রেসিপি || কাঁচা কাঁঠাল সিদ্ধ
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে পরিবার নিয়ে আপনারা সকলে ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো ও সুস্থ আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আবারও একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের রেসিপিটি হলো কাঁঠাল সেদ্ধ। এই কাঁঠাল সেদ্ধ আমার পরিবারের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। আমার বুদ্ধি হবার পর থেকে দেখে আসছি আমার চার দাদা ও বাবা চাচারা সবাই মিলে কাঁঠাল সেদ্ধ বেশ পছন্দ করে খায়। প্রতিবছর এই খাবারটি তাদের খেতেই হবে। এখন বর্তমানে সবাই ঢাকায় বসবাস করার কারণে আগের মত এভাবে আর সবাই মিলে একসাথে খাওয়া হয়ে ওঠে না। আজ বাবা বাজার থেকে কাঁচা কাঁঠাল কিনে এনেছে সেদ্ধ করে খাবে বলে। আমার আম্মু সঙ্গে সঙ্গে সেই কাঁঠাল কেটে সিদ্ধ করে ফেলল। আর এই কাঁচা কাঁঠাল আমরা কিভাবে সেদ্ধ করে খাই তার রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। তবে এই কাঁঠাল সেদ্ধ আমার কাছেও এখন বেশ ভালো লাগে। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
উপকরণসমূহ | পরিমাণ সমূহ |
---|---|
কাঁচা কাঁঠাল | ১ টি |
কাঁচা মরিচ | ৪ টি |
আদা বাটা | ১/২ চামচ |
রসুন বাটা | ১/২ চামচ |
জিরা বাটা | ১/২ চামচ |
হলুদ গুঁড়ো | ১/২ চামচ |
মরিচ গুঁড়ো | ১/২ চামচ |
লবণ | পরিমাণ মতো |
তেল | ৪ চা চামচ |
প্রথমে একটি কাঁচা কাঁঠাল কেটে এর ভেতর থেকে কোষগুলো বের করে নিয়েছি ও পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
কাঁচা কাঁঠালের কোষগুলো একটি পাত্রে নিয়েছি এবং এর মাঝে কাঁচা মরিচ ,আদা বাটা ,রসুন বাটা, জিরা বাটা ,হলুদ গুঁড়ো ,মরিচ গুঁড়ো ,তেল ও লবণ দিয়ে দিয়েছি।
এরপর সবগুলো উপকরণ একত্রে হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিয়েছি।
মেখে রাখা উপকরণ গুলোর ভিতরে দুই কাপ পরিমাণ পানি যুক্ত করে দিয়েছি।
পানির পরিমাণ বেশি হলে কাঁঠালগুলো বেশ নরম হয়ে যায় সেজন্য পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিয়েছি।
সামান্য পানি দিয়ে আস্তে আস্তে বেশ কিছুক্ষণ হালকা ভাবে নেড়েচেড়ে জাল করে নিয়েছি।
পাত্রের পানি শুকিয়ে যাবার পর চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার কাঁচা কাঁঠাল সেদ্ধ। এভাবে কাঁচা কাঁঠাল সেদ্ধ খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনারা একবার তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। আমাদের মত আপনারাও যদি কাঁঠাল সেদ্ধ খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই জানাবেন। আজ আর নয়। এরপর আবারো নতুন কোন রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো। সে পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন। আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি আফরিন খান উপমা। আমি রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলায় বসবাস করি। আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের মানবিক বিভাগের একজন ছাত্রী। আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি একজন ব্লগার উদ্যোক্তা। আমি গান গাইতে , নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে এবং ছাদ বাগান করতে খুব ভালোবাসি। আমি আনন্দময়ী এবং সকলকে নিয়ে হৈহুল্লর ও একসঙ্গে সকলকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করি। আমি সকলের দুঃখে দুঃখী এবং সকলের সুখে সুখী
কাঁচা কাঁঠাল সিদ্ধ করে খেতে ভীষণ মজা লাগে। আগে ছোট বেলায় অনেক খাওয়া হতো তবে এখন আর খাওয়া হয়না। পুষ্টিকর রেসিপি শেয়ার করেছেন। কাঁঠাল শরীরের জন্য উপকারী ফল। আপনার রেসিপি দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
