম

1000148971.jpg

এরপর আসরের আজান দিল নামাজ পড়ে ছেলেকে নিয়ে আবার শুয়ে থাকি। এরপর কিছুক্ষণ বাদে মাগরিবের আজান দিল মেয়েকে তার আগে ঘুম থেকে উঠিয়ে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দি তারপর মাগরিবের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে ছেলেকে কেক খাইয়ে দিয়ে তারপর পোস্ট লিখতে শুরু করি। এরপর পোস্টা লেখালেখি শেষ করে এশার নামাজ পড়ে ছেলেকে রাতে খাবার খাইয়ে দিই। যাইহোক এরকম করে গতকালের দিনটা পার করি সবার সুস্থতা কামনা করে এখানেই বিদায় নিচ্ছি(( আল্লাহ হাফেজ))

Thank You So Mrch For Reading My Blog

Sort:  
Loading...
 last year 

সন্তান যখন ঘুম ভেঙে তার মাকে পাশে না পায় তখন কান্না করে, সন্তানের জন্য মা বড় একটা পুরস্কার, আপনার মেয়ের মাদ্রাসার কাছে হতে খাবার দিয়ে আসতে অনেক সুবিধা, সারাদিনের দিকে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আপনার দিনলিপিটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। মেয়ে ও ছেলের যত্ন নেওয়ার বিষয়টি প্রশংসনীয়। ছোটদের সঙ্গে সময় কাটানো এবং তাদের খাওয়ানোর চেষ্টা সবসময় চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু আপনি যেভাবে সবকিছু সামলাচ্ছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আশা করি, আগামী দিনগুলোও এমন সুন্দরভাবে কাটবে।

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.34
JST 0.034
BTC 113860.00
ETH 4415.53
SBD 0.86