ঝাল মুড়ি রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব সবার প্রিয় একটি রেসিপি। তাই দেরি না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
ঝালমুড়ি সবার কিন্তু ফেভারিট খাবার। বাঙালি যে ঝালমুড়ি পছন্দ করে না এটা আমি মানতে রাজি না। বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই কিন্তু ঝাল মুড়ি পছন্দ করে। আমি যখন বাংলাদেশে যেতাম তখন বেশিরভাগ সময় ঝাল মুড়ি খেতাম বাংলাদেশের ঝালমুড়ি টা আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। কারণ এখানে আলাদাভাবে ছোলা রান্না করে ব্যবহার করা হয় যেটি কিন্তু ইন্ডিয়াতে ব্যবহার করা হয় না। ইন্ডিয়াতে ঝালমুড়ি শুকনো টাইপের থাকে আর বাংলাদেশের ঝাল মুড়িটা একটু ভিজা ভিজা ভাব থাকে। যাই হোক সন্ধ্যের সময় আজ প্রচুর ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল। কিছু বানিয়ে খেতেও ইচ্ছা করছিল না তাই ভাবলাম ঝাল মুড়ি তৈরি করে খাওয়া যাক। যেই ভাবা সেই কাজ সঙ্গে সঙ্গে তৈরি করে ফেললাম ঝাল মুড়ি। আমি কিন্তু একা খাইনি আমার সঙ্গে আমার এক মামা ছিল সে মামা ও ঝাল মুড়ি দেখে খেতে ইচ্ছা প্রকাশ করল। যাইহোক চলুন এক নজরে দেখে আসি ঝালমুড়ি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ গুলো লেগেছে।
উপকরণ:
নাম | পরিমাণ |
---|---|
মুড়ি | ৫০ গ্ৰাম |
চানাচুর | ২৫ গ্ৰাম |
কাচা মরিচ কুচি | পরিমাণ মত |
পেঁয়াজ কুচি | মিডিয়াম সাইজের একটি |
টমেটো কুচি | মিডিয়াম সাইজের একটি |
শসা কুচি | ৩ চা চামচ |
গাজর কুচি | ৪ চা চামচ |
লবণ | পরিমাণ মত |
ধাপ:১
প্রথমে বাজার থেকে ৫০০ গ্রামের মতন মুড়ি কিনে নিয়ে এলাম। ঝালমুড়ি তৈরি করার জন্য ফাস্টে দরকার হচ্ছে মুড়ি। তাই আমি ৫০ গ্রামের মতন মুড়ি একটি পাত্রে নিলাম।
ধাপ:২
ঝালমুড়ি তৈরি করতে গেলে আরেকটির সবথেকে বেশি প্রয়োজন হয় সেটি হল চানাচুর।বাড়িতে ছিল চানাচুর ২৫ গ্রামের মতন চানাচুর একটি পাত্রে নিয়ে নিলাম।
ধাপ:৩
এরপর পেঁয়াজ, গাজর,শসা, লেবু,ঝাল, সবগুলো উপাদান কুচি করে কেটে একটি পাত্রে উঠিয়ে নিলাম
ধাপ:৪
এরপর সবগুলো উপাদান একসঙ্গে দিয়ে তাতে পরিমাণ মতন লবণ ও সরিষার তেল দিলাম।
ধাপ:৫
এরপর একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ভালোভাবে মুড়ি গুলো ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে মিশিয়ে নিলাম উপাদানের সঙ্গে।
সবগুলো উপাদানের সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যাওয়ার পর ঝাল মুড়িটি খেতে কিন্তু দুর্দান্ত লেগেছিল। আমি মাঝেমধ্যে এমন ভাবে তৈরি করে খেয়ে থাকি। আজ ভাবলাম আপনাদের মাঝে বিষয়টি শেয়ার করা যাক। তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আপনারা যখন বাড়িতে ঝালমুড়ি তৈরি করবেন একদিন আমার মতন করে তৈরি করে দেখুন আশা করি, খেতে খারাপ লাগবে না।
ঝালমুড়ি আমার বেশ পছন্দের। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় এটা যেন ডিমান্ডেট হয়ে যায়। আপনার তৈরি ঝালমুড়ি টা দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। দারুণ তৈরি করেছেন। তবে সরিষা তেল থাকলে আরও ভালো লাগত।
ঝাল মুড়ি খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। ঝাল মুড়ি মাখা দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। চমৎকার ভাবে এই রেসিপি তুলে ধরেছেন। মনে হচ্ছে খেতেও দারুন ছিল।
হ্যাঁ দিদি খেতেও খুব দারুণ লেগেছে
ঝালমুড়ি আমার খুবই প্রিয়। আপনি দেখছি বাড়িতে বসেই ঝালমুড়ি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা ঝালমুড়ি গুলো দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি ঝালমুড়ির মধ্যে বেশ কিছু উপকরণ মিশ্রণ করে ঝালমুড়ি তৈরি করেছেন। তবে, সবজি গুলো দেয়ার জন্য একটু বেশি মজাদার হয়েছিল।
বাহ। কত সুন্দর করে ঝাল মুড়ির রেসিপি শেয়ার করলেন। এত সুন্দর করে লিখেছেন যে ছবিতে দেখেই জিভে জল চলে এলো। ঝাল মুড়ি আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি খাবার। তাই আজ তার এত সুন্দর রেসিপি দেখে আমার নিজেরই খুব ভালো লাগছে। প্রতিদিন সুন্দর করে মুড়ি মেখে সন্ধ্যেবেলা না বসলে যেন আমার সারাদিনটাই ভালো করে কাটে না। ঝাল মুড়ির রেসিপি সকলের সঙ্গে শেয়ার করবার জন্য ধন্যবাদ।
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে বা, বৃষ্টির দিনে ঝাল মুড়ি খাওয়ার অনুভূতির সত্যি বেশ দারুন হয়ে থাকে। আসলে ঝাল মুড়ি খেতে খুব ভালো লাগে। ঝাল মুড়ি মাখা দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
মাঝেমধ্যে ঝাল মুড়ির রেসিপি খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে ঝাল মুড়ির বিষয়ে রেসিপি পোস্ট করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো কিন্তু।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমার পোস্টটি দেখার জন্য
বাঃ! দারুণ লাগলো। ঝালমুড়ি খেতে আমার বেশ ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে রেসিপি টা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এর জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ঝালমুড়ি আমার খুবই পছন্দ। একটা সময় ঝালমুড়ি না খেলে যেন দিন শেষে হতো না। এখনো প্রায় দিন বিকেলে ইনস্টিটিউট শেষ করে চলে যাই গভমেন্ট কলেজের মাঠে ঝাল মুড়ি খেতে। আপনি বাড়িতে দারুণভাবে ঝাল মুড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখতে ভীষণ লোভনীয় লাগছে। লোভনীয় এই ঝালমুড়ি রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঝালমুড়ি খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কলেজে পড়াকালীন প্রত্যেকদিনই কলেজ থেকে বেড়িয়ে ঝালমুড়ি কিনে খাওয়া হত। আপনার পোস্টটি দেখে সেই সব দিনের কথা মনে পড়ে গেল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
একেবারে মুখরোচক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাই। ঝালমুড়ি পছন্দ করে না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। আমার তো ঝালমুড়ি ভীষণ পছন্দ। রেসিপিটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে দারুণ লেগেছিল। বেশ ভালো লাগলো রেসিপিটা দেখে। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।