কাঁকড়া ভুনা রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি রেসিপি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
কাঁকড়া আমরা কম বেশি সবাই পছন্দ করি। কাঁকড়া বেশিরভাগ সমুদ্রে পাওয়া যায়। কাঁকড়া আবার অনেকে চার্জ করে থাকে। যেগুলো বাজারে অনেক দাম হয়ে থাকে। আমি যে কাঁকড়া টি রেসিপি করেছি সেটি আমাদের ঘেরের কাঁকড়া। কাঁকড়া টি দেখে ভাবলাম অনেকদিন কাঁকড়া খাওয়া হয় না। তাই মাকে বললাম আজ আমি কাঁকড়া ভুনা তৈরি করব। মা আমাকে একটু সাহায্য করে দিল কাঁকড়া টি কেটেকুটে দিল। আর আমি ভুনা তৈরি করার জন্য মাল জিনিসগুলো তৈরি করে ফেললাম। তারপর লাল লাল করে ঝটপট তৈরি করে ফেললাম কাঁকড়ার ভুনা। কাঁকড়া রান্না করতে কিন্তু অনেকটা সময়ের প্রয়োজন হয় না তাই ঝটপট তৈরি করা যায়। কাঁকড়ার ভুনায় আজ আমি ব্যবহার করেছিলাম টমেটো সস। ভেবেছিলাম কেমন লাগবে জানিনা কিন্তু শেষে খাওয়ার পর ওয়াও বলেছিলাম। টক টক ঝাল ঝাল দুর্দান্ত লেগেছিল খেতে। যাই হোক চলুন এক নজরে দেখে আশা যাক আজকের এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণগুলো লেগেছে।
উপকরণ:
নাম | পরিমাণ |
---|---|
কাঁকড়া | ২৫০ গ্রাম |
টমেটো সস | ২৫ গ্ৰাম |
পিঁয়াজ কুচি | ২ মিডিয়াম সাইজের |
রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
আদা বাটা | ১ চা চামচ |
জিরার গুঁড়া | ১ চা চামচ |
ধনিয়া গুঁড়া | ১ চা চামচ |
গরম মসলার গুঁড়া | ১/১ চা চামচ |
শুকনা জলের গুঁড়া | ২ চা চামচ |
লবণ | পরিমাণ মত |
ধাপ:১
প্রথমে চুলার ওপর কড়াই দিয়ে হাফ কাপের মতো তেল দিয়ে। তেল গরম হয়ে গেলে তাতে দিয়ে দেব তেজপাতা, দারচিনি, লবঙ্গ, এলাচ আর দিব গোটা জিরা। সবগুলো উপাদান দিয়ে কিছুটা সময় ভেজে নিব।
ধাপ:২
এগুলো একটু ভাজি হয়ে গেলে এর ভেতর দিয়ে দিব কেটে রাখা পেঁয়াজ কুচি। পেঁয়াজ গুলো একটু গোল্ডেন কালার করে ভেজে নিব।
ফোট:১ | ফোট:২ |
---|---|
![]() | |
![]() |
ধাপ:৩
পেঁয়াজ গুলো গোল্ডেন কালার হয়ে এলে এর ভেতর দিয়ে দেবো মসলা গুলো সঙ্গে সামান্য জল। এরপর মসলা গুলো কিছুটা সময় কষিয়ে নিব যতক্ষণ পর্যন্ত মসলা গুলোর থেকে তেল না ছাড়ছে।
ফোট:১ | ফোট:২ |
---|---|
![]() |
ধাপ:৪
এরপর দিয়ে দেবো কেটে রাখা কাঁকড়া গুলো। কাঁকড়া গুলো দিয়ে আরও কিছুটা সময় ভালোভাবে কষিয়ে নিব। ভালোভাবে কষিয়ে নেওয়ার পর দিয়ে দেবো জল। জল দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে কাঁকড়া গুলো সিদ্ধ হওয়ার জন্য পাঁচ মিনিটের জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিব।
ফোট:১ | ফোট:২ |
---|---|
![]() |
ধাপ:৫
পাঁচ মিনিট পর ঢাকনাটি উঠিয়ে গরম মশলা দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে দু'মিনিটের জন্য চুলার উপর রেখে দিলাম। যখন দেখব কালারটি একেবারে ছেড়ে দিয়েছে তখন কড়াই থেকে নামিয়ে একটি পাত্রে রেখে দিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম এবং নিজের সঙ্গে একটি সেলফি নিলাম।
ফোট:১ | ফোট:২ | ফোট:৩ |
---|---|---|
![]() | ||
![]() | ||
![]() |
কাঁকড়া অনেকে অনেক ভাবেই রান্না করে খায় কিন্তু আমি বলব আমার মত করে যদি আপনারা রান্না করে খান। তাহলে বিশ্বাস করুন কখন যে, আপনারা তিন চার প্লেট খেয়ে ফেলবেন বুঝতেই পারবেন না। এ কথাটা কেন বললাম আমি নিজেই ৩ প্লেট ভাত খেয়ে ফেলেছি😊😊😊। অসাধারণ লেগেছিল খেতে জাস্ট ওয়াও।
কাঁকড়া ভুনা যদিও কখনো খাওয়া হয়নি তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজার ছিল। রেসিপির কালরটা দারুণ এসেছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এখন পর্যন্ত কোন দিন খাওয়া হয়নি, তবে অনেকের কাছে শুনেছি যে কাঁকড়া রেসিপি খেতে নাকি অনেক মজাদার হয়। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে কাঁকড়া ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে এতো সুন্দর একটি কাঁকড়া ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা কাঁকড়া ভুনা রেসিপি টি সত্যি প্রশংসনীয়।
এমন রেসিপি আমাদের কোনদিন খাওয়া হয়নি। তবে নতুন একটা রেসিপি সম্পর্কে অনেকটা ধারণা পেলাম। কিভাবে ভুনা করতে হয় সমস্ত বিষয় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। বেশ ভালো লাগলো নতুন একটি রেসিপি দেখে।
কাঁকড়া কখনো খাওয়া হয়নি। তবে দেখে মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। ঘেরের কাঁকড়া ভুনা করা হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে আপনি অনেক ভালোভাবেই খেয়েছিলেন। কালার দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে।
কাঁকড়া ভুনা রেসিপি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তবে এই রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি। তাই আপনাকে রেসিপি পরিবেশন দেখে শিখে নিলাম পরবর্তীতে তৈরি করব।
কাঁকড়া ফ্রাই কয়েকবার খেয়েছি। কিন্তু কাঁকড়া ভুনা রেসিপি টা কখনও খাইনি। আপনার কাঁকড়া ভুনা রেসিপি টা দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। বিশেষ কর ছবিটা দারুণ এসেছে। চমৎকার তৈরি করেছেন রেসিপি টা ভাই। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
কাঁকড়া খুব কম খাওয়া হয় কারণ আমাদের এলাকায় কাঁকড়া পাওয়া যায় না বল্লেই চলে।আপনি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে কাঁকড়া ভুনা রেসিপি করেছেন এবং কাকড়া তৈরি পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার সুন্দর লোভনীয় কাঁকড়া ভুনা রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
কাঁকড়া ভুনা রেসিপি দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে ভাই। এতো মজাদার রেসিপি খাওয়ার পরে তো ওয়াও অবশ্যই বলতে হবে। কাঁকড়া ফ্রাই করে এবং কাঁকড়ার স্যুপ অনেক খেয়েছি, কিন্তু কাঁকড়া ভুনা কখনো খাওয়া হয়নি আমার। এই রেসিপিটা একদিন ট্রাই করতে হবে বাসায়। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।