"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল - রাউন্ড # ৩৭৫ [ তারিখ : ২৫-০৭-২০২৪ ]
বিগত ০২ মে ২০২৩ থেকে "আমার বাংলা ব্লগের" একটা নতুন ইনিশিয়েটিভ আজকের ফিচারড আর্টিকেল চালু করা হয়। এই উদ্যোগটি এখনও অব্দি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মেই একদম নতুন ও ইউনিক । কি এই "আজকের ফিচারড আর্টিকেল" ? আসুন জেনে নেওয়া যাক ।
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল : আমার বাংলা ব্লগে প্রতিদিন নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে । অলটাইম এভারেজ ১৭০ জন রাইটার এক্টিভলি আর্টিকেল লিখে চলেছেন প্রতিদিন । এত এত আর্টিকেলের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে প্রত্যহ ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে একটি আর্টিকেলকে আলাদা করে পাবলিশ করা হবে আমাদের কমিউনিটির নতুন একটি একাউন্টে । যেহেতু, হুবহু অন্যদের আর্টিকেল স্টিমিটে আলাদা অন্য আর একটি একাউন্টে পাবলিশ করার নিয়ম নেই তাই আমরা ফিচারড আর্টিকেলের কিছু অংশবিশেষ নিয়ে আলোচনামূলক পোস্ট করবো । সেই সাথে থাকবে সেই সকল ফিচারড আর্টিকেলের রাইটারদের নাম, আর্টিকেলের নাম ও আর্টিকেল পোস্টের লিংক । এডিশনালি আমরা ছোট্ট একটা পিডিএফ পাবলিশ করবো প্রত্যেক মাসের প্রথম রবিবারে । এই পিডিএফ -এ থাকবে বিগত এক মাসের সবগুলি ফিচারড আর্টিকেল ।
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল রাইটার - @shimulakter
অথর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
অথরের নাম - শিমুল আক্তার। একজন বাংলাদেশী। উনি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।বৈবাহিক অবস্থা - বিবাহিতা।উনি একজন গৃহিণী।ভালোবাসেন বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও উনার ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পান।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করেন।
এক নজরে তাঁর বিগত সপ্তাহের পোস্টগুলি:
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল :
লাইফ স্টাইল -- 😐 " দুর্বিষহ কয়টি দিন যেভাবে কেটেছে "... @shimulakter (25/07/2024 )
আজকে অনেকদিন পরে আপনাদের সাথে ফিচার্ড আর্টিকেল শেয়ার করতে এলাম। আশা করছি যারা এই মুহূর্তে আমাদের সাথে যুক্ত রয়েছেন। আপনারা সকলেই ভালো আছেন।
আমাদের সকলের বর্তমানে মনের পরিস্থিতি হলো উনার পোস্টের টাইটেলটি। তো উনার পোস্টটি দেখেই আসলে ভাবলাম যে এটা নিয়েই আজকে ফিচার্ড আর্টিকেল প্রকাশ করা হোক। সত্যিই দুর্বিষহ যেনো কেটেছে এই শেষ একটা সপ্তাহ। কারণ আমরা কেউই এই ধরনের জীবনযাপন করতে আগ্রহী কিংবা অভ্যস্ত কোনোটাই নয়। শুধু ইন্টারনেট ছিলো না, এটা অনেক বড় সমস্যার ব্যাপার ছিলো না। সবচেয়ে বড় সমস্যার ব্যাপার ছিলো - স্বজন হারানোর বেদনার আর্তনাদ শোনা, এটা হয়তো আমাদের সকলের জন্যই অনেক বেশি স্পর্শকাতর এবং কষ্টের ছিলো। অসম্ভব রকমের ভয়। কারণ কখন নিজের স্বজনকে হারিয়ে ফেলবো এক লহমায়। সেটার জন্যে হয়তো আমরা সকলেই ভেতরে ভেতরে অনেক বেশি ভিতু হয়েছিলাম এবং হওয়াটাই অনেক বেশি স্বাভাবিক।
আমার দিনও প্রায় উনার মতোই অনেকটা কেটেছে। অর্থাৎ লুডু খেলে, রেডিও শুনে। আর আমি যেটা সবচেয়ে বেশি করেছি। সেটা হচ্ছে, আমার বই পড়াটা অনেক বেশি হয়েছে। তবে উনার অবস্থা অনেক শোচনীয় ই ছিলো।এসব দেখে অসুস্থ হওয়াটা ভয়ংকর ই বটে।তবে আশা করি, উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।সে সাথে এটাও আশা করি যে, আবার আগের মতো আমরা সবাই হেসে খেলে কাজ করবো।দ্রুত সব সমস্যার অবসান হবে। তবে এটা ঠিক যে মায়ের বুক খালি হয়েছে । সে মায়ের বুক কখনোই শান্ত হবে না ।তাও আমাদের ভালো থাকতে হবে বলেই ভালো থাকার ইচ্ছে!
