'বৃষ্টির দিনে ঘুরতে যে বাঙালি খাবার খাওয়ার অভিজ্ঞতা'
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে কিছু আনন্দের মুহূর্ত উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
বেশ কিছুদিন ধরে আকাশ থেকে অঝোরে বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছে। যেদিকে তাকাই সেদিকে শুধু জল আর জল বাড়ি থেকে কোথাও বের হতেও পারছি না। বৃষ্টির কারণে জীবনটা যেন চার দেয়ালে বন্দী হয়ে গিয়েছে। মাঝেমধ্যে মন চাইছে বৃষ্টির মধ্যে কোথাও যে ঘুরে আসতে। কিন্তু কি করার বৃষ্টির জল মাথায় লাগলে আবার ডাক্তারের কাছে দৌড়াতে হবে। এইভাবে কিছুদিন চলে গেল চার দেয়ালের মধ্যে থাকতে থাকতে। একটা সময় আর ইচ্ছা করলো না আর এই চার দেয়ালের ভিতর বসে থাকবে। তাই একদিন হঠাৎ করে সবাই মিলে বেরিয়ে পড়লাম ঘুরতে।সেদিন আবহাওয়াটা একটু ভালো ছিল তাই আমরা দেরি না করে দুপুর একটার দিকে বেরিয়ে পড়লাম গাড়ি নিয়ে। গাড়ির ভেতর হঠাৎ জানতে পারলাম দুপুরে আমরা কলকাতার একটি বিখ্যাত রেস্টুরেন্টে বাঙালি খাবার খাব। আমি কলকাতায় অনেক ভালো ভালো রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করেছি কিন্তু এই রেস্টুরেন্টের খাবার খাওয়ার অভিজ্ঞতা ছিল একটু অন্যরকম। সব কথাই খুলে বলবো আপনাদের মাঝে।
রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার কথা শুনলে সবারই কিন্তু ভালো লাগা কাজ করে। কিন্তু সেদিন আমার তেমন একটা ভালো লাগেনি কারণ সেদিন ছিল মঙ্গলবার আর আমি মঙ্গলবার নিরামিষ খাবার খেয়ে থাকি। আমার একটু আপত্তি ছিল কিন্তু দাদা বলল ওখানে আমিষের সঙ্গে নিরামিষ খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। দাদার মুখে এই কথাটা শুনে আমার একটু ভালো লাগা কাজ করল। এরপর আমরা পৌঁছে গেলাম সেই বাঙালি রেস্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্টের নামটি ছিল সপ্তপদী আপনাদের একটু পরিচিত মনে হচ্ছে না নামটা হ্যাঁ মহানায়ক উত্তম কুমারের একটি বিখ্যাত সিনেমার নাম সপ্তপদী। এই ছবিটির নাম থেকেই এই রেস্টুরেন্টের নামকরণ করা হয়েছে। এই সপ্তপদী রেস্টুরেন্টের বাইরের সৌন্দর্য ছিল খুবই সুন্দর এই রেস্টুরেন্টের প্রথমে ঢুকতেই আপনার চোখে পড়বে উত্তম কুমার এবং সুচিত্রা সেনের বড় একটি ছবি। এখানে আপনাকে ফিল করাবে সেই সময়কার স্মৃতিগুলো।
যাইহোক, এরপর আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম। ভিতরে পরিবেশটা বাইরের থেকে আরও সুন্দর কারণ চারিদিকে শুধু উত্তম কুমার এবং সুচিত্রা সেনের ছবি দিয়ে সাজানো। দেয়ালের পাশে একটি বাইকের চিত্র রয়েছে এটি কিন্তু সপ্তপদী ছবিতে সুচিত্রা সেনকে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন মহানায়ক উত্তম কুমার। আমরা ভিতরে যে একটি টেবিল বুক করলাম এরপর কিছু খাবার অর্ডার করলাম দাদারা তাদের মতন খাবার অর্ডার করল আমি আমার মতন ভেজ খাবার অর্ডার করলাম। অর্ডার আসতে একটু দেরি হচ্ছিল তাই বসে বসে উত্তম কুমারের সিনেমার গান শুনছিলাম। আধা ঘন্টা পর আমাদের সবার খাবার একে একে আসতে শুরু করল। আমি অর্ডার করেছিলাম ভেজ ডাল, আলু পোস্ত, আলুর দম, সুপ্ত, পান্তা ভাত ও আলু ভর্তা এবং বিভিন্ন সবজি দিয়ে একটি স্পেশাল তরকারি। প্রত্যেকটি খাবার খেতে কিন্তু খুবই ভালো ছিল। মনে হচ্ছিল অনেকদিন পর রেস্টুরেন্টে ভালো বাঙালি খাবার খাচ্ছি আর সেই সঙ্গে এই রেস্টুরেন্টের বাঙালি অনুভব।
ক্যামেরা পরিচিতি: oppo
ক্যামেরা মডেল: oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:১৬.০৬.২০২৫
সময়:০৩.৩৩মিনিট
স্থান: কলকাতা
এখান থেকে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা চলে গেলাম গঙ্গার ঘাটে। গঙ্গার ঘাটে দাঁড়িয়ে যদি চা খাওয়া না হয় তাহলে একটু অপূর্ণতা থেকে যায়। তাই আমরা এখানে গঙ্গার ঘাটে বসে সবাই মিলে চা খাওয়ার সঙ্গে গঙ্গার সৌন্দর্যটা উপভোগ করলাম। আপনাদের কোনদিন যদি সুযোগ হয় তাহলে এই রেস্টুরেন্টে একদিন খাবার খেতে আসবেন কথা দিচ্ছি আপনাদের বাঙালি খাবার গ্রহণের সঙ্গে আপনাদের মনটাও অনেক ভালো হয়ে যাবে।
@saikat890, what a delightful journey you've taken us on! Your post is a vibrant slice of Kolkata life, and it's easy to see why it's trending. The way you weave the story of escaping the rainy season with the allure of Bengali cuisine is fantastic. Saptapadi sounds like a restaurant experience that's more than just food; it's a nostalgic trip into Bengali cinema history! The pictures truly capture the essence of the place.
I especially appreciated your detailed descriptions of the vegetarian dishes – ডাল, আলু পোস্ত, and পান্তা ভাত звучат невероятно! It's great to know there are options for everyone.
Thank you for sharing your adventure. I'm sure many Steemians are now adding Saptapadi to their must-visit list! What was your favorite part of the meal? I'd love to hear more!