হ য ব র ল জীবনের গল্প || নিজেকে জানো👍
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। পোস্টের টাইটেল দেখে হয়তো আপনারা একটু অবাকই হতে পারেন। কারণ নিজেকে তো আমরা সবাই জানি, তাই না! এখানে আবার নতুন করে জানার কি আছে? তবে বিশ্বাস করুন নিজেকে অনেক ভাবে জানার রয়েছে এবং আপনি নিজের সম্পর্ক এমন কিছু বিষয় আছে যেটা আপনি কখনোই জানেন না। সেই বিষয়গুলোই আছে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো, তবে চলুন শুরু করি।।
আজ থেকে পাঁচ বছর আগের কথা চিন্তা করুন একবার কল্পনা করে দেখুন তো। আজ থেকে পাঁচ বছর আগে আপনার কোন কোন বিষয়গুলো পছন্দের ছিল সেই পছন্দের তালিকের সাথে কি বর্তমানে কোন পছন্দের তালিকার মিল আছে কি? নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করে দেখুন দেখবেন বড় একটি পার্থক্য আপনি লক্ষ করতে পারছেন। আচ্ছা আপনারা কি কখনো নিজের সাথে কথা বলেছেন? কখনো কি চেষ্টা করেছেন নিজের ভালোলাগা মন্দ লাগা গুলোকে নিজের সাথেই প্রকাশ্যে কথা বলার? আচ্ছা আপনি কি আপনার শরীর সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান রাখেন! আসলে আপনার শরীরের কোন অঙ্গ কি কাজ করেন এবং আপনার কোন অঙ্গে সব থেকে বেশি দুর্বলতা লুকিয়ে আছে। এই বিষয়গুলো হয়তো আমরা কখনো কল্পনাও করি না কিংবা এই বিষয়ে কখনো ভাবতেও যাই না।
প্রথমেই বলি নিজেদের পছন্দের বিষয়ে, আসলে আমরা প্রত্যেকেই পরিবর্তনশীল। আপনি ইচ্ছা করে পরিবর্তন হন কিংবা বাস্তবতার সম্মুখীন হয়ে আপনাকে পরিবর্তন হতে হয়। কিন্তু এই পরিবর্তনটা মাঝে মাঝে আমরা পরিলক্ষিত করতে পারি, আবার মাঝে মাঝে সেই পরিবর্তনটা আমরা পরিলক্ষিত করতে পারি না। কিন্তু লং টার্ম সময় পার হয়ে যাওয়ার পরে সেই বিষয়টা আমরা অনুধাবন করতে পারি। একটি কথিত কথা রয়েছে যদি সৎ সময়ে তুমি নিজেকে পরিবর্তন করতে পারো তাহলে জীবন অনেক সহজ হয়ে যাবে কিন্তু সময় যখন তোমাকে পরিবর্তন করবে তখন প্রত্যেকটা ছাপ তোমার মনে এবং জীবনে থেকে যাবে।
অর্থাৎ এখানে সময়ের কথা বলা হয়েছে এবং সময়ের গুরুত্ব কথা বলা হয়েছে। ঠিক একইভাবে আমাদেরকে নিজেকে জানতে হবে এবং কোন পরিস্থিতিতে আমাদের কিরকম হতে হবে সেই বিষয়টা নিজেকেই নির্ধারণ করতে হবে। যদি সেই বিষয়টা সময়ের সাথে সাথে আপনি পরিবর্তন হতে পারেন তাহলে আপনার জন্য বয়ে আনবে অনাবিল সুখ কিন্তু সময় যদি আপনাকে পরবর্তীতে পরিবর্তন করে তাহলে সেটা অনেক কষ্টদায়ক হবে।
এখনো সেই দ্বিতীয় বিষয়, আপনি কি নিজের সাথে নিজে কথা বলেন? হয়তো অনেকেই ভাবতে পারেন আমি পাগল হয়ে গেছি কিন্তু বিশ্বাস করুন সায়েন্টিফিকলি ভাবে এটা প্রমাণিত হয়েছে। যে ব্যক্তি নিজের সাথে নিজেই কথা বলে সে অন্যান্য ব্যক্তির তুলনায় একটি হলেও সুস্থ মন মানসিকতার হয়ে থাকেন। হয়তো ঘুমানোর আগেই নিজের সাথে পাঁচ দশ মিনিট কথা বলে নেওয়া এবং সারাদিনে কি কি করেছ সেই বিষয়ে ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করা এবং আজকের দিনে কি কি বিষয় ভুল হয়েছে সেগুলো যেন পরবর্তীতে না হয় সেই বিষয়ে চিন্তা করা। নিজে নিজের সাথে কথা বলাই হচ্ছে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এখানে আমি বলতে চাইছি, আপনি নিজেকে সময় দিন। নিজের আত্মবিশ্বাসকে গড়ে তুলুন এবং নিজেকে সময় দেওয়ার মাধ্যমে আপনার ছোট ছোট আনন্দকর মুহূর্তগুলো উপভোগ করুন। তাহলে দেখবেন দিনশেষে যতই চাপ থাকবে না কেন সেই চাপগুলো আর চাপ মনে হবে না। সেটা সহ্য করার ক্ষমতা চলে আসবে। আজ থেকে বহু বছর আগে একটি সিনেমা দেখেছিলাম সিনেমার নাম আজ চাঁদনী চক টু চায়না, অক্ষয় কুমারের। সেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা ছিল সেই কথাগুলো আমি আজও ভুলতে পারিনি। তার মধ্যে একটি কথা হচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যেই একটি কর্মদক্ষতা যে বিষয়ে সে পারদর্শী। শুধুমাত্র সেই বিষয়টিকে খুঁজে বের করতে হবে। আপনি কোন বিষয়ে পারদর্শী এবং যেই কাজটি আপনি সবথেকে ভালো পারেন এবং যেই কাজটি আপনি ভালবাসেন এই বিষয়গুলোই হচ্ছে নিজেকে জানার একটি অংশ বিশেষ।
সর্বশেষ যেই বিষয়টি বলবো সেটা হচ্ছে নিজের শরীরের নিয়ে অর্থাৎ আমরা প্রত্যেকেই আর নিজস্ব শরীর নিয়ে যথেষ্ট সচেতন থাকি আবার কেউ কেউ এই বিষয়ে উদাসীন থাকে। তবে বিশ্বাস করুন এই নিজের শরীর সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখা আমাদের সকলেরই দায়িত্ব এবং কর্তব্য। তা না হলে পরবর্তীতে অনেকটা অসুস্থতা এবং ভোগান্তির মধ্যে পরতে হতে পারে। অর্থাৎ আপনি যদি নিজের শরীরের প্রতি যত্ন না নেন তাহলে দেখবেন নানান কারণে আপনার নানান সমস্যা হচ্ছে। বর্তমানে আমরা এমন একটি সময় বসবাস করছি যেখানে প্রত্যেকটি জিনিসই ভেজাল রয়েছে। কোন জিনিস খেয়ে যে আমাদের কি পরিমান ও ক্ষতি হচ্ছে সেটা আমরা কখনো বুঝতে পারি না। তাই মাসে অন্ততপক্ষে একবার হলেও নিজের সমস্ত শরীর ভালো হবে চেক করা উচিত। যদি কোন কিছু অস্বাভাবিক বিষয় আপনি দেখতে পারেন তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এটাও নিজেকে জানার একটি অংশ বিশেষ।
আমি ব্যক্তিগতভাবে একটি বিষয় ফলো করি। নিজেকে সবসময় সুখী রাখতে হবে, নিজের ছোট ছোট ইচ্ছাগুলোকে পূরণ রাখতে হবে। নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে। আপনি নিজেই যদি সুস্থ না থাকেন তাহলে আপনি অন্যের কাছে বোঝা হয়ে যাবেন। তাছাড়াও আপনি আপনার পরিবারের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারবেন না, তাই আপনি যদি সুস্থ থাকেন এবং মানসিকভাবে শান্তিতে থাকেন তবেই আপনি অন্যদেরকে মানসিক শান্তি এবং আপনার দায়িত্ব গুলো ভালোভাবে পালন করতে পারবেন। