কেউ তাকে দৃষ্টির মধ্যে আবদ্ধ করতে পারে না কিন্তু সবাই তার দৃষ্টির মধ্যে সীমাবদ্ধ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসছালামুআলায়কুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু।
প্রিয় সাথী বৃন্দ,
আজকে আমি মহা আল্লাহ তা'আলার একটি গুণ (তিনি একসাথে সবকিছু দেখতে পারেন) নিয়ে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাল্লাহ।
আল্লাহর অনেক গুণ রয়েছে তার মধ্যে একটি গুণ হল তিনি সবকিছুকে একসাথে দেখতে পারেন। মহান আল্লাহ তায়ালার মত আর কেউ নেই যে, একসাথে সবাইকে দেখা সম্ভব। এটা একমাত্র আল্লাহ তালার গুণ। তার দেখার বাইরে কিছুই থাকে না। সব তার দৃষ্টির মধ্যে সীমাবদ্ধ।
source
মহান আল্লাহ তা'আলা এই পৃথিবীতে তিনি বাদে, যা কিছু সৃষ্টি করেছেন সবই তার মাখলুক বা সৃষ্টি। আর এই সৃষ্টির মধ্যে আমাদের চোখে ধরা পড়ে সামান্য কিছু সৃষ্টি। সিংহভাগ সৃষ্টি আমরা চোখে দেখতে পারিনা আমাদের দেখার আড়ালেই রয়ে যায়। মহান আল্লাহতালা ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র যা আমরা খালি চোখে দেখা সম্ভব হয় না এমন প্রাণী থেকে শুরু করে বৃহৎ হাতি এবং নীল তিমি মত বড় বড় প্রাণী তৈরি করেছেন।
মহান আল্লাহতালা এগুলো শুধু তৈরি করেন নাই, এগুলো তিনি প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে দেখছেন এবং পর্যবেক্ষণ করছেন। আমরা মানুষ, আমাদেরকে মহান আল্লাহ তা'আলা অত্যন্ত আদর করে, অত্যন্ত মায়া, মহব্বত করে সৃষ্টি করেছেন এবং মানুষ এবং জ্বিন বাদে সমস্ত সৃষ্টিকে আমাদের খেদমতের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আর আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, মহান আল্লাহ তাআলার ইবাদত করার জন্য।
source
মহান আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেকটি মানুষের নড়াচাড়া, কাজকর্ম, ওঠাবসা, চিন্তাভাবনা, সবকিছুই সুন্দরভাবে দেখেন এবং পর্যবেক্ষণ করেন। অন্তরে কি কি ধারণা পোষণ করি, কি কি চিন্তা করি, এ বিষয়টিও মহান আল্লাহতালা দেখার বাইরে নয়। আমরা মহান আল্লাহতালার দৃষ্টির মধ্যে সীমাবদ্ধ। আমরা মহান আল্লাহতালার দৃষ্টির বাইরে যাওয়া কখনোই সম্ভব নয়। আমাদের সমস্ত খবর, সমস্ত ক্রিয়া কালাপ, মহান আল্লাহতালা প্রতি সেকেন্ডে, সেকেন্ডে পর্যবেক্ষণ করে থাকেন এবং দেখে থাকেন। এই বিশ্বাস আমাদের অন্তরে গেঁথে রাখতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালার এই গুণকে মনে প্রাণে বিশ্বাস এবং অন্তরে গেঁথে রাখি তাহলে আমার দ্বারা কোন প্রকার অন্যায় অবিচার অর্থাৎ পাপ করা সম্ভব হবে না।
source
আমি যদি কাউকে অশ্লীল কথা বলি, তাহলে সেটা মহান আল্লাহতালা দেখেন, শোনেন। আর আল্লাহ যদি দেখেন এবং শোনেন তার বিচার তো হাশরের ময়দান হবেই। তখন আমার বিবেক বলবে কাউকে অশ্লীল কথা বলা যাবে না। কারো প্রতি যদি অত্যাচার করি তাও মহান আল্লাহতালা দেখেন। তখন আমি আর কাউকে অত্যাচার করতে পারবো না কারণ তারও বিচার হবে। আমি যদি অন্তরে কাহারো প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ, খারাপ ধারণা পোষণ করি, তাহলে সে খবর মহান আল্লাহতালা অবশ্যই জানবেন। তখন আমি অন্তরে কুধারনা বা খারাপ ধারণা করা থেকে বিরত থাকবো।
