বাবার সাথে বৈশাখী মেলার যাওয়ার স্মৃতিময় গল্প// পর্ব-১
আসসালামুআলাইকুম/আদাব
বাবা মানেই বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। বাবারা সবসময় সন্তানকে আগলে রাখে। সন্তানের হাসি মুখ দেখতে বাবারা খুবই পছন্দ করে। তাইতো তারা সকল কষ্ট নিজের কাছে লুকিয়ে রেখে, সন্তানের জন্য হাসির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আসলে বাবার সব সময় সন্তানের পাশে থাকে এবং সন্তানের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যই হাজারো কষ্ট সহ্য করতে পারে। তো বন্ধুরা প্রত্যেক বাবা-মাই যেন অনেক অনেক ভালো থাকে এই দোয়া করি। আর আজকে আপনাদের সাথে বাবার সাথে আমি বৈশাখী মেলাতে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। সেই স্মৃতিময় গল্পটি শেয়ার করছি, আর বৈশাখী মেলায় গিয়ে কি কি মুহূর্ত উপভোগ করেছিলাম,আশা করছি আমার এই গল্পটি পড়ে আপনারা জানতে পারবেন।
প্রতিবছরই আমাদের গ্রামের পাশের গ্রামে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। আর এই বৈশাখী মেলাতে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করা যায়। আসলে আমাদের গ্রামের পাশের গ্রামে স্কুল মাঠ রয়েছে, সেখানে বড় একটি বটগাছ রয়েছে। এই বট গাছের নিচেই যেন বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। এই বৈশাখী মেলাতে আমি কখনোই যায়নি। বিশেষ করে আমার বাড়ির পাশে অনেকেই বৈশাখী মেলাতে গিয়েছিলো, এবং তাদের কাছে গল্প শুনতাম। আর আমারও বৈশাখী মেলাতে যাওয়ার খুব ইচ্ছা হতো। তবে আমাকে বৈশাখী মেলাতে যেতে দিত না। কারণ কারো সাথেই আমার বাবা যেতে দিত না। আমাকে চোখের আড়াল করতো না। বলতো বৈশাখী মেলাতে গেলে অনেক বিপদে হতে পারে। যার কারণে আমাকে কারো সাথেই যেতে দিতো না।বাবা বলতো আমি যখন ছুটি পাব তখন যদি বৈশাখী মেলা হয়, তখনই আমি তোমাকে নিয়ে যাব। আসলে বৈশাখী মেলা এমনভাবে হয়ে থাকে তখন বাবার ছুটি হয় না। যার কারণে বাবার সাথে যাওয়া হয় না। একবার বাবার ছুটি হয়েছিল বৈশাখী মাসেই। যার কারণে সে বার আমি বাবার সাথে বৈশাখী মেলাতে যাওয়ার মুহূর্তটা আনন্দের সাথে উপভোগ করেছিলাম।
সেবার বাবার ছুটি ছিল আর বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছিল। তাই আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। অনেক দিনের স্বপ্ন বাবার সাথে বৈশাখী মেলাতে যাব। এবার সেটা সত্যি হলো। যার কারণে আমার অনেক বেশি ভালো লাগতেছিলো। আর বাবা বলতেছিল ঠিক আছে এবার তোমাকে আমি বৈশাখী মেলার সকল কিছুই ভালো করে ভ্রমণ করিয়ে দেখিয়ে দেবো এবং তোমার সাথে আমিও আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করবো। তুমি অনেক বছর হলেই বৈশাখী মেলাতে যেতে চাও এবার সেটা পূরণ হবে। এই কথা শুনতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। যার কারণে বাবা বলল আজকে বিকাল বেলায় তোমাকে আমি বৈশাখী মেলাতে নিয়ে যাব, তুমি রেডি থেকো যখন বাবা বলেছে রেড়ি থেকো তখন থেকেই আমি রেড়ি হওয়ার জন্য প্রস্তুল হয়ে ছিলাম।বাবাকে বলতেছিলাম আমি রেডি হয়েছি, এখনই চলো বাবা বলল যে রোদ উঠেছে একটু রোদ কমলে তারপরে আমরা বের হব।
তারপরে বৈশাখী মেলার উদ্দেশ্যে আমরা রওনা দিলাম। আমি বাবার সাথেই মোটরসাইকেল করে যাচ্ছিলাম। মোটরসাইকেলের পেছনে আমি আনন্দের সাথে বসে বাবাকে জড়িয়ে ধরে বসে যাচ্ছিলাম। সত্যি আমার খুবই ভালো লাগতেছিল। কারণ আমি বৈশাখী মেলাতে যাব আর আনন্দের সাথে মুহূর্তগুলো উপভোগ কছিলাম।আমাদের পাশের গ্রামে যেহেতু ছিল যার কারণে বেশি সময় লাগেনি। আমি যখন সেই স্কুল মাঠের পাশে আসলাম। এসে দেখতে পেলাম বৈশাখী মেলাতে হাজার হাজার মানুষ আর বিভিন্ন রকমের ঢোল বাজনা শব্দ হচ্ছে, গানের শব্দ হচ্ছে এবং নাগরদোলাতে অনেকেই দোল খাচ্ছে, এই দৃশ্যগুলো দেখে যেন আমি আনন্দের সাথে, সেই দৃশ্যগুলোর দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।
https://twitter.com/AhmedAlif135308/status/1840086305763668138?t=JW7vySd6N5DDZ6A7yGiFBg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাবার সাথে বৈশাখী মেলায় যাওয়ার দারুন স্মৃতি আপনি শেয়ার করেছেন।আমাদের জীবনে সবারই এরকম স্মৃতি রয়েছে মেলায় যাওয়ার।ভালো লাগলো পোস্টটি ,ধন্যবাদ।