"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল - রাউন্ড #১৮ [তারিখ : ২১-০৭-২০২৩]
বিগত ০২ মে ২০২৩ থেকে "আমার বাংলা ব্লগের" একটা নতুন ইনিশিয়েটিভ আজকের ফিচারড আর্টিকেল চালু করা হয়। এই উদ্যোগটি এখনও অব্দি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মেই একদম নতুন ও ইউনিক । কি এই "আজকের ফিচারড আর্টিকেল" ? আসুন জেনে নেওয়া যাক ।
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল : আমার বাংলা ব্লগে প্রতিদিন নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে । অলটাইম এভারেজ ১৭০ জন রাইটার এক্টিভলি আর্টিকেল লিখে চলেছেন প্রতিদিন । এত এত আর্টিকেলের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে প্রত্যহ ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে একটি আর্টিকেলকে আলাদা করে পাবলিশ করা হবে আমাদের কমিউনিটির নতুন একটি একাউন্টে । যেহেতু, হুবহু অন্যদের আর্টিকেল স্টিমিটে আলাদা অন্য আর একটি একাউন্টে পাবলিশ করার নিয়ম নেই তাই আমরা ফিচারড আর্টিকেলের কিছু অংশবিশেষ নিয়ে আলোচনামূলক পোস্ট করবো । সেই সাথে থাকবে সেই সকল ফিচারড আর্টিকেলের রাইটারদের নাম, আর্টিকেলের নাম ও আর্টিকেল পোস্টের লিংক । এডিশনালি আমরা ছোট্ট একটা পিডিএফ পাবলিশ করবো প্রত্যেক মাসের প্রথম রবিবারে । এই পিডিএফ -এ থাকবে বিগত এক মাসের সবগুলি ফিচারড আর্টিকেল ।
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল রাইটার - @pujaghosh
অথর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
অথরের নামঃ পূজা ঘোষ । জাতীয়তাঃ ভারতীয় । পেশাঃ স্টুডেন্ট।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী হিসেবে গ্রাজুয়েশনে অধ্যয়নরত।
শখঃ ছবি তুলতে, আঁকতে এবং গান শুনতে ভালোবাসে। তাছাড়া কবিতা আবৃত্তি চর্চা করা তার সবচেয়ে প্রিয় কাজ।
স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ারঃ ২৬ নভেম্বর, ২০২২ ইং।
এক নজরে তাঁর বিগত সপ্তাহের পোস্টগুলি :
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল :
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmaC2PXvUespxxdWY4bgMtZSNRuwsQZ43KXgcsP4eo5ren/Screenshot_20230721_214615_Chrome.jpg)
"জেনারেল রাইটিং//সচেতনতাই বেঁচে থাকার একমাত্র চাবিকাঠি by @pujaghosh (date 19-7-23)
লেখিকা তার এই ব্লগের মাধ্যমে নিজের অব্যক্ত অনুভূতি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে। আমার কাছে আজকের এই ব্লগটি ফিচার্ড পোস্ট হিসেবে মনোনীত করার বেশ কয়েকটি কারণ আমি খুঁজে পেয়েছি। প্রথমত সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমার মনে হয় সকলের এই ব্যাপারটাতে সচেতন হওয়া উচিত এবং মানুষ হোক মানুষের জন্য তারই বহিঃপ্রকাশ পেয়েছে এই লেখায়।
প্রতিনিয়ত ট্রেনে করেই তার কলেজে যাতায়াত, সেদিনও কোন ব্যতিক্রম হয়নি। তবে যখন হঠাৎই কয়েকটা স্টেশন পরে ট্রেনটা থেমে গিয়েছিল তখন আগ্রহের বসেই বাহিরের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করছিল। তার কৌতুহলী চিন্তা-ভাবনা তাকে অতঃপর ট্রেন থেকে নামতে বাধ্য করেছিল এবং নেমে যা জানতে পেরেছিল, তা তার কোমল মনকে অনেক ব্যথিত করেছিল।
একটা মানুষ কতটা পরিমাণ হতাশায় ভুগলে নিজের জীবনের আশা ছেড়ে দেয় তা আসলে ঐ পরিস্থিতিতে না গেলে কেউ বুঝতে পারবে না। যে ছেলেটা ট্রেনের সামনে শুয়ে থেকে সুইসাইড করতে গিয়েছিল ,সেই জানে তার ভিতরে কি চলছিল। যদিও এক্ষেত্রে ট্রেন চালক অনেক সহানুভূতির পরিচয় দিয়েছে ট্রেন থামিয়ে, তবে অনেকে তো বিরক্তি প্রকাশ করে ছেলেটার উপর একপ্রকার চড়াও হয়েছিল এবং যে যার মত করে সমালোচনাও করছিল।
আসলে কেউ কারো মনের ব্যথা বোঝেনা, তারপরেও লেখিকা নিজের স্বচক্ষে এমন ঘটনা দেখে তার কিছুটা হলেও নিজের মনে প্রশ্ন উদিত হয়েছিল, কেন এমন হতে পারে। কেনই বা ছেলেটা সুইসাইড করার মত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আচ্ছা এক্ষেত্রে আমাদেরই বা করনীয় কি। লেখিকার মাথায় ক্রমাগত যেন এমন প্রশ্নগুলো ঘুরপাক করছিল।