আমি কোন ধরনের পাপের কাজ করতে পারব না কারণ মহান আল্লাহতালা আমাকে দেখতেছেন, আমাকে পর্যবেক্ষণ করিতেছেন এবং এর হিসাব হাশরের ময়দানে করাই-গন্ডায় দিতে হবে। এই যে মহান আল্লাহতালা আমাকে সর্বসময়, সব কার্যকলাপ এবং চিন্তাধারা দেখতেছেন এবং পর্যবেক্ষণ করতেছেন এবং এর বিচার হাশরের ময়দানে অবশ্য অবশ্যই দিতে হবে। এই বিশ্বাস যদি আমার অন্তরে গেঁথে রাখি বা বদ্ধমূল করে রাখি, তাহলে আমার দ্বারা কোন ধরনের পাপ কাজ করা আর কখনোই সম্ভব হবে না।
source
তাই আসুন আমরা মহান আল্লাহতালা এই গুণ (সর্বসময় আমাদের দেখতে থাকেন এবং পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন) হৃদয়ের ভিতর গেঁথে রাখি। আর এই গেঁথে রাখার দ্বারা আমার ইহকালীন জিন্দেগীর উদ্দেশ্য পুরোপুরি সফল হবে এবং আখেরাতের জিন্দেগি অত্যন্ত সুন্দর, বিপদমুক্ত হবে। মহান আল্লাহতালা আমাদের প্রতি খুশি হবেন। আমাদেরকে নিয়ামতে ভরপুর শান্তির জায়গা জান্নাত দান করবেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।
প্রিয় ভাই আজ অত্যন্ত দামি একটি লিখা আপনি আমাদের উপহার দিয়েছেন। আমাদের চোখ আল্লাহ্র সৃষ্টির কতটুকুই বা দেখেছে। মহান আল্লাহ্র এত এত সৃষ্টি রয়েছে যা আমরা গুনে কখনো শেষ করতে পারবো না। আল্লাহ্ তা'লা তাঁর প্রতিটি সৃষ্টির খোজ খবর প্রতি নিয়তই রাখে। আপনি বললেন নীল তিমি কিংবা সাগরের এত বড় সব প্রানী, এদের আহার কে জোগান? একমাত্র আল্লাহ্ তালাই যোগান।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। ভালো থকবেন সবসময়।
আপনি আমার পোস্টটি সুন্দরভাবে ও কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনি সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন। আপনার প্রতি শুভকামনা ও দোয়া রইল। আল্লাহ হাফেজ।
হুম ভাই ইশ্বরকে ফাকি দেওয়ার মত আমাদের কোন উপায় নেই তিনি সবসময় আমাদের কার্যক্রম গুলো লক্ষ্য করে থাকেন ৷ আর এটাও সত্যি যে অনেক মানুষ রয়েছে যারা কিনা ইশ্বরকে মানে না ইশ্বর কে নিয়ে অনেক কটু কথা বলে থাকে ৷
যাই হোক ভাই যার যেমন কর্ম সে তেমন ফল ভোগ করবে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি লেখা আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
আপনার প্রতি শুভকামনা ও অভিনন্দন রইলো কারণ আপনি আমার পোস্টটি সুন্দরভাবে ও কষ্ট করে পড়ার জন্য। এরপর আপনি সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন।
আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
আমরা বলি যে আমাদের মা-বাবা আমাদের সবচাইতে প্রিয় এবং আপনজন। কিন্তু কোরআনুল কারীমে উল্লেখ আছে সৃষ্টিকর্তা তার চাইতে অনেক বেশি কাছে। কেননা আমাদের কন্ঠনালী ঠিক কাছেই হচ্ছে আমাদের সৃষ্টিকর্তা। সৃষ্টিকর্তা সব সময় আমাদেরকে দেখে কিন্তু, আমরা তাকে দেখি না বিশ্বাস করি এর নাম হচ্ছে ঈমান।
