বন্ধুদের সাথে হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। তার মধ্যে বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যাওয়ার মুহূর্তগুলো সত্যি অনেক আনন্দের। আসলে সেই দিনগুলো আর ফিরে পাবো না। তবে স্মৃতিময় এই দিনের কথা মনে হলেই খুবই ভালো লাগে। যদি ফিরে পেতাম কতই না ভালো হতো। আসলে ছোটবেলার এই দিনগুলো অনেক আনন্দের সাথে আমরা পার করেছি। সেই দিনগুলোর অনুভূতি ছিল দারুন। তাইতো আপনাদের মাঝে স্মৃতিময় পিকনিকে যাওয়ার গল্পটি শেয়ার করতেছিলাম। আজকে সেই গল্পের শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করছি আজকের গল্প বলে ভালো লাগবে।
তারপরে আমরা সেই বালুচরে খাওয়া দেওয়ার ব্যবস্থা করলাম। আমরা ছয়-সাত জন বন্ধুরা মিলে খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা সবাইকে খাওয়ানোর শেষে নিজেরা খেয়েছি। তবে খাবার অনেক বেশি বেঁচে গিয়েছিল। যার কারণে আমরা অনেক আনন্দের সাথে পেট ভরে খাবার খেয়েছিলাম। তারপরেও খাবার বেঁচে ছিল। এবং খাওয়ার শেষে স্যাররা বলল আমরা সংস্কৃতির অনুষ্ঠান করব। সেখানে সকলেই গান কবিতা বলতে হবে। আমাদের একটি লটারির আয়োজন করা হলো। সেখানে যার নামে গান উঠবে, সে গান গাইবে, যার নামে নাচে নাচবে এবং যার নামে কবিতা সেই কবিতা আবৃত্তি করবে।
মূলত এই প্রতিযোগিতাটি ছিল আনন্দের। কারণ সকলেই তো গান গাইতে পারে না। আবার সকালে নাচও পারে না, কিন্তু তাকে নাচতেই হবে। কিংবা গান গাইতে হবে। স্যার বলেছে যে তাকে পারতে হবে তা নয়, কিন্তু চেষ্টা করতেই হবে। অনেকেই গান এবং নাচতে অনেক লজ্জা পেতো। তাদের কেউ একটু হলেও এতে অংশগ্রহণ করা লাগতো। যার কারণে আমরা সবাই অনেক আনন্দের সাথে এবং অনেক আগ্রহ নিয়ে এই প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করেছিলাম।
সকল স্যাররা মিলে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলো। সেখানে আমার বন্ধুর নাম নাচ উঠেছিল এবং আমার নামে উঠেছিল কবিতায়। তবে আমি কবিতা আবৃত্তি করেছিলাম। সবার মাঝে ভয়ে ভয়েই, কিন্তু নাচ যদি আমার কপালে আসতো তাহলে আমি অনেক লজ্জা পেতাম। কিভাবে কি করতাম সেটা ভাবতেই যেন আমার তখনই ভয় হচ্ছিল। তবে বন্ধু নাচ পারে না। সেটা নিয়ে অনেক হাসাহাসি মজার সাথে আমরা সেই মুহূর্তটা উপভোগ করেছি। আসলে এই প্রতিযোগিতা আমাদের মাঝে অনেক আনন্দ দিয়েছিল। যার কারণে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল এবং এখনো যেন সেই দৃশ্যগুলো চোখের সামনে ভাসে।
তারপরে আমরা বন্ধুরা মিলে এবং স্যারদের নিয়ে লটারি আয়োজন করেছিলাম। সেই লটারিতে আমি প্রথম গিফটটি পেয়েছিলাম। যার কারণে আমাকে সবাই অনেক ভাগ্যবান মনে করলো। আসলে আমি কোনদিনও লটারিতে জিতিনি। তবে ওইটাতেই আমি প্রথম পুরস্কার জিতেছিলাম। যার কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছিল। আর এই লটারির মুহূর্ত গুলো অনেক আনন্দের ছিল। নদীর পাড়ে বালুচরের মধ্যে এত সুন্দর ভাবে আমরা সময় পার করেছিলাম, যা বলার মতো না। এভাবেই যেন আমাদের পিকনিকের সেই মুহূর্তটা উপভোগ করেছি এবং সন্ধ্যা নেমে যায়।
আসলে এই পিকনিকের মূহুর্ত অনেক আনন্দের সাথে পার করেছি। যার কারণে কখনো সন্ধ্যা নেমে আসলো বুঝতেই পারলাম না। তখন স্যাররা বলল তাড়াতাড়ি সকল কিছু গুছিয়ে নেওয়া হক,নৌকাতে উঠতে হবে। আমাদের এখন যেতে হবে।যার কারণে আমরা সকল বন্ধুরা মিলে তাড়াতাড়ি সকল কিছু গুছিয়ে নৌকাতে উঠলাম। এবং সেই নৌকাটি পাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিল। আসলে সুন্দর চারপাশের নিরবতার দৃশ্য ছিল। আর এই পিকনিকের মুহূর্তটা আমরা দারুণভাবে উপভোগ করেছি, যার কারণে এখনো সেই দিনের কথা খুবই মনে পড়ে। 🖤✨।

ধন্যবাদ সকলকে✨💖

ফোনের বিবরণ
| ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
| ধরণ | রাইটিং ✨ |
| মডেল | এম-৩১ |
| ক্যাপচার | @alif111 |
| অবস্থান | সিরাজগঞ্জ -রাজশাহী- বাংলাদেশ। |

আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃআলিফ আহমেদ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের একজন ছাত্র। আমি ছোট বেলা থেকেই আর্ট করতে পছন্দ করি।তাই অংকন করতে আমার খুব ভালো লাগে।তাই আমি সময় পেলেই বিভিন্ন চিত্র অংকন করি।বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে ও ফটোগ্রাফি করতে আমার খুবি ভালো লাগে।🌼💖🌼
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে বন্ধুত্বের বন্ধন অসাধারণ একটি বন্ধন। এই বন্ধুত্বের অনেক মজার গল্প পড়ে ভালো লাগলো। স্মৃতিময় বন্ধুদের সাথে অনেক গল্পই যেন আমাদের জড়িয়ে রয়েছে। আপনার গল্প অসাধারণ।
এমন সুন্দর সুন্দর স্মৃতিগুলো স্মরণ করতে আমারও খুব ভালো লাগে। আপনি বন্ধুদের সাথে পিকনিক করা সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন এবং আমাদের জানার সুযোগ করে দিয়েছেন। ভালো লাগলো অনেক কিছু জানতে পেরে।