এক দুখিনী মায়ের গল্প ৩য় বা শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
এক দুখিনী মায়ের গল্প ৩য় বা শেষ পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে এসেছি একটা গল্প নিয়ে। গল্প মানে আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা। যাইহোক একজন মা তার জীবনের বিনিময়ে সন্তান মানুষ করে। তবে সেই সন্তান যদি মায়ের দিকে না থাকায় তাহলে তার মায়ের আর কষ্টের শেষ থাকে না। যাইহোক মা হাজার কষ্টে থাকলেও বাচ্চাদের কখনো দোষ দেয় না।যাইহোক এমনি এক গল্প নিয়ে এসেছি আজ আপনাদের মাঝে। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমেনা যেহেতু তার ছেলেকে ভালো ঘরে বিয়ে করিয়ে দিল।তারপর ছেলে মা ও বউকে নিয়ে অনেক সুখে আছে।তবে এই সুখ যে আমনার কপালে বেশি দিন সহ্য হলো না।প্রথম প্রথম আমেনার ছেলে বউকে বাড়িতে রাখত কিছু দিন যাবার পরে আর বাড়ি আনল না।কারণ তার বউ বাসায় থাকবে আর শশুর বাড়িতে থাকবে।এক পর্যায়ে আমেনার ছেলে প্রায় আমেনাকে ভুলে গিয়েছিল।এদিকে আমেনা ছেলের শোকে অস্হির। তারপর আমেনা দ্বিতীয় ছেলেকে বিয়ে করাল। সে ও কিছু দিন থাকার পরে আমেনার থেকে আলাদা থাকতে শুরু করল।এদিকে আমেনা দুই ছেলেকে হারিয়ে নিঃশ্বাস নিতে পারছিল না।
একদিন আমেনা ভাবল ছেলেদের কথা ভেবে আর কাজ নেই। নিজেকে সংগ্রাম করেই বাঁচতে হবে।যদিও আমেনা বেশ পরিশ্রমী ছিল। যাইহোক এভাবে বেশ কিছু দিন চলে গিয়েছিল। একদিন আমেনা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ল।যদিও আমেনার বড় ছেলে তাকে মাঝে মাঝে টাকা পয়সা দিত কিন্তু ছোট ছেলে কোন খোঁজ দিত না।তবে আমেনা বড় ছেলের কাজ থেকে টাকা নিত না। আসলে সে ভাবে যে ছেলে আমার খোঁজ নেয় না তার আবার টাকা কিসের। যাইহোক আস্তে আস্তে আমেনা একেবারে অসুস্হ হয়ে পড়ল। তারপর আমেনাকে তার মেয়ে এসে তার বাড়িতে নিয়ে গেল।আমেনা একেবারে মৃত্যুর অবস্থা, তখন আমেনা তার দুই ছেলেকে দেখতে চেয়েছিল।তারপর আমেনার মেয়ে ভাইদের বলে আসতে বলল।যখন তার দুই ভাই তার বাড়িতে পৌছালো, তারা পৌছানোর আগেই আমেনা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল।আসলে দুখের জীবন দুখেই কাটে।আশাকরি গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | উপকরণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1963254407052603451?t=dyP-qgf0W0W7AXqmj9oyvQ&s=19
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1963255326859227553?t=WHhpLsR6qFITGOMSyW0XyA&s=19