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই নিজেদের সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান আহরণ করা অত্যাবশ্য। এমন কিছু কিছু বিষয় আছে যেটা আপনি নিজের সম্পর্কে নিজেই জানেন না কিন্তু অন্য মানুষ থেকেই সেই বিষয়গুলো অনুধাবন করতে পারে। সেই পয়েন্টগুলো আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে এবং নিজের সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করতে হবে। আজকের মত এখানেই শেষ করছি, আশা করছি আপনার এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: হ য ব র ল জীবনের গল্প || নিজেকে জানো👍
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
বাহ্ দারুন তো ভাইয়া। নিজেকে জানার বিষয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে আমাদের মাঝে এমন অনেক বিষয়ই কিন্তু থাকে যে গুলো সর্ম্পকে হয়তো বা আমরা কিছুই জানিনা। কিন্তু আমাদের পাশের মানুষ গুলো সত্য সত্য বলতে পারে । তাই আমিও মনে করি সবার আগে নিজেকে জানা দরকার।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রায় প্রতিটি মানুষের রুচির পরিবর্তন হয়ে থাকে। নিজের পছন্দের কথা ভাবলে তো আমি নিজেই অবাক হয়ে যাই। কারণ আমি একসময় যেটা একেবারেই পছন্দ করতাম না,এখন সেটা পছন্দ করে থাকি। আবার যেটা একসময় ভীষণ পছন্দ করতাম, সেটা এখন আর পছন্দ করি না। যাইহোক প্রতিটি মানুষের উচিত নিজেকে খুব ভালোভাবে জানা। এটা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে, প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ১০ মিনিট নিজের সাথে কথা বললে, নিজের ভুল ত্রুটি,ভালো মন্দ, দুর্বলতা সম্পর্কে জানা যায় এবং জীবনটাকে আরও সুন্দরভাবে গড়ে তোলা যায়। যাইহোক দারুণ লিখেছেন ভাই। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অসাধারণ কিছু কথা আজকে তুলে ধরেছেন ভাইয়া আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে। কে কি বলে বলুক সেটা আমি জানিনা কিন্তু আমি এটা আপনার সাথে সম্পূর্ণ সমর্থিত যে অবশ্যই আমাদের কিছুটা সময় হলেও নিজেদের সাথে কথা বলা উচিত তাহলে আমরা আমাদের ভুলগুলি সম্বন্ধে অবগত হতে পারব এবং পরবর্তীতে যাতে না হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকতে পারবো। আসলে আমাদের জীবনে একটা সময়ে এসে বিভিন্ন রকমের পরিবর্তন ঘটিত হয়। নিজে বুঝে অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে কিন্তু সময় যদি পরিবর্তন করে তাহলে আপনি সঠিক বলেছেন সেটা অনেক বেশি কষ্টদায়ক হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া দারুন কিছু কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের সকলেরই নিজের প্রতি সচেতন থাকা উচিত। মানসিক এবং শারীরির ২টাই ভালো রাখা জরুরি। আর ঠিক এ বলেছেন ভাইয়া , মানুষ পরিবর্তনশীল। আগের কোনো অভ্যাস এর সাথে এখন এর কোনো অভ্যাসই মিল নেই। এটাও ঠিক বলেছেন যে নিজের সাথে নিজের কথা বলার মাধ্যমে আসলেই নিজেকে অনেক শুধরানো যায়, নিজের ভুল , নিজের দুর্বল পয়েন্ট গুলো আইডেন্টিফাই করে সে গুলোর উপর ফোকাস করা যায়। ।