ক্যামেরায় বন্দি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

আবার আপনাদের মাঝে চলে এলাম আরো একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে। এই পোস্টে আমি আমার তোলা বিভিন্ন সময় তোলা ছবিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। ছবিগুলো হয়তো প্রফেশনাল মানের হয়নি। তারপরও চেষ্টা করেছি কিছু ভালো ছবি তুলতে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে দেখে নেয়া যাক আজকের ছবিগুলো।

---

কিছুদিন আগে নদীর পাড়ের দিকে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার পথে এই ইটভাটাটা দেখতে পায়। অবশ্য সেখানে আশে পাশে আরো বেশ কিছু ইটভাটা ছিলো। এই ইট ভাটাগুলোর কারণে সেখানকার রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই করুন হয়ে গিয়েছে। এই ইটভাটা যেমন পরিবেশ দূষণ করে তেমনি এটার কারণে আশেপাশের রাস্তাঘাটের ও অনেক ক্ষতি হয়।

এই ছবিটাও নদীর পাড় থেকে তুলেছিলাম। ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পায়ে হাটা একটি পথ নদীর পাড় ধরে চলে গিয়েছে। যদিও এখন মোটরসাইকেল এবং বিভিন্ন রকম যানবাহনের জন্য এই পথে হাঁটাও মাঝে মাঝে মুশকিল হয়ে যায়। তবে যখন কোনো যানবাহন থাকে না তখন এই রাস্তা দিয়ে হাঁটতে বেশ ভালই লাগে। যদিও এখন নদীতে পানি অনেক কমে গিয়েছে। যখন পানি থাকে তখনই এই রাস্তাটা দিয়ে হাঁটতে ভালো লাগে।

উপরের ছবিটাতে দেখতে পাচ্ছেন একটি নিরিবিলি গ্রামীন রাস্তা। ফসলের মাঠের ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া এই ধরনের রাস্তা আমার কাছে বরাবরই ভালো লাগে। এই সমস্ত রাস্তার দুপাশ দিয়ে নানা রকমের গাছ থাকে। যার ফলে রাস্তাটা একটা অন্যরকম সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।

আমাদের শহরের একটু পাশেই নতুন একটি আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে। অনেকদিন পর সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম সেখানে বেশ কিছু বাড়িঘর হয়েছে। উপরের ছবিতে যে রাস্তাটা দেখতে পাচ্ছেন এটা সেই আবাসিক এলাকার ভেতরের রাস্তা। যদিও এ রাস্তার পাশ দিয়ে এখনো তেমন কোনো বাড়িঘর হয়নি। তবে অতি দ্রুতই হয়তো এ রাস্তার দুপাশ দিয়ে বাড়িঘর হয়ে যাবে।

কয়েকদিন আগে গ্রামের দিকে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে একটি পুকুরে দেখতে পেলাম কিছু হাঁস ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখান থেকেই ছবিটি তুলেছিলাম।

এই ছবিটি ও তুলেছি গ্রামের থেকে। গ্রামের রাস্তার পাশে এমন জংলা জায়গা প্রায়ই দেখা যায়। একসময় আমাদের শহরেও এই ধরনের জায়গা দু-একটা দেখা যেতো। কিন্তু এখন সেটা একেবারে নেই বললেই চলে। শহরের জায়গাগুলোতে এখন সবাই বাড়িঘর করে ভরে ফেলেছে। যার ফলে এই ধরনের ফাকা জায়গা এখন শহরে একেবারেই দেখা যায় না।