একটু স্বস্তির সন্ধানে হাতিরঝিলে
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনার সবাই ভালো আছেন। যদিও বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি খুব একটা বেশি ভালো নয়। যেহেতু একটি ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের দিকে, এছাড়াও এখনো বাংলাদেশের বেশ কিছু জায়গায় প্রচন্ড পরিমাণে গরমের অনুভূতি হচ্ছে। যাইহোক আজ আমি আপনাদের সাথে একটি ছোটখাটো ভ্রমণ বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করব।
বছরখানেক হবে হাতিরঝিল ছেড়েছি। আগে আমি হাতিরঝিলের পাশেই একটি বাসায় ভাড়া নিয়ে থাকতাম। বিকেলে প্রতিনিয়তই হাতিরঝিলে ঠান্ডা বাতাস অনুভব করার জন্য হাঁটতে বের হতাম। কিন্তু এখন আর চাইলেও সেটা সম্ভব না। কারণ বর্তমানে আমি নারায়ণগঞ্জে অবস্থানরত রয়েছি এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা যেতেই প্রায় দেড় দুই ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়। তবে প্রতি শুক্রবার ভার্সিটির জন্য আমাকে ঢাকা যেতেই হয় এবং সেই দিনটা আমি একটু সময় পাই নিজেকে সময় দেওয়ার জন্য। ক্লাস থাকে সাধারণত বিকের পর্যন্ত। পরবর্তীতে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ফ্রি থাকি। যদি শরীর মন ভালো থাকে তাহলে কোথাও গিয়ে একটু বসে থাকি কিংবা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার চেষ্টা করি। যদিও ঢাকা শহরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বলতে শুধুমাত্র হাতিরঝিলেই আছে এটা আমি মনে করি।
গত শুক্রবারও ভার্সিটি গিয়েছিলাম এবং ভার্সিটি যাওয়ার পরে জানতে পারি আমার খালাতো বোন এবং দুলাভাই তারাও ঢাকাতে বেড়াতে এসেছে। তারা হাতির ঝিলের আশেপাশেই রয়েছে। পরবর্তীতে আমার ক্লাস শেষ করে তাদের সাথে দেখা করি এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে হাতিরঝিলের জায়গাটা একটু ভালোভাবে ঘুরে দেখাবো, এরপরে অন্যান্য প্ল্যানিং করবো। গত শুক্রবার ভালোই গরম ছিল। বিকেল বেলা হাতিরঝিলে লোক সংখ্যা একটু বৃদ্ধি পায় কারণ হাতিরঝিলে প্রচন্ড বাতাস বইতে থাকে। তবে সেই দিনের বাতাসে গরমের আভাস দিয়ে যাচ্ছিল। তবে আরেকটি ভালো বিষয় হচ্ছে অন্যান্য জায়গায় যতটুকু তাপমাত্রা অনুভূতি হয় সেখানে আরো কম অনুভূতি হয়। কারণ হাতিরঝিলে প্রচুর গাছপালা রয়েছে, যার কারণে টেম্পারেচার একটু হলেও কম মনে হয়।
হাতিরঝিলে বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পরে এক জায়গায় বসে পরি। পরবর্তীতে বসে বসে অনেক গল্প হয়। একসময় আমি বলে উঠলাম হাতিরঝিলে যে নৌকাগুলো রয়েছে সেই নৌকাগুলোতে উঠলে অনেকটাই ভালো ফিল হবে। যেহেতু বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হচ্ছিল এমন সময় আবহাওয়াটিও আস্তে আস্তে শীতল হচ্ছিল। তাই নৌকায় করে একপাড় থেকে অন্য পাড়ে গেলে সেই অনুভূতিটা দারুন হতে পারে। আমার কথার সাথে তারা সম্মতি দিল এবং আমরাও চোরে উঠলাম সেই নৌকাতে। নৌকায় উঠে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত যেতেও অনেকটা সময় লেগেছিল এবং সেই সময়টা অনেকটা ভালই ফিল হচ্ছিলো।
যখন আমি হাতির ঝিলে অবস্থানরত ছিলাম তখন আমি প্রায় একা একাই ঝিলের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতাম আবারও সেই নৌকাতে করেই আবার আমার ঘুরে ফিরে আসতাম। এতে করে ঘন্টা খানিকের মতো সময় লাগতো। তবে সময়টা অনেকটাই ভালো অনুভব করতাম। মনে হয় সেই বছর খানিক পরে আমি হাতিরঝিলে একটু সময় দিলাম। তারপরও বেশ ভালো একটি সময় অতিবাহিত করেছিলাম। পরবর্তীতে তাদের কাছে বিদায় নিয়ে আমি চলে আসি। কারণ সারাটা দিন ক্লাস করে আমি নিজেও অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। অতঃপর ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ আসতেও প্রায় দুই ঘণ্টার মতো সময় লেগে গিয়েছিল।