কাঁচা কাঁঠাল সিদ্ধের চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই রেসিপি তৈরির বর্ণনাগুলো পড়ে আমার সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। মনে হচ্ছে রেসিপিটি খেতে অনেক বেশি মজাদার ছিল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলে কাঁচা কাঁঠাল সিদ্ধ আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। এছাড়াও কাঁঠালের তরকারি আমার অনেক প্রিয় একটি খাবার। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে কাঁচা কাঁঠাল সিদ্ধ রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা কাঁচা কাঁঠাল সিদ্ধ রেসিপি টি আমার জিহ্বায় জল চলে এসেছে। আপনি ধারাবাহিক ভাবে খুবই সুন্দর করে কাঠাল রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন কাচা কাঁঠালের তরকারি যেমন মজা তেমনই কাঁঠাল সেদ্ধ খেতে খুব মজা লাগে। শুভকামনা রইল।
কাঁঠাল যে এভাবে সিদ্ধ করে খাওয়া যায় এটি আমার জানা ছিল না ।আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে নতুন একটি তথ্য পেলাম ।আপনার পরিবারের লোকেরা আগে থেকে এভাবে কাঁঠাল সিদ্ধ খায় জেনে বেশ ভালো লাগলো ।নতুন একটি রেসিপি দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার পরিবার খুব পছন্দ করে কাঁচা কাঁঠাল সেদ্ধ খায়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু কাঁচা কাঁঠাল সিদ্ধ করে খাওয়া যায় এটা কখনো শুনি নাই। আজকে প্রথম দেখতে পেলাম। তবে আপনার পরিবারের লোক গুলো সিদ্ধ কাঁঠাল খেতে বেশ পছন্দ করে আপনার পোস্টে জানতে পারলাম। তবে আমার কাছে মনে হয় কাচা কাঁঠাল সিদ্ধ খেতে বেশ মজাই হয়েছে। আমাদের বাড়িতে অনেক কাঁঠাল আছে একদিন ট্রাই করে দেখব। যাইহোক সুন্দর একটি নতুন রেসিপি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু একবার অল্প করে কাঁচা কাঁঠাল সেদ্ধ করে খেয়ে দেখেন আমার মনে হয় ভালো লাগবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলে এর আগে আমি কাঁঠালের বীজের ভর্তা খেয়েছি, কাঁঠালের ইচড় খেয়েছি, এছাড়াও পাকা কাঁঠাল খেয়েছি, কিন্তু এই কাঁচা কাঁঠালের সিদ্ধ আমি এই সর্বপ্রথম দেখতে পেলাম। আসলে এটা আমার কাছে সম্পূর্ণ একটা নতুন ধরনের রেসিপি। এছাড়াও এই রেসিপিটা তৈরির প্রতিটা ধাপ আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া এটা আমাদের পরিবারের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
কাঁচা কাঠাল সিদ্ধ আমাদের বাড়িতেও হতো অনেক ছোটবেলায় দেখতাম।খেতামও মজা করে।এই কাঁচা কাঠাল সিদ্ধ খাওয়ার জন্য এক বিশেষ প্রজাতির কাঁঠাল ব্যাবহার করতো আমার দিদু সেই কাঁঠালের নাম খাঁচ কাঠাল।অনেক বড়ো বড়ো কাঁঠালের কোয়া বেরুতো এবং খেতে মচে মচে ছিলো ঐ কাঁঠাল। আপনার পোস্টটি দেখে ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেলো । চমৎকার সুন্দর লাগছে আপনার কাঁঠাল সিদ্ধ রেসিপিটি। ধাপে ধাপে কাঁঠাল সিদ্ধ পদ্ধতি চমৎকার ভাবে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর ও মূল্যবান মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি আজ আমাদের মাঝে কাঁচা কাঁঠাল সিদ্ধ রেসিপি শেয়ার করেছেন।আসলে এই রেসিপিটা খেতে কিন্তু দারুন লাগে। আপনার রেসিপির কালারটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য প্রত্যেকটি ধাপ দারুন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ইউনিক একটি রেসিপি দেখতে পেলাম আপু আপনার পোস্টের মাধ্যমে। কাঁচা কাঁঠাল সিদ্ধ রেসিপিটি আগে খাওয়া হয়নি ।এই প্রথম আপনার পোস্ট থেকে দেখতে পেলাম রেসিপিটি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার এই কাঁঠাল সেদ্ধ।আপনার রেসিপিটি দেখে ভীষণ লোভ লেগে গেলো আপু।দারুন একটা কালার হয়েছে।দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজাদার হয়েছে।খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটা ধাপ উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।