মাশরুম চাষ দেখার অভিজ্ঞতা অনুভূতি।🍄

🍄 মাশরুম চাষ দেখার অভিজ্ঞতা অনুভূতি।🍄"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

_{"ছবিটি InShot অ্যাপস দিয়ে তৈরি"}

শুভ রাত্রি,
আজ ১৬ ই মে ,
বৃহস্পতিবার ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।

আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ থেকে।

হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম মাশরুম চাষ দেখার অভিজ্ঞতা অনুভূতি পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।

কিছুদিন দরে আবারও গরম শুরু হয়ে গিয়েছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই আমাদের সাবধান থাকতে হবে। এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। যাইহোক গত ১২ তারিখে আমার শেষ পরীক্ষা ছিল। তাই আমরা বন্ধুরা মিলে আগে থেকেই একটি পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। শহরে থাকে আমার এক বন্ধু তার নাম জয়। তাদের ফাস্টফুডের ব্যবসা রয়েছে। আমার বন্ধুদের ফাস্টফুডের ব্যবসা খুবই জনপ্রিয়। অনেক ধরনের রেসিপি তৈরি হয়। তার মধ্যে একটি জনপ্রিয় রেসিপি হলো মাশরুমের বড়া। মাশরুমের বড়া তাদের দোকানে খুবই চাহিদা সম্পন্ন রেসিপি। তাছাড়া হোটেল রেস্টুরেন্ট গুলোতে মাশরুমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং মাশরুম খুবই পুষ্টিকর খাবার।

আমি একদিন সময় করে তাদের দোকানের মাশরুমের বড়া রেসিপি খেয়েছিলাম অনেক সুস্বাদু রেসিপি। তখন আমি বন্ধু জয়কে জিজ্ঞাসা করি ,এই মাশরুম তোমরা কোথায় থেকে নিয়ে আসো। তখন আমার বন্ধু বলেন আমার কাকা মাশরুম চাষ করেন। এবং তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা। তিনি আমাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাশরুম দিয়ে থাকেন। এবং ময়মনসিংহের ভেতরে তিনি একমাত্র সফল মাশরুম ব্যবসায়ী। তখন আমার মাশরুম চাষ নিজের চোখে দেখার অনেক আগ্রহ বেড়ে যায়। তখন আমার বন্ধুকে বলি একদিন সময় করে মাশরুম চাষের পদ্ধতি দেখাতে আমাকে নিয়ে যেতে। সে সুবাদে গত ১২ তারিখে আমরা বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে মাশরুম চাষ পদ্ধতি দেখতে যাই।

_{^{"লোকেশন"}}

পরীক্ষা শেষ করে আমরা চার বন্ধু গৌরীপুর উপজেলার কলতাপাড়া ইউনিয়নের দিকে রওনা করি। আমরা সবাই মূলত অটোরিক্সা দিয়ে গিয়েছিলাম। আঁকাবাঁকা রাস্তা পরিবেশটা খুবই সুন্দর। চতুর্দিকে অনেক গাছপালা ছিল। তাই আমরা যাওয়ার পথে কিছু সেলফি নিয়েছিলাম।

_{^{"লোকেশন"}}

মাশরুম খামারে প্রবেশ করে আমি রীতিমতো অবাক হয়েছিলাম। কেননা এই খামারে প্রচুর মাশরুম উৎপাদন করার প্রক্রিয়া চলছিল। প্রতিটি প্যাকেটে অনেকগুলো করে মাশরুম তৈরি হয়। আমি মাশরুমকে ব্যাঙের ছাতা বলে চিনতাম। এখন নিজের চোখে দেখতে পেলাম। প্রতিটি প্যাকেট থেকে প্রতিদিন সকালে প্রায় ৩০০ গ্রামের মত মাশরুম সংগ্রহ করা হয়।

_{^{"লোকেশন"}}

তারপর আমি এই মাশরুম চাষের উদ্যোক্তা শাহিদ কাকা কাছে থেকে মাশরুম তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেলাম। তিনি ধানের খড় গরম পানিতে সিদ্ধ করে ছোট ছোট করে কেটে রাখেন। তারপর কাঠের ভুসি এবং কিছু মেডিসিনের সাহায্যে মাশরুম বীজ তৈরি করেন। তারপর একটি পলিথিনের মাঝে কিছু মেডিসিন দিয়ে ১০ থেকে ১২ দিন রেখে কিছু স্প্রে ব্যবহার করেন। তার এক দুই দিন পর থেকে মাশরুম তৈরি হওয়া শুরু হয়। এবং তিনি প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কেজি মাশরুম সংগ্রহ করে থাকেন। এই বিষয়টি জেনে আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। তখন আমি কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।

_{^{"লোকেশন"}}

তারপর আমরা শাহিদ কাকার কাছ থেকে চারজন বন্ধু মিলে দুই কেজি মাশরুম নিয়ে আসি। প্রতিটি প্যাকেটে ৫০০ গ্রাম করে মাশরুম ছিল। শাহিদ কাকা বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি মাশরুম বিক্রি করেন। কিন্তু আমরা ২৫০ টাকা কেজি হিসেবে ২ কেজি মাশরুম নিয়েছিলাম। আমি ৫০০ গ্রামের একটি প্যাকেট নিয়েছিলাম। প্যাকেট গুলো খুব সুন্দর করে করা হয়েছিল। তারপর আমি মাশরুম চাষের খামারের সামনে থেকে একটি সেলফি নিয়ে আমরা সবাই বাসায় চলে আসি। মাশরুম চাষের খামারটি ভালো করে বোঝার জন্য আমি ছোট একটি ভিডিওগ্রাফি করি আশাকরি ভিডিওটি দেখলে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। যাইহোক এ ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি মাশরুম চাষ দেখার অভিজ্ঞতা অনুভূতি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানে বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ💞।

🎬 ভিডিও লিংক 🎬