মাঝে মাঝে তো ওয়াজ এর মধ্যে শুনি আমাদের চালের উপরে যে গাছ রয়েছে। সেখান থেকে যদি একটা পাতার চালের উপর পরে সেই শব্দটা পর্যন্ত সৃষ্টিকর্তা শুনতে পায়। এরপর ছোট্ট একটা পিঁপড়া গুটি গুটি পা দিয়ে যখন তার বাসায় প্রবেশ করে কিংবা তার বাসা থেকে বের হয়। সেই শব্দটাও সৃষ্টিকর্তা শুনতে পায়। তাহলে আমরা যাকে দেখতে পাই না তিনি কতটা নিখুঁত ভাবে আমাদেরকে তৈরি করেছেন। এবং কতটা নিখুঁত হলে তিনি শব্দগুলো শুনতে পান। এটা ভেবেই মাঝে মাঝে আমি অবাক হয়ে যাই।
আল্লাহ তায়ালাকে আমরা দেখতে পাই না কিন্তু বিশ্বাস করি। কেননা তিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এটাও বিশ্বাস করি আমরা একদিনের পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব। এবং পরকালে আমাদের জন্য নতুন একটা পৃথিবী রেখে দিয়েছেন। যার মধ্যে দুইটা দিক রয়েছে একটা হচ্ছে জান্নাত একটা হচ্ছে জাহান্নাম। আমরা যদি এই দুনিয়ায় ভালো কাজ করতে পারি। তাহলে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করব আর যদি খারাপ কাজ করি তাহলে আমাদেরকে জাহান্নামে ফেলে দেয়া হবে। তাই আমার মনে হয় আমাদের প্রত্যেকের উচিত। আল্লাহতালার প্রতি ঈমান এনে আল্লাহ তায়ালার দেখানোর সঠিক পথে প্রদর্শন করা। চমৎকার বিষয় উপস্থাপন করার জন্য, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার লেখাটি সত্যিই প্রশংসনীয়।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কারন আপনি আমার পোস্টটি সুন্দরভাবে ও কষ্ট করে পড়েছেন এবং সেই সাথে একটা সুন্দর এবং অনেক বড় একটা তথ্য বহুল মন্তব্য করেছেন। আমাদের মূল লক্ষ্য আল্লাহরকে রাজি এবং খুশি করা। আমরা যত কিছু করি না কেন সজাগ থাকতে হবে আল্লাহ যেন আমাদের উপর রাগ না করেন।
আপনার প্রতি শুভকামনা ও দোয়া রইল, আল্লাহ হাফেজ।
উপরওয়ালা সবকিছু দেখতে পারেন। আমাদের পক্ষে তার কিছুটা দেখাও সম্ভব নয়। আমরা তো নগণ্য মানুষ মাত্র। কারো সাথে অশ্লীল কথা বলা উচিত না এবং কারো প্রতি অবিচার করাও উচিত না বলে আমি মনে করি। আর জেনে-শুনে কোনো পাপ কাজে লিপ্ত হওয়া তো কোনো মানুষেরই উচিত নয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোষ্টের মাধ্যমে এই কথাগুলি শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কারন আপনি আমার পোস্টটি পড়ার এবং সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল দোয়া রইল।
আল্লাহ আপনাকে পাপ মুক্ত থাকার তৌফিক দান করুন আমীন।
সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবসময় দেখে রাখেন এবং আমাদের কে ভালো পথের দিকে নির্দেশনা করেন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের কোনদিনই না খাইয়ে রাখেন না কিন্তু তাও আমরা তার ইবাদত করি না। সৃষ্টিকর্তা চাইলে আমাদেরকে না খাইয়ে রাখতে পারেন কিন্তু তার দয়া অপরিসীম। আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান। তাই মানুষকে ফাঁকি দেয়া সম্ভব হলেও ঈশ্বরের চোখকে ফাকি দেয়া সম্ভব নয়।আমরা অনেক সময় কারো পিছনে অনেক কটু কথা বলি আর তার সামনে মিষ্টি কথা বলি।এরকমটা করা উচিৎ নয়, কারণ ঈশ্বর সব দেখছেন।পরপারে গিয়ে এর সব হিসাব৷ তিনি নিবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।।