আলালের ঘরের দুলালের বিপদ
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
সব সময় এমন কিছু মানুষকে দেখবেন। যাদেরকে একেবারে আক্ষরিক অর্থে আলালের ঘরের দুলাল বলা হয়। অর্থাৎ তারা কুটোটি নেড়ে দুটো করতে পারে না, এমন অবস্থা করে যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে। এবং সত্যি কথা বলতে ওরা খুব একটা কাজে হাতও দিতে পারেনা। আর বেশিরভাগ সময় যেসব কাজে হাত দেয়। সে সব নষ্ট করা ছাড়া আবার হাত সরায় ও না। আমি কি ঠিক বললাম?
যারা আলালের ঘরের দুলাল রয়েছে। তারা সবসময় ভাবে যে তাদের কোনো কাজও করতে হবে না। তারা ফুলের বিছানার মতো একটা জীবন পেয়েছে। অর্থাৎ তাদের বাবা-মা তাদের দিয়েছে। এবং তা নিয়েই তারা জীবন কাটিয়ে দিতে পারবে। তাদের না কোনো অভাব থাকে। না কোনো কাজ করতে হয়। অর্থাৎ তাদের ভাবনাটাই এমন থাকে যে, তাদের কোনো কাজ না করা সত্ত্বেও জীবনে কোন সমস্যা আসবে না। এবং জীবনের প্রতিটা পরীক্ষা তে তারা খুব সুন্দরভাবে উত্তীর্ণ হতে পারবে।
কিন্তু আমি যতটুকু দেখেছি। সেটা হলো, এই আলালের ঘরের দুলালেরাই সবচেয়ে বেশি বিপদে পরে।যেমন ধরুন, হুট করে কোনো কারণে তাদেরকে গ্রামে শিফট হতে হলো। কিংবা এমন কোনো পাবলিক ইউনিভার্সিটি কিংবা পাবলিক প্রতিষ্ঠানে পড়তে হলো। যেখানে তাদের সেই প্রাইভেট ট্রিটমেন্টটা থাকে না। এবং এতে করে তারা কোনোভাবেই মানিয়ে নিতে পারে না এবং আমি এমন অনেককেই দেখেছি। যারা হুট করে অসুস্থ হয়ে পরে। শুধুমাত্র পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে না পেরে।
এতে কিন্তু তাদের ই ক্ষতি। কারণ প্রতিটি মানুষেরই প্রতিটি পরিস্থিতিতে টিকে থাকার মত ব্যাপারটা শিখতে হয় এবং এই ব্যাপারটা একদিনেই শেখা হয় না। জীবনের ক্ষেত্রে চর্চা করতে করতে তবে শিখা হয়। কিন্তু এই আলালের ঘরের দুলালেরা কখনোই সেই ব্যাপারগুলো শিখে না। এবং এতে করে তারা সব সময় বিপদের সম্মুখীন হতেই থাকে। কিন্তু তারপরেও তারা বুঝে না যে, তারা কেনো বারবার বিপদে পরছে। অর্থাৎ তারা তাদের এই বড়লোকি মানসিকতা এবং কাজকর্মের জন্যই বারবার বিপদে পরে।
একদম আমার মনের কথা লিখেছেন। এই আলালের ঘরের দুলাল কথাটা কিছু মানুষের সাথে এমনভাবে যাচ্ছে যেটা আসলে নিজের চোখে না দেখলে বুঝতামই না।আর বৈশিষ্ট্য গুলোও একদম যথাযথ দিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত তাদের এই মানসিকতার জন্য বিপদে পড়তে দেখিনি,হয়তো সবাই বিপদে পড়েও না। তবে এরকম দিন যে বেশিদিনের নয় সেটা টের পাবে সময় হলে।এরা কিন্তু এক প্রকার বোঝা সমাজের জন্য।কথাগুলো মনে ধরেছে আমার।
মা বাবার অতিরিক্ত আদর সন্তানের জন্য অনেক সময় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ মানুষের জীবনটা সবসময় একরকম যায় না। তাই নিজেকে এমনভাবে প্রস্তুত করা উচিত, যাতে করে যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া যায়। তাহলে জীবনটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা সম্ভব। যাইহোক এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।