ছেলেটা যখন হাউমাউ করে কাঁদছিল তখন আসলে মানুষের সহানুভূতির থেকে সমালোচনায় বেশি ছিল। কেউ বুঝে ওঠার চেষ্টা করেনি ছেলেটার ভিতরে কি পরিমাণ মানসিক যন্ত্রণা কাজ করছিল। হয়তো একাকীত্ব তাকে এমন অবস্থার সম্মুখীন করেছে। আমরা অনেকেই বিষয় গুলো এড়িয়ে যাই, না দেখার ভান করি, তবে মানুষ হয়ে মানুষের কর্তব্য কিন্তু এটা না। যদি আজ ছেলেটার পাশে থাকা যেত, তার হতাশাগ্রস্ত হওয়ার সমস্যাগুলো যদি সে কারো সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারতো, তাহলে আর যাইহোক, সুইসাইডের পর্যায়ের দিকে ব্যাপারটা গড়াতো না।
লেখিকা এখানে ছেলেটার অবস্থার জন্য যতটা না পরিমাণ ভেবেছে, তার থেকে বেশি ভেবেছে আমাদের চারিপাশের পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিবর্তনের জন্য। যদি সবাই আন্তরিক হতো, একজনের সমস্যার কথা যদি অন্যজন বুঝতো কিংবা হতাশাগ্রস্ত হওয়া বা একাকীত্বে থাকা যে এক ধরনের ব্যাধি হতে পারে, সেটাকে ভালোভাবে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শই সে সবাইকে দিয়েছে। আসলে তীর্যক সমালোচনা কোন সমাধান হতে পারে না বরং আন্তরিক হওয়াই তো গুরুত্বপূর্ণ আর সচেতনতাই পারে এইক্ষেত্রে একমাত্র পন্থা।
প্রতিদিন একজন না একজন ইউজারকে তাদের পোস্টের কোয়ালিটি দেখে ফঁই ফিচার আর্টিকেলর মনোনয়ন দেওয়া হয়। আজ পূজা দিদি স্থান করে নিয়েছেন। আসলে দিদির পোস্ট গুলো প্রতিটি বেশ সুন্দর হয়। শুভকামনা রইল দিদির প্রতি।
পূজা দিদির আজকের এই পোস্টটি ফিচার্ড আর্টিকেলে মনোনীত করা হয়েছে দেখে খুশি হলাম। আসলে আমরাই পারি আমাদের সমাজকে বদলে দিতে আমরাই পারি আমাদের পরিবেশকে আরো ভালো রাখতে। একজন মানুষ প্রচন্ড পরিমাণে হতাশাগ্রস্থ হওয়ার পরেই সে সুইসাইড করার চিন্তা করে। আসলে এমন ধরনের মানুষের পাশে থাকাটা আমাদের জন্য উচিত কাজ। আমরা মানুষ সবাই এই সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চাই।
রিচার্ড আর্টিকেলে পূজা দিদির নামটি দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। পূজা দিদির পোস্টটি ফিচার্ড আর্টিকেলে মনোনীত করা হয়েছে এজন্য আরও বেশি ভালো লাগলো। যেকোন পরিস্থিতি ওসুন্দর একটি পরিবেশ আমরা ইচ্ছা করলেই সুন্দরভাবে করে নিতে পারি কারণ আমরা মানুষ। অনেক সুন্দর লিখেছেন দিদি। অনেক অনেক শুভকামনা রইল দিদির জন্য।
ফিচারড আর্টিকেলে নিজের পোষ্টটি প্রথম বারের মতো সিলেক্ট হয়েছে দেখে অত্যন্ত খুশী হয়েছি আমি। আমার পোস্টটি পড়ে , তার সম্পর্কে এতো সুন্দর একটা গোছানো মনোভাব প্রকাশ করা হয়েছে, যা দেখে আমার খুব খুব ভালো লাগছে।
খুব নতুন ও চমৎকার একটি উদ্যোগ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিদিন একটি করে ফিচারড আর্টিকেল আমরা দেখতে পাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রতিদিন একটি করে ফিচারড আর্টিকেল আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
নিশ্চয়ই এমন সুন্দর একটি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই কারণ দাদার প্রত্যেকটি স্টেপ অনেক ভালো হয়। সবার জন্য অনেক বেশি সুবিধা হয়। এমন সুন্দর একটি ফিচার আর্টিকেল সিলেক্ট করার উদ্যোগে খুব সুন্দর সুন্দর ফিচারড আর্টিকেল আমরা দেখতে পাই। এর মাধ্যমে অনেকে অনুপ্রাণিত হচ্ছে সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল লেখার। এইবারে আপনি পূজা ঘোষ দিদিকে সেরা নির্বাচন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
প্রিয় পূজা দিদির আজকের এই পোস্টটি ফিচার্ড আর্টিকেলে মনোনীত হয়েছে দেখে অনেক খুশি হলাম। বদলে যাই, বদলে দেই আসলে আমরাই পারি আমাদের সমাজকে বদলে দিতে। আমরাই পারি আমাদের চারপাশের পরিবেশকে আরো ভালো রাখতে। একজন মানুষ প্রচন্ড পরিমাণে হতাশাগ্রস্থ হওয়ার কারনে সে সুইসাইড করার সিদ্ধান্ত নেন আর তাই। এ ধরনের মানুষের পাশে থাকাটা ও আমাদের জরুরী। ♥♥