উনার পোস্টের মার্কডাউন, লেখা সবকিছুই মোটামুটি ভালো ছিলো।আশা করছি ভবিষ্যতেও তিনি আমাদের সাথে এভাবেই যুক্ত থাকবেন।
ছবি গুলো শিমুল আপুর ব্লগ থেকে নেওয়া
আজকের ফিচার্ড আর্টিকেলে শিমুল আপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং চমৎকার একটি পোস্ট দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে উক্ত পোস্টের মধ্যে শিমুল আপু সমসাময়িক কলঙ্কময় ঘটনার কারণে স্বজনহারা মানুষদের কথাগুলো সুন্দরভাবে ফুটে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
আজকের ফিচারড আর্টিকেল পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো। আমরা সবাই অনেক কষ্ট করে সময় পার করেছি। আপনাদের এরকম অভিজ্ঞতা সত্যি মনে রাখার মত ছিল।
সময়টা খুবই দুর্বিষহ ভাবে কেটেছে।সামনে কি আছে তাও অজানা।আর পরশু দিন রাতে যখন ডিসকোডে মেসেজ দিয়েছিলাম তখন দাদা আপনি আর তানজিরা আপুই ছিলেন।কি যে ভালো লাগা কাজ করছিলো যখন বুঝলাম আমার মেসেজ আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।সে এক অন্য রকম ভালো লাগা অনুভূতি ছিল।আর মনের ক্ষতটি রয়ে যাবে আজীবন মনের মাঝে ই।দোয়া করবেন আমার জন্য দাদা।অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা আমার পোস্টটিকে ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে মনোনীত করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আজকের ফিচারড আর্টিকেলে শিমুল আপুর পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে সত্যিই দুর্বিষহ দিন পার হয়েছে আমাদের। আমাদের চারপাশের পরিস্থিতি সত্যি বেশ কঠিন। বাক স্বাধীনতা এখন রুদ্ধ।
ফিচারড আর্টিকেলে পোস্টটি দেখে অনেক ভালো লাগলো।সত্যিই এ কয়েকটি দিন আমাদের অনেক কষ্টে কেটে গেছে।আমাদের আশেপাশের পরিস্থিতি বর্তমান সময়ের সবকিছু খুব সুন্দর ভাবে আপু তুলে ধরেছেন। অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি ফিচারড আর্টিকেলে মনোনীত করার জন্য।
স্বজন হারানোর কষ্টটা সত্যি অনেক বেশি হয়ে থাকে। ইন্টারনেটটা আসলেই বড় ব্যাপার ছিল না এটার থেকে। যারা নিজেদের আপন মানুষগুলো হারিয়েছে তাদের কথা ভাবতেই অনেক খারাপ লাগে। প্রিয়জন হারিয়ে তাদের কষ্টটা কতই না বেশি। আমরা আসলেই দুর্বিসহ দিন কাটিয়েছি এই কয়েকদিন। সামনে আর কি রকম অবস্থা আমাদের জন্য অপেক্ষা করতেছে এটা কারোরই জানা নেই। আপু অনেক সুন্দর করেই লেখাগুলো লিখেছে। এই পোস্টটা ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে সিলেক্ট করার জন্য ধন্যবাদ।