অপরিচিত শহরে পরিচিত কাউকে দেখলে মন এমনি ভালো হয়ে যায় তাই খুব বেশি একটা ক্লান্ত অনুভব করি নি। তবে বাসায় আসার পরে বেশ অসুস্থ বোধ করছিলাম। কারণ সেদিন প্রচন্ড গরম ছিল এবং সূর্যের রোদ সরাসরি মাথার মধ্যে পড়েছিল। এতে করে শরীরের অবস্থায় খারাপ হয়ে গিয়েছিল। জ্বর সর্দি সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ একদিনের মধ্যেই সেটা আবার সেরে গিয়েছে। যাইহোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি, আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: একটু স্বস্তির সন্ধানে হাতিরঝিলে
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
তীব্র তাপদ্রাহ এর পরে রেমালের আঘাত হানছে দেশে কিছুটা হয়তো ক্ষতি হবে তবে সারাদেশে কিন্তু এর প্রভাবে ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করবে যেটা খুবই দরকার।বিকেল বেলায় হাতিরঝিলে আমিও কয়েকবার গিয়েছিলাম বড় ভাইদের সাথে বেশ দারুন একটি জায়গা।
আগে তো প্রায় সেখানে গিয়ে বসে থাকতাম তবে এখন একটু দূরে আছি বিধায় প্রতিনিয়ত যাওয়া হয় না।
এটা ঠিক পড়েছেন হাতিরঝিলে কিছুটা হলেও প্রকৃতির ছোঁয়া পাওয়া যায়। আর এই জন্যই এখানে গেলে তাপমাত্রা কিছুটা কম অনুভূত হয়। আপনি ক্লাস শেষ করে আপনার খালাতো বোন এবং দুলাভাইয়ের সাথে দেখা করেছেন এবং সবাই মিলে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। পড়ন্ত বিকেলে নৌকায় করে ঘুরাঘুরি করার একটা মজা রয়েছে। সুন্দর এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বিকেলের পর এবং সন্ধ্যার আগে পরিবেশটা অনেকটাই মনোরম থাকে এবং আবহাওয়াটা অনেকটা শীতল থাকে।
হাতিরঝিলে বিকেল বেলা সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। আমি ৫/৬ দিন আগে গিয়েছিলাম হাতিরঝিলের দিকে। যদিও হাতে সময় ছিলো না বলে সেখানে সময় কাটাতে পারিনি। যাইহোক খালাতো বোন এবং দুলাভাইয়ের সাথে হাতিরঝিলে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন ভাই। নৌকায় চড়তে আমারও ভীষণ ভালো লাগে। সবমিলিয়ে এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন আপনারা। ফটোগ্রাফি গুলোও দারুণ হয়েছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও তো প্রতি শুক্রবারে ঢাকায় যাই তবে হাতিরঝিলে বসার মত সময় হয়ে ওঠে না, তবে এবার হাতে জেলে গেলে অবশ্যই নক দিবেন।
ঠিক আছে ভাই অবশ্যই বলবো আপনাকে। তবে আমার ল্যাপটপে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার নিতে আইডিবি ভবনে যেতে হবে খুব শীঘ্রই। আপনি যদি আইডিবি ভবনে কিছুদিনের মধ্যে যান,তাহলে আমাকে একটু জানাবেন।
আমিও ভাবছিলাম সেখানে যাব। আমার একটি পিসি বিল্ড করতে হবে এবং সেই পিসি বিল্ডের জন্য কে কত টাকা লাগবে এবং কোন কোন ম্যাটেরিয়ালস লাগবে এসব খোঁজখবর নেওয়ার জন্যই যেতে হতে পারে।
কবে যাবেন সেটা অবশ্যই জানাবেন ভাই। সেই অপেক্ষায় রইলাম তাহলে।
অপরিচিত শহরে পরিচিত মানুষ গুলোকে দেখলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। নারায়ণগঞ্জে যাওয়ার পর হয়তো সেভাবে হাতিরঝিলে আর বেড়াতে যেতে পারেন না। তবে যখন হাতিরঝিলের পাশে ভাড়া ছিলেন আগে তো দেখতাম মাঝে মাঝে সেখানে যেতেন। যাই হোক ভাইয়া আপনি আপনার খালাতো বোন এবং উনার হাজবেন্ডের সাথে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছিন বুঝতে পারছি। আর মনে হচ্ছে পরিবেশটা সত্যি অনেক সুন্দর ছিল। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।
হ্যাঁ সেদিন অনেক ভালই উপভোগ করেছিলাম।
কথাটা ঠিকই বলেছেন ভাই এই অপরিচিত শহরে পরিচিত কাউকে দেখলে মনটা ভালো হয়ে যায়। আমি প্রায়ই রামপুরা যায় আর সেখানে গেলে হাতিরঝিল যাওয়া মিস হয় না। ঢাকা শহরের মধ্যে এই জায়গাটাই সবচাইতে ভালো বলা যায়। আবার আমার যখন মন খারাপ থাকে ওদের ওয়াটার বাসে উঠে আমি শুধু ঘোরাঘুরি করি এতে কিছু টাকা খরচ হয় কিন্তু শান্তি পাওয়া যায় একটা আলাদা রকম।
আমার মনে হয় এটা একটু ভুল বলেছেন, কারণ হাতিরঝিল এমন একটি জায়গায় যেখানে ঢাকা শহরের অন্যান্য জায়গা তুলনায় অনেক কম খরচেই ভ্রমণ করা যায় এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়।