অন্তহীন জনদুর্ভোগ
সমস্যার যে এখানেই শেষ তা নয়। দেখা গেল ওয়াসার কাজ শেষ হওয়ার পরে অন্য আরেকটা ডিপার্টমেন্ট এসে এই রাস্তাটা আবার খোড়াখুড়ি শুরু করবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে রাস্তা খুঁড়াখুড়ির কাজ চলতেই থাকবে। যার ফলে ওই এলাকার মানুষজনকে ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হবে। এটা যে শুধু শান্তিনগরে হয় তা নয়। ঢাকা শহরের বেশিরভাগ এলাকার চিত্র এমনই। শুধু দু একটা ভিআইপি এলাকাবাদে। অথচ এই সমস্যাটার সমাধান খুব একটা জটিল ছিলো না। কোন রাস্তায় কাজ শুরু করার আগে যদি সবগুলো ডিপার্টমেন্ট বসে একবারে ঠিক করত যে ওই রাস্তাটাতে কি কি কাজ করা হবে। তাহলে কিন্তু খুব সহজেই এই সমস্যার সমাধান হোতো। কিন্তু আমার মনে হয় মূল সমস্যাটা অন্য জায়গায়।
এই সমস্যার সমাধানের কোন সদিচ্ছা কারো ভিতরে নেই। কারণ বারবার কাজ করলে বারবার এই কাজগুলো নিয়ে বিল তৈরি করা যাবে। সেখান থেকে অবৈধভাবে টাকা ইনকামের সুযোগ থাকবে। কিন্তু যদি একবারে সব কাজ শেষ করে ফেলে তাহলে তাদের অবৈধ টাকা ইনকামের রাস্তাটা বন্ধ হয়ে যাবে। এই কারণেই বারবার বিশেষজ্ঞরা বলার পরেও ডিপার্টমেন্ট গুলো একত্রে কাজ করছে না। কিন্তু তাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ঢাকার বাসিন্দাদেরকে। যার ফলে এই বিষয়ে ঢাকার লোকজনকেই আওয়াজ তুলতে হবে। ডিপার্টমেন্টগুলোকে বাধ্য করতে হবে একসাথে কাজ করার। না হলে এই জন দুর্ভোগ চলতেই থাকবে। সেই সাথে চলবে রাষ্ট্রীয় সম্পদের লুটপাট।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90
---|---
স্থান | ঢাকা
তারা একবারের কাজ ১০ বারে করবে এবং সেই সুযোগে অবৈধ টাকা ইনকাম করবে , এটাই তো তাদের ধান্দা। মাঝখান দিয়ে ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ জনগণ। সরকার পক্ষ চাইলে অনেক কিছুই করতে পার। বাহিরের দেশের প্রতিটি কাজ একেবারে প্ল্যান মোতাবেক করা হয়। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।