উৎসব এর অপব্যবহার
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
বর্তমানে উৎসব এমন একটা ব্যাপার হয়ে গিয়েছে। যেটাতে আসলে আনন্দ করার চেয়ে কিভাবে কুটবুদ্ধির মাধ্যমে অন্যকে শায়েস্তা করা যায় কিংবা অন্যের লস করে কিভাবে নিজের অতিরিক্ত উন্নতি সাধন করা যায় কিংবা অতিরিক্ত লাভ করা যায় সেটাই মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ আমি যদি কয়েকটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলি। যেমন, বাংলাদেশ এবং ভারতের দুটো খুব বড় বড় উৎসব হলো ঈদ এবং দুর্গা পুজো।
যে দুইটি উৎসবের জন্য দুই ধর্মের মানুষই অনেক বেশি কেনাকাটা করে এবং তাদের যেহেতু এই দুটো উৎসব একেবারে মহা উৎসব হিসেবে পালিত হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ সময়ের চেয়ে কেনাকাটা কিংবা কোথাও ঘুরাঘুরি করার পরিমাণটা অনেকটা বেশি হয়, যেটা সারা বছর দেখা যায় না।
ঠিক এই ব্যাপারটাকে কাজে লাগায় কিছু ব্যবসায়ীরা। আসলে তাদেরকে ব্যবসায়ী বলার চেয়ে লোভী ব্যবসায়ী কিংবা স্বার্থপর ব্যবসায়ী বলাটাই ভালো হবে। কারণ দেখবেন যে তারা তাদের দোকানের জিনিষপত্র সারা বছর যে দামে বিক্রি করছে। সেই সব কিছুর দাম কয়েক গুণ করে বাড়িয়ে দেয় এই উৎসব এর সময় গুলোতে।এমনও অনেক দেখা গিয়েছে যে ১৭০০ টাকার শাড়ি ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি করছে।
আপনারাই একবার ভেবে দেখুন, শুধুমাত্র এই দুইটা উৎসবকে সামনে রেখে কিছু কিছু ব্যবসায়ীরা ১০ থেকে ১১ গুণ, ১২ গুণ বা হয়তো এর চেয়েও বেশি লাভ করে যেটা একেবারেই অনৈতিক। তাই আমার কাছে মনে হয় যে তারা শুধুমাত্র উৎসবের অপব্যবহারটা করছে এবং সৃষ্টিকর্তা এই উৎসবগুলোকে যে কারণে তৈরি করেছেন, তারা সেই ব্যাপারটা থেকে একেবারেই সরে আসে।
আর তাদের এই উৎসবের প্রতি অপব্যবহারের জন্যই অনেক গরিব মানুষরা সেই উৎসবের শামিল হতে পারে না। কারণ এতো দাম দিয়ে জিনিসপত্র কেনার সামর্থ্য সকলের থাকে না। আবার সেখানেই দাম বাড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকগুণ। আসলে মানুষের মধ্যে যখন মনুষত্ব হারিয়ে যায়। তখন মানুষ এই ধরনের কাজ করে। তাও আশা করি যে একদিন এইসব সমস্যার অবসান হবে এবং সকলে উৎসবকে উৎসবের মতো করেই উদযাপন করবে।
কথাগুলো পড়ে যেন একদম বাস্তব দিক দেখলাম। কারণ আমাদের দেশে রমজান এলেই জিনিসপত্রের দাম খুব চড়া হয়ে যায়। যেটা আসলে সাধারণ মানুষের পক্ষে সব সময় কেনা সম্ভব হয় না। ঈদ এবং দুর্গা পূজা উপলক্ষে জামা কাপড় থেকে শুরু করে পর্যটন কেন্দ্র সব জায়গাতে সব কিছুরই দাম এমনভাবে বৃদ্ধি করে যেন এটা ব্যবসায়ীদের জন্যই একটা উৎসব, সাধারণ মানুষের কোন উৎসব নয়। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা নিজেরা লোভী হয়ে মানুষদের কাছ থেকে কয়েকগুন হারে লাভ করে। যেটা আসলে কখনোই কাম্য নয়। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটা পড়ে।
যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা উৎসবের অপব্যবহার করে বাড়তি মুনাফা অর্জন করছে, তারা আসলে ব্যবসায়ী না। সত্যিকার অর্থে তারা হচ্ছে ডাকাত। তাদের জন্য কতো কতো সাধারণ মানুষ বড় বড় উৎসব পালন করতে পারে না। এই সমস্ত ব্যবসায়ীদের হাশরের ময়দানে কঠিন থেকে কঠিনতম বিচার হবে। সেদিন আর পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। যাইহোক এই সমস্ত ব্যবসায়